সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বৌলাই নদীতে নৌকাডুবিতে চার জন মারা গেছেন। 

শনিবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় আহসানপুর এলাকায় বৌলাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক শিশুকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

নিহতরা হলেন, বিউটি চক্রবর্তী (৪৫), কল্পনা সরকার ( ৪৫), গঙ্গা সরকার ( ৬), রৌদ্রা সরকার। আহত শিশুর নাম সৌরভ সরকার (১০)। 

জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “নৌকাডুবির ঘটনায় চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরেক শিশুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।”

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা থেকে একটি ট্রলার ৫০ জন যাত্রী নিয়ে জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের মগলাকান্দি গ্রামে যাচ্ছিলো। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ট্রলারটি আহসানপুর এলাকায় পৌঁছালে ডুবে যায়। এতে নৌকার অন্য যাত্রীরা সাতারে তীরে উঠতে পারলেও শিশুসহ পাঁচ যাত্রী নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয়রা দুই জন নারী ও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেন।

ঢাকা/মনোয়ার/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ 

ঈদের পরদিন ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে চলাচলকারী বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঢাকার বিভিন্ন রুটের বাসের যাত্রীরা অভিযোগ করেন, নির্দিষ্ট ভাড়ার চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। 

কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, রায়েরবাগ, মিরপুর, গাবতলী—যেখান থেকেই যাত্রীরা উঠুক না কেন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। দিতে না চাইলে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

অন্যদিকে, বাসচালক ও সহকারীদের দাবি, ঈদ উপলক্ষে এ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এটাকে ‘ঈদ বোনাস’ বলছেন তারা।

‘দিশারী’ পরিবহনের বাসের যাত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘‘ঈদে সরকারি ছুটি হওয়ার দিন থেকেই বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ঈদের দিনও নিয়েঠে। আজও জোর করে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কেরানীগঞ্জের কদমতলী থেকে দিশারী বাসে গুলিস্তান ১০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। এগুলো কী দেখার কেউ নেই?”

তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ জিম্মি। অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” 

দিশারী পরিবহনের সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, “ঈদের আনন্দ সবার জন্য। আমাদের পরিবার আছে। বাস মালিক তো আমাদের বোনাস দেয় না। ঈদের ছুটিতেও ছেলে-মেয়ে রেখে যাত্রীদের সেবা দিচ্ছি। তাদের কাছ থেকে ঈদ বোনাস চেয়ে  নিচ্ছি। সবার কাছে চাই, যে খুশিতে দেয়  তার কাছ  নিচ্ছি। যিনি দিতে চান না তার কাছ থেকে নিচ্ছি না।” 

বুসন্ধরা থেকে ‘ভিক্টর’ পরিবহনে গুলিস্তান এসেছেন গোলাম মোস্তফা বাবুল। তিনি বলেন, “৩০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। আমি ভাই অল্প আয়ের মানুষ। নিজেই বোনাস পাই নাই। বাসে রোজ তিনবার উঠতে হয়। যত বার উঠেছি তত বার বোনাস দিতে হয়েছে।”

সামিয়া নামে আরেক যাত্রী বলেন, “বাসে উঠলে আর নামলেই ১০ টাকা ভাড়া। এখন দিতে হচ্ছে ২০ টাকা করে।” 

‘সাভার’ পরিবহনে গোলাম হোসেন নামের আরেক যাত্রী বলেন, “ঈদ বোনাস নামে বাড়তি ভাড়া না দিলে খারাপ আচারণ করে। মন চাই না তারপরেও বাড়তি ভাড়া দিচ্ছি।”

 ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম বিপুল বলেন, “যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা কোনোভাবেই আদায় করা যাবে না। বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে বাসচালক ও সুপারভাইজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ