সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সৌদির আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে আজ রবিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের অনেক স্থানেই পালিত হয় ঈদের আনুষ্ঠিকতা।
পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা ও ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে আজ রবিবার আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে (বাদ মাগরিব) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড.
আজ দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্ধারিত টেলিফোন বা ফ্যাক্স নম্বরে তথ্য জানানোর অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ অথবা ০২-৪১০৫০৯১৭) কিংবা ফ্যাক্স নম্বরে (০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ বা ০২-৯৫৫৫৯৫১)। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অবহিত করা যাবে।
এবার ২৯ রোজা হলে আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ উদ্যাপিত হবে। আর, চাঁদ দেখা না গেলে বা রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হলে ১ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে রবিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। রবিবার ঈদ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় আগামী সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
মালয়েশিয়াও আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ সোমবার দেশটিতে ঈদ উদযাপন করা হবে। সে হিসেবে এ বছর ৩০টি রোজা পালন করবে মালয়েশিয়া।
ঢাকা/হাসান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রব ব র উদয প
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি স্থাপনে যত চ্যালেঞ্জ
লাল রঙের মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। তাই দীর্ঘদিন ধরে মঙ্গল গ্রহকে প্রাণধারণের উপযোগী করতে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু বিজ্ঞানীরাই নন, মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপনের জন্য কাজ করছেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্কও। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে বসতি গড়ার জন্য ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে যেতে চান তিনি। তবে মানুষ কি আদৌ মঙ্গল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ পাতলা এবং ৯৫ শতাংশই কার্বন ডাই–অক্সাইডে পরিপূর্ণ। অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম থাকায় শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই মঙ্গল গ্রহে মানুষের টিকে থাকার জন্য কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে। শুধু তা–ই নয়, মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল মানুষকে মহাজাগতিক ও সৌর বিকিরণ থেকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে পারবে না। এর ফলে মানুষের শরীরে ক্যানসারের পাশাপাশি স্নায়বিক ক্ষতি ও অন্যান্য মারাত্মক রোগ হতে পারে।
মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের আরেকটি ঝুঁকি হচ্ছে তাপমাত্রা। মঙ্গল গ্রহের গড় তাপমাত্রা মাইনাস ৬৫ থেকে মাইনাস ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মানুষের জীবনধারণের জন্য অত্যন্ত কঠিন। তাই সেখানে বসবাস করতে হলে উষ্ণ আবাসস্থল ও বিশেষ পোশাকের প্রয়োজন হবে। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মঙ্গল গ্রহের ধূলিঝড়। সেখানে ধূলিঝড় কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। ধূলিঝড়ের সময় পুরো গ্রহ ধুলায় ঢেকে যায়। এর ফলে সৌর প্যানেল বসানো হলে তা ধূলিঝড়ের সময় অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
মঙ্গল গ্রহে তরল পানির অস্তিত্ব সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই মানব বসতির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। শুধু তা–ই নয়, খাদ্য উৎপাদন করতে হবে মানুষকে, যা মঙ্গল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশে কঠিন হতে পারে। এ ছাড়া মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে মানুষের হাড় এবং পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
সূত্র: রয়েল মিউজিয়াম গ্রিনউইচ ও প্ল্যানেটারি সোসাইটি