ইফতার মাহফিল ও দোয়ার অনুষ্ঠান করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তি। গত শুক্রবার রাজধানীর গুলশান ২ এর জেসিআই ক্লাবে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক শক্তির আহ্বায়ক মেজর জেনারেল এহতেশাম-উল হক, সদস্য সচিব ক্যাপ্টেন মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, মিয়া সিরাজ, নুরুল হুদা মিয়া, সেলিম প্রধান, তালুকদার মনিরুজ্জামান, বিচারপতি ড.

আবু তাহের, তাসনিম রানা (সাবেক এমপি), ফাল্গুনী গ্রুপ এর চেয়ারম্যান জনাব আবদুল আল মাসুদ, লায়ন মো. সোহাগ পাটওয়ারী প্রমুখ।

বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক শক্তির আহব্বায়ক দেশবাসীর জন্য দোয়া করছেন এবং সকল কে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

মোবাইল চুরির অভিযোগে শ্রমিক দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় মোবাইল চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে শ্রমিক দলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

নিহত মো. রাজু (৩৫) সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। তিনি সবুজের গোঁজা এলাকার সফিক উল্যা সবুজের ছেলে।

এ ঘটনায় আটক চারজনের মধ্যে দুজনের নাম জানিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- সবুজের গোঁজা এলাকার মো. হারুনের ছেলে কবির হোসেন এবং একই এলাকার নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী রেখা বেগম। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ রাত ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৩০ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে সবুজের গোঁজা এলাকায় কাজল কোম্পানির ইটভাটার সামনে রাজুকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, তিনি কবির হোসেনের বাড়িতে ঢুকে মোবাইল চুরি করতে গিয়েছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাজুর পরিবার দাবি করেছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। রাজুর মা নেহার বেগম, ভাই ওহিদ হোসেন, বোন জেসমিন বেগম ও মেয়ে রুবি আক্তার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, রাতে রাজুর মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলে তিনি তার ভাতিজা কবিরের ঘরে চার্জ দিতে যান। এ সময় কবির লোকজন ডেকে এনে রাজুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। রাজুর শরীরে টেঁটা ও ইট দিয়ে আঘাত করা হয়, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়েছে।

চররুহিতা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘রাজু চুরির সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।’

সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, রাজুকে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। কবির ও রেখাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হবে। আটক অপর দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ