স্ত্রীকে গালমন্দ করায় ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ
Published: 30th, March 2025 GMT
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রতন ফরাজী ওই গ্রামের মৃত আলী হোসেন ফারাজীর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর রতন ফরাজীর ছেলে আমিরুল ইসলাম ও পুত্রবধূ শাহানাজ বেগম মরদেহ ঘরে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
নিহত বৃদ্ধের প্রতিবেশীরা জানান, রতন ফরাজী ও তাঁর স্ত্রী বিলকিস বেগম পুত্রবধূ ও ছেলের সঙ্গে বসবাস করতেন। প্রায়ই পুত্রবধূ তাঁর শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ইফতারের পর পুত্রবধূ শাহানাজের কাছে খাবার চান শ্বশুর রতন ফরাজী। এ সময় তরকারি ভালো রান্না না হওয়ায় পুত্রবধূর সঙ্গে শ্বশুরের তর্ক বাধে। ওই তর্কের জেরে ছেলে ও পুত্রবধূ মিলে বৃদ্ধের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ঘরে রেখে পালিয়ে যান। বৃদ্ধ রতন ফরাজীর স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে ঘরের মেঝেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
রতন ফরাজীর স্ত্রী বিলকিস বেগমের ভাষ্য, তিনি অন্য ঘরে ছিলেন, কীভাবে কী হয়েছে, বুঝতে পারেননি। তিনি খাবার ঘরে এসে দেখেন, স্বামীর দেহ মাটিতে পড়ে আছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান হাওলাদার রাতে প্রথম আলোকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ছেলে ও পুত্রবধূ গলাটিপে রতন ফরাজীকে হত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ত রবধ
এছাড়াও পড়ুন:
অনশনে না গিয়ে আলোচনায় সংকট সমাধানের আহ্বান কুয়েট প্রশাসনের
আমরণ অনশনে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র কল্যাণ পরিচালক।
সোমবার সকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আকতার বলেন, আজ দুপুর ৩টা থেকে শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি রয়েছে। আমরা তাদের বুঝিয়েছি, আশা করি তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে। শিক্ষার্থীরা অল্প কয়েকজন আমাদের সঙ্গে বসেছিল, তারা বাকি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ৩৭ জন শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবো বলে তাদের আশ্বস্ত করেছি। ছাত্রদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নির্দোষ কেউ শাস্তি পাবে না। হলে খাবারের সমস্যা আছে। খাবারের ব্যবস্থা করার কথা বলেছি। নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা নিয়ে ছাত্রদের সাথে আলোচনা হয়নি, আলোচনা হয়েছে শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ স্বাভাবিক করার জন্য।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ও সহকারী অধ্যাপক রাজু আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আদালতে যে মামলা হয়েছে সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। মামলার বাদীর সঙ্গে আলোচনা করে মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। মামলার বিষয়ে কুয়েট প্রশাসনের কোনো ইন্ধন নেই।