সুনামগঞ্জে নৌকাডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু
Published: 30th, March 2025 GMT
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বৌলাই নদীতে নৌকাডুবিতে চার জন মারা গেছেন।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় আহসানপুর এলাকায় বৌলাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক শিশুকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন, বিউটি চক্রবর্তী (৪৫), কল্পনা সরকার ( ৪৫), গঙ্গা সরকার ( ৬), রৌদ্রা সরকার। আহত শিশুর নাম সৌরভ সরকার (১০)।
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “নৌকাডুবির ঘটনায় চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরেক শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা থেকে একটি ট্রলার ৫০ জন যাত্রী নিয়ে জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের মগলাকান্দি গ্রামে যাচ্ছিলো। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ট্রলারটি আহসানপুর এলাকায় পৌঁছালে ডুবে যায়। এতে নৌকার অন্য যাত্রীরা সাতারে তীরে উঠতে পারলেও শিশুসহ পাঁচ যাত্রী নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয়রা দুই জন নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেন।
ঢাকা/মনোয়ার/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যুবক আমিরুল মৃধাকে (৩২) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আমিরুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার খরসূতি গ্রামের মৃত আনোয়ার মৃধার ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৯ জুন ফরিদপুর পৌরসভার কমলাপুর পিয়ন কলোনিতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ওই দিন শিশুটি স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পর তার মামার দোকানে চিপস কেনার জন্য যায়। ওই সময় আমিরুল দোকানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুটিকে কলোনির একটি হোস্টেলের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মামলা করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট। এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে ধর্ষকদের জন্য।