আসন্ন ঈদ উদ্যাপন উপলক্ষে গান শোনানোর ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। রোববার সন্ধ্যা সাতটায় নন্দন মঞ্চে গাইবেন ইমন চৌধুরী, ন্যান্সি, কাওয়াল আহমেদ নূর আমেরি। আহমেদ নূর আমেরি কাওয়ালি ও মাইজভান্ডারির জন্য পরিচিত।
আয়োজনটি নিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘প্রথমবারের মতো শিল্পকলা একাডেমিতে ঈদের অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ বহু ভাষার, বহু মতের, বহু ধর্মের দেশ। বহুজনের এই সমাজে আমরা যে জীবন যাপন করি, তার সবকিছুই আমাদের সংস্কৃতির অংশ। বাংলাদেশ এর সবকিছুই উদ্যাপন করবে। কোনো বিভাজনের রাজনীতি আর এখানে স্বাগত নয়।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন গত শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, মানুষের মধ্যে চাঁদরাতের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে এ আয়োজন করছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘চাঁদরাতটা আমাদের মধ্যে আনন্দের বার্তা দিয়ে আসে। সেই আনন্দের মাত্রাটা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। সেই ভাবনা থেকেই এই আয়োজন।’
শিল্পকলা একাডেমি জানিয়েছে, পরিবেশনার শুরুতেই কাওয়ালি ও মাইজভান্ডারি পরিবেশন করবেন আহমেদ নূর আমেরি ও সহশিল্পীরা।
এরপর কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি একক পরিবেশনা উপস্থাপন করবেন। সর্বশেষ গান শোনাবে ‘দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইয়ো না’ গানের ব্যান্ড বেঙ্গল সিম্ফনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত। গানের পাশাপাশি মেহেদী কর্নারও থাকছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নাসুমকে চড় মারেননি হাথুরু, দাবি হেরাথ ও পোথাসের
২০২৩ ভারত বিশ্বকাপ চলাকালে ড্রেসিংরুমে নাসুম আহমেদকে তৎকালীন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চড় মেরেছিলেন বলে গুঞ্জন উঠেছিল। সেই গুঞ্জনের ভিত্তিতেই হাথুরুসিংহেকে চাকরিচ্যুত করে ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বিসিবি। তবে হাথুরুর পাশাপাশি এবার সেই ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করলেন তখনকার কোচিং স্টাফের আরও দুই সদস্য, সহকারী কোচ নিক পোথাস ও স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম কোড স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দুজন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তারা এমন কোনো ঘটনা ঘটতে দেখেননি। তাদের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্রিকবাজ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে রঙ্গনা হেরাথ বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলছি, নাসুমকে চড় মারার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। কেউ বলতেই পারে, কিছু ঘটেছে, কিন্তু প্রমাণ ছাড়া তো কিছু বলা যায় না। চড় মারা আর পিঠে হালকা ধাক্কা দেওয়া এক জিনিস না।’
নিক পোথাসও হেরাথের মতোই হাথুরুসিংহের পক্ষে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি হাথুরুকে ভালোভাবে জানি। তিনি একজন অভিজ্ঞ ও পেশাদার কোচ। যদি সত্যিই তিনি এমন কিছু করতেন, তাহলে এতদিন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে থাকতে পারতেন না। আমি মনে করি, যারা এই অভিযোগ করেছেন, তাদের কিছুটা ব্যক্তিগত ক্ষোভ থাকতে পারে।’
পোথাসের মতে, অভিযোগটি হয়তো ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, ‘যিনি অভিযোগ করেছেন, হয়তো বুঝতেই পারেননি যে, বিষয়টি এত বড় আকার নেবে। এর ফলে হাথুরুর ব্যক্তিজীবন এবং ক্যারিয়ার দুইটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের পিঠে চাপড় মারা বা হাত দিয়ে ইশারা করে কিছু বোঝানো খুব সাধারণ বিষয়। ভাষার ভিন্নতার কারণে, আপনাকে অনেক সময় হাতের ইশারার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হয়।’