৮ ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। 

রবিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

এর আগে শনিবার রাত ১টার পর থেকে যমুনা সেতুর পূর্বপাড় থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হ‌য়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজট কমতে শুরু করে। 

যমুনা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, “বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তির হচ্ছে। যানবাহনের চাপ থাকলেও তেমন যানজট নেই। মানুষ স্বস্তিতে গন্তব্য পৌঁছাচ্ছে।”

তিনি আরো বলেন, “ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে দুইপাশেই দুটি করে বুথ দিয়ে আলাদাভাবে মোটরসাইকেল পারাপার হচ্ছে।”

ঢাকা/কাওছার/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে দ্বিতীয় দফা ত্রাণ সহায়তা পাঠাল বাংলাদেশ

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্বিতীয় দফায় জরুরি ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর তিনটি পরিবহন বিমানে করে এসব ত্রাণসামগ্রী ও ওষুধ পাঠানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে। 

এই মিশনে তিন বাহিনীর উদ্ধারকারী বিশেষজ্ঞ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চিকিৎসক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিকিৎসক এবং বেসামরিক চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত ৫৫ সদস্যের একটি দল রয়েছে। এছাড়া, তিনটি বিমানে ৩৭ জন ক্রু রয়েছেন।


উদ্ধারকারী ও মেডিকেল দলের সদস্যরা তাদের নিজেদের প্রয়োজনীয় খাবার, স্বাস্থ্যবিধির সরঞ্জাম, যোগাযোগ সরঞ্জাম এবং রান্নার বাসনসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়েছেন।

ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে আট টন শুকনো খাবার, আড়াই টন পানি, চার টন ওষুধ, এক টন স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী এবং ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দেড় টন তাঁবু। 

এর আগে, গত রবিবার বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার ও মেডিকেল টিমসহ জরুরি ত্রাণ সামগ্রীর প্রথম চালান মিয়ানমারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে মিয়ানমারে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে।  

সোমবার পর্যন্ত ২ হাজার ৫৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯০০ জন।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ