রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পের প্রথম মৌসুমের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। তাঁকে কিনে রিয়াল ভুল করেছে কি না, এমন প্রশ্নও তুলেছিল কেউ কেউ। কিন্তু মৌসুমের শেষ ভাগে এসে এমবাপ্পে বুঝিয়ে দিলেন, কেন তিনি সময়ের সেরা।

কেন তাঁকে কেনার জন্য এত নাটকীয়তা। প্রথম মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই গোলের দিক থেকে এমবাপ্পে ছুঁয়ে ফেললেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। রিয়ালের হয়ে নিজেদের প্রথম মৌসুমে (২০০৯-১০) ৩৩ গোল করেছিলেন রোনালদো। ৪৪ ম্যাচে এমবাপ্পের গোলও এখন ৩৩।সামনের ম্যাচগুলো দিয়ে নিশ্চিতভাবেই ‘সিআর সেভেন’কে ছাড়িয়ে যাবেন এমবাপ্পে।

রোনালদোকে ছোঁয়ার পথে গতকাল রাতে লেগানেসের বিপক্ষে রিয়ালের ৩-২ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন এমবাপ্পে। অন্য গোলটি এসেছে জুড বেলিংহামের কাছ থেকে। এই জয়ের ফলে পয়েন্টের দিক থেকে বার্সাকে ছুঁয়ে ফেলেছে রিয়াল। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে বার্সাই। ২৯ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৬৩, এক ম্যাচ কম খেলে বার্সার পয়েন্টও ৬৩। গোল ব্যবধানেও অবশ্য রিয়ালের (‍+৩৩) চেয়ে এগিয়ে আছে বার্সা (‍+৫১)।

আরও পড়ুনহলান্ড নাকি এমবাপ্পে, রোনালদোর গোলের রেকর্ড ভাঙবেন কে২৪ জানুয়ারি ২০২৫

রিয়াল বার্সাকে ছুঁয়ে ফেললেও শিরোপা লড়াই থেকে অনেকটা পিছিয়ে গেল আতলেতিকো মাদ্রিদ। এস্পানিওলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা। এর ফলে ২৯ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে থাকল আতলেতিকো।

রিয়ালের দুই জয়ের নায়ক এমবাপ্পে ও বেলিংহাম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

চিত্রা নদীর পাড়ে রংতুলির উৎসবে ছবি আঁকল শিশুরা, দিনভর প্রদর্শনী

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের স্মৃতিবিজড়িত চিত্রা নদীর পাড়ে বসে একদল শিশু রংতুলি হাতে ফুটিয়ে তুলছে তাদের কল্পনার জগৎ। কারও তুলির টানে উদিত হচ্ছে লাল-কমলা সূর্য, কেউ আঁকছে নদীর বুকে পালতোলা নৌকা। আবার কেউ তুলে ধরছে সোনালি ধানের খেত, কৃষকের ঘামঝরা পরিশ্রম কিংবা গাঁয়ের সরল নিসর্গ। গ্রামবাংলার প্রকৃতির যেন কোনো রূপই বাদ পড়ছে না এই ছোট্ট শিল্পীদের ক্যানভাসে।

আজ শুক্রবার সকালে এই দৃশ্যের দেখা মেলে নড়াইল শহরের চিত্রা নদী পাড়ে অবস্থিত বাঁধাঘাটে। সেখানে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয় একটি গ্যালারি, তাতে প্রদর্শিত হয় শিশুদের আঁকা নানা ছবি। ‘বৈশাখে রাঙিয়ে দাও বাংলাদেশ’ স্লোগানে এই আয়োজন করে স্থানীয় শিল্প সংগঠন চারুনীড়।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় অর্ধশতাধিক শিশু। মুক্ত পরিবেশে বসে আপনমনে ছবি আঁকেন তাঁরা। নিজের আঁকা ছবি প্রদর্শনীতে দেখে শিশুদের চোখেমুখে ফুটে ওঠে আনন্দের ঝিলিক।

ছবি আঁকা শেষে অনন্যা নামে এক শিশু প্রথম আলোকে বলে, ‘গাঁয়ের বধূরা ঘাট থেকে জল আনছে, ছোট ছেলেমেয়েরা নদীতে সাঁতার কাটছে, পাশ দিয়ে পালতোলা নৌকা যাচ্ছে, এমন একটি ছবি আমি এঁকেছি। প্রদর্শনীতে আমার আঁকা একটি ছবি আছে।’

আরেক শিশু প্রতিযোগী বলে, ‘আমার মতো অনেকে ছবি আঁকতে এসেছে। দেখে খুব ভালো লাগছে। সবাই সুন্দর সুন্দর ছবি এঁকেছে, আমিও এঁকেছি।’

শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও প্রদর্শনী দেখতে আসেন অভিভাবক ও দর্শনার্থীরা। শিশুদের আঁকা ছবি দেখে উচ্ছ্বসিত তাঁরা। কিছু অভিভাবক ও দর্শনার্থী ছবিগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন, যেন প্রতিটি ছবির মধ্যে খুঁজে পাচ্ছিলেন একাত্মতা ও নতুন দৃষ্টি। একে অপরকে ছবির ভিন্নতা নিয়ে আলোচনা করছিলেন তাঁরা, যা প্রদর্শনীর এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল।

শিশুদের আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে নড়াইল শহরের বাঁধাঘাট চত্বরে

সম্পর্কিত নিবন্ধ