মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আইপিএলের আরও একটি মৌসুম শুরু করলো পর পর দুই ম্যাচ হেরে। শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে গুজরাট টাইটান্স নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়ে মুম্বাইকে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ দেয়।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গুজরাট আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৯৬ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানের বেশি করতে পারেনি মুম্বাই।

ব্যাট হাতে মুম্বাইর দুইজন ব্যাটসম্যান বলার মতো রান পান। তার মধ্যে সূর্যকুমার যাদব ২৮ বলে ১টি চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮ রান করেন। তিলক ভার্মা ৩৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৯ রান। তৃতীয় উইকেটে তাদের ৬২ রানের জুটিতে স্বপ্ন দেখছিল মুম্বাই। কিন্তু তারা দুজন আউট হওয়ার পর জয়ের পথ থেকে ছিটকে যায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

শেষদিকে মিচেল স্যান্টনার ৯ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে অপরাজিত ১৮ ও নামান ধীর ১১ বলে ৩ চারে অপরাজিত ১৮ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান মাত্র।

বল হাতে গুজরাটের প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। আর মোহাম্মদ সিরাজ ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে ১৯৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেতে গুজরাটকে সহায়তা করেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। তার মধ্যে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাই সুদর্শন ৪১ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক শুভমান গিল ২৭ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৮ রান। আর ওয়ান ডাউনে নামা জস বাটলার ২৪ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৯ রান। এর বাইরে ১১ বলে ২ ছক্কায় ১৮ রান করেন শেরফেন রাদারফোর্ড।

বল হাতে মুম্বাইর হার্দিক পান্ডিয়া ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, দীপক চাহার, মুজিব উর রহমান ও সত্যনারায়ণ রাজু।

১৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন গুজরাটের প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।

এই জয়ে ২ ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গুজরাট অবস্থান নিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে। আর দুই ম্যাচ খেলে কোনো জয় না পাওয়া মুম্বাই আছে টেবিলের নবম স্থানে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য টসম য ন উইক ট ন র ন কর ১৮ র ন

এছাড়াও পড়ুন:

আইপিএলে বাউন্ডারি বড় করার পরামর্শ গাভাস্কারের

আইপিএল মানেই রানের বন্যা। ফ্ল্যাট পিচ, ছোট বাউন্ডারি আর ব্যাটসম্যানদের অনুকূল কন্ডিশন যেন বোলারদের দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকভাবে উচ্চ স্কোরিং ম্যাচ দেখে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা এখন ভারসাম্য আনার পরামর্শ দিচ্ছেন। ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক সুনীল গাভাস্কার সেই তালিকায় যোগ দিয়ে মাঠের আকার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।  

গাভাস্কার মনে করেন, আইপিএলে বোলারদের জন্য কিছুটা সুবিধা আনতে হলে বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য বাড়ানো প্রয়োজন। তার মতে, এলইডি বিজ্ঞাপন বোর্ডের পেছনে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে, যা পেছনে সরিয়ে বাউন্ডারির লাইন কয়েক মিটার বাড়ানো যেতে পারে।  

মিড ডে-তে লেখা এক কলামে গাভাস্কার বলেন, ‘পাওয়ারপ্লেতে ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরনে পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু বাউন্ডারির আকার সেই আগের মতোই রয়ে গেছে। অনেক ছক্কা মাত্র কয়েক ইঞ্চির জন্য বাউন্ডারি পার হয়। যদি বাউন্ডারি কয়েক মিটার পেছনে থাকত, তাহলে হয়তো অনেক শট ক্যাচে পরিণত হতো এবং বোলাররা উইকেট পেতেন।’  

চলতি আইপিএলে প্রথম ১১ ম্যাচের মধ্যে ৬টিতে দলীয় স্কোর ২০০ ছাড়িয়েছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তাদের প্রথম ম্যাচেই ২৮৬ রান করেছিল, যা ব্যাটিং-বান্ধব কন্ডিশনের প্রমাণ।  

এছাড়া, আইপিএলের অর্থনৈতিক দিক নিয়েও কথা বলেছেন গাভাস্কার। তিনি মনে করেন, ম্যাচ-পরবর্তী খেলোয়াড়দের পুরস্কারের অর্থও সময়ের সঙ্গে বাড়ানো উচিত। তিনি লেখেন, ‘২০০৮ সালের প্রথম আসর থেকে আইপিএলের রাজস্ব অনেক বেড়েছে, কিন্তু প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারের অর্থ এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।’  

তিনি আরও যোগ করেন, ‘যখন সন্তান স্কুল থেকে কলেজে ওঠে, তখন বাবা-মা তার পকেট খরচ বাড়িয়ে দেন। আইপিএলও এখন পরিণত হয়েছে, তাহলে পুরস্কারের পরিমাণও কি বাড়ানো উচিত নয়?’  

গাভাস্কারের মতে, আইপিএলকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও আকর্ষণীয় করতে হলে বোলারদের জন্য কিছু সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি। বাউন্ডারির আকার বাড়ানোর পাশাপাশি ম্যাচ-পরবর্তী পুরস্কারের বিষয়েও নজর দেওয়া উচিত আয়োজকদের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ