মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে যখন হিমশিম খাচ্ছে জান্তা সরকার তখনও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির কিছু অংশে বিমান থেকে বোমা হামলা চলছে। এই হামলাকে ‌‘আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। খবর- বিবিসি

মিয়ানমারের উত্তর শান রাজ্যের নাউংচোতে একটি বিমান হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে। ভূমিকম্প আঘাত হানার তিন ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে এই হামলা চালানো হয় বলে বিবিসি বার্মিজ নিশ্চিত করেছে।   

সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য লড়াইরত গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম সাগাইং অঞ্চলের চ্যাং-ইউ শহরে বিমান হামলা হয়েছে, যা ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। থাই সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলেও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ১,৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ভূমিকম্পে বহু ভবন ও সেতু ভেঙে পড়েছে, রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়েছে। এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তবে যন্ত্রপাতির অভাবে সেই তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। 

জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোটিয়ার টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সবাই যখন ‌ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তখন সেনাবাহিনী মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এটি অবিশ্বাস্য।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর যাদের প্রভাব আছে তাদের জান্তা সরকারকে আরও চাপ দেওয়া উচিত। স্পষ্ট করে বলা উচিত যে, এ হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। 
আমি জান্তা সরকারকে তাদের যেকোনো সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ন ত সরক র ভ ম কম প ভ ম কম প সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মাধবপুরে ঈদ ঘিরে পুলিশের তৎপরতা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঈদে চুরি, ছিনতাই ও বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অপরাধ ঠেকাতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার। এর ফলে মাধবপুর বাস টার্মিনাল, হাট বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগে ঈদকে সামনে রেখে মাধবপুর বাজারে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতো। কিন্তু বাজারে ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে নজরদারির কারণে বাজার এখন অপরাধ মুক্ত। 

মাধবপুর বাজার কমিটির ব্যবসায়ী নেতা এমরান খান জানান, প্রতিবছর ঈদকে সামনে রেখে একটি অপরাধী চক্রকে খুব তৎপর দেখা যেত। বাজারে জিনিসপত্র কিনতে আসা লোকজনের টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার চুরি ছিনতাই হয়ে যেত। নারীরা এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু এবার পুলিশ এসব অপরাধ রোধে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে কোনো অপরাধ ঘটেনি। বাজারে ব্যবসায়ী নেতারাও পুলিশকে সহযোগীতা করছে। 

ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর ও মাধবপুর উপজেলা সদরে  দুটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার বসানোর কারণে পুলিশ পরিস্থিতি সহজে নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছে। 

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ইতোমধ্যে ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন বিপণিবিতান, হাট বাজার, সড়কের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে স্পর্শকাতর স্থান, সড়ক, স্থাপনা, বিপণিবিতান, বাসস্ট্যান্ড, পুলিশ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ভাল রাখতে ৪টি ফাঁড়িসহ থানা পুলিশের সব সদস্য তাদের দায়িত্ব পালন করছে। কোনো পুলিশ ঈদে বাড়িতে যাবে না।

হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান জানান, ঈদকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মাধবপুরে ওয়াচ টাওয়ার থেকে সবার গতিবিধি অনুসরণ করা সহজ। কেউ অপরাধ করার চিন্তা করলে তাকে অপরাধ করার আগেই ধরা যাবে। এছাড়া ঈদে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন হবিগঞ্জের চা বাগানসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করেন। এ সময় যাতে কোন ধরনের অঘটন না ঘটে পুলিশ সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রাণহানি বেড়ে ১৭০০, উদ্ধার তৎপরতায় ধীরগতি
  • মিয়ানমারে ভূমিকম্পে দুই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে: জাতিসংঘ
  • চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র অভাবে ব্যাহত ত্রাণ তৎপরতা: জাতিসংঘ
  • ময়মনসিংহে ঈদ ঘিরে দলগুলোর কার কী তৎপরতা
  • ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরও মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা
  • মাধবপুরে ঈদ ঘিরে পুলিশের তৎপরতা