ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া এলাকার গৃহবধূ স্বরভানু বেগম (৫৫)। পা পিছলে পড়ে গিয়ে বাঁ হাতে ব্যথা পেয়েছেন। তিনি চিকিৎসা নিতে মেয়ে ও জামাতার সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। জরুরি বিভাগে তাঁকে এক্স–রে করতে বলা হয়েছিল। টেকনোলজিস্ট না থাকায় হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি ১০ বছর ধরে বন্ধ। ১৫০ টাকা সরকারি খরচের এক্স-রে তাঁকে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ৩৫০ টাকায় করতে হয়েছে। পরে হাসপাতালে এসে তিনি ভাঙা হাতের ব্যান্ডেজ করেন।

রাজাপুরে বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন থাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ অনেক বেশি ছিল। সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে রোগীদের দীর্ঘ লাইন। কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতা রোগের ধরন অনুযায়ী রোগীদের বিভিন্ন কক্ষে চিকিৎসকদের কাছে পাঠাচ্ছেন।

জরুরি বিভাগ সামলাচ্ছেন নাজনিন সুলতানা নামের একজন উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা। তিনি রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বলছে, চিকিৎসক–সংকটের কারণে কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা দিয়ে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। চিকিৎসকদের ২৭টি পদের মধ্যে ১৭টি পদই শূন্য। সিনিয়র কনসালট্যান্ট আছেন মাত্র দুজন। গাইনি বিভাগের একজনমাত্র জুনিয়র কনসালট্যান্ট অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।

ভবনের প্রধান ফটকের সামনেই এক নারী কর্মী হাসপাতালের ফার্মেসিতে বসেছেন। চিকিৎসকেরা রোগীদের যে ওষুধ লিখে দিচ্ছেন, তার কিছু অংশ তিনি বিতরণ করছেন। আর যে ধরনের ওষুধ হাসপতালের তালিকায় নেই, তা বাইরে থেকে কিনতে পরামর্শ দিচ্ছেন।

সকাল থেকে ভবনের দ্বিতীয় তলায় চিকিৎসককে দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন অন্তত ২৫ জন অন্তঃসত্ত্বা। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। সেখানে কথা হয় উপজেলার চর হাইলাকাঠি গ্রামের শান্তা আক্তারের (১৯) সঙ্গে। তিনি সকাল নয়টা থেকে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বলেন, একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী যদি আড়াই ঘণ্টা ধরে একজন চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন, তাহলে তাঁর শরীরের কী অবস্থা দাঁড়ায়!

সকাল থেকে বহির্বিভাগে চার শতাধিক রোগী অবস্থান করছিলেন। তিনজন চিকিৎসক উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো.

আবুল খায়ের মাহামুদ, চিকিৎসা কর্মকর্তা তমাল হালদার এবং আয়ুর্বেদিক ও ন্যাচারাল মেডিসিন শাখার মো. হাসিবুল হোসাইন চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।

হাসপাতাল ভবনের দ্বিতীয় তলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অপেক্ষা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স কর মকর ত চ ক ৎসক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধায় ট্রাক্টর-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে ট্রাক্টর ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চারজন। শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ধাপেরহাট আরভি কোল্ড স্টোরের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মুসা মিয়া (২০)। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায়। ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী একটি পিকআপের সঙ্গে ট্রাক্টরের সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই পিকআপের যাত্রী মুসা মিয়া নিহত হন। আহত হন আরো চারজন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

হাসপাতালে পৌঁছানো হলো না মা-ছেলের

সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘‘সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/মাসুম/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিভি পর্দায় ‘তুফান’
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ১
  • ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২
  • সব হারানো শিশুদের রঙিন ঈদ
  • ভারী যন্ত্রের অভাবে মিয়ানমারে খালি হাতে উদ্ধার অভিযান
  • যেভাবে চাঁদ দেখা হয়, ঘোষণা করা হয় ঈদের তারিখ
  • গাজীপুরে বাস-অটোরিশার সংঘর্ষে একজন নিহত
  • একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হলে ক্ষতি সবার : সারজিস
  • গাইবান্ধায় ট্রাক্টর-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১