খুলনায় মধ্যরাতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি, আটক ১১
Published: 30th, March 2025 GMT
খুলনায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত ১২টার পর সোনাডাঙ্গা থানার আরামবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক করেছে। সেখান থেকে তিনটি পিস্তল, একটি শটগান, একটি কাটা বন্দুক ও কয়েকটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে নৌবাহিনীর একজন ও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে নৌবাহিনী ও পুলিশের আহত ব্যক্তিদের নাম জানা যায়নি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজম খান বলেন, আরামবাগ এলাকার একটি বাড়িতে সন্ত্রাসীরা বৈঠক করছে, রাত সাড়ে ১২টার দিকে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়া শুরু করে। যৌথ বাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে নৌবাহিনীর এক সদস্য ও পুলিশের দুজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১১ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। রাত তিনটার দিকে প্রাথমিক অভিযান শেষ হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মারধরে কলেজশিক্ষকের মৃত্যু, হামলাকারী আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় মারধরে এক কলেজশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। দোকান ভাড়া–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তির মারধরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত দেড়টার দিকে উখিয়া সদরের ঘিলাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে।
নিহত শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ইকবাল (৫০)। তিনি উখিয়া ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চার শিক্ষক ছিলেন। আটক ব্যক্তির নাম মো. শরিফ প্রকাশ বট্টল (৪৫)। তিনি উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারবিল গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে, এলাকায় কলেজশিক্ষক ইকবালের একটি দোকানে ভাড়াটে হিসেবে রয়েছেন শরিফ। রাতে দোকান ভাড়া–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে ইকবালের কথা-কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে মোহাম্মদ ইকবালের ওপর হামলা করেন শরিফ। ইকবালের চোখ-মুখ, মাথা, পেটে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন তিনি। হইচই শুনে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ইকবালকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোহাম্মদ ইকবালের বড় ছেলে ইফতিয়াজ নুর বলেন, ‘চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় শরিফকে দোকান ছেড়ে দিতে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাতে গড়িমসি শুরু করেন শরিফ। গতকাল রাতে দোকান ছাড়ার কথা নিয়ে বাবার সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। হাতাহাতির এক পর্যায়ে বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর মাথা-মুখ ও পেটে লাথি মারতে থাকেন শরিফ। এতে বাবার মৃত্যু হয়।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসাইন বলেন, হত্যায় অভিযুক্ত মো. শরিফকে আটক করা হয়েছে। কলেজশিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।