পদ্মা ও যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার মোটরসাইকেল পার
Published: 29th, March 2025 GMT
ঈদের আনন্দ স্বজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে সড়ক-মহাসড়কে। এর প্রভাব পড়েছে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দুই সেতু দিয়ে প্রায় ২০ হাজার মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে।
নির্বিঘ্নে পদ্মা সেতু অতিক্রম করছে ঘরমুখী মানুষ। দুটি লেনে মোটরসাইকেলসহ ৯টি লেনে মানুষ সেতুতে প্রবেশ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় অস্থায়ী একটি টোল বুথ চালু করা হয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী ফেরদৌস জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৪২ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু দিয়ে ৬৪ হাজার ৭৪০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এসব যানবাহনের মধ্যে ১৬ হাজার মোটরসাইকেল।
পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ৩৯ হাজার ৬৩৭টি যান পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল প্রায় ১০ হাজার।
তিনি বলেন, চৈত্রের দাবদাহ থেকে বাঁচতে অনেকেই ভোরে রওনা দেন। তাই সকালে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় লম্বা লাইন দেখা যায়। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, জিপ, মাইক্রো, বাস, ট্রাক সব ধরনের যানবাহনই সেতু পারাপার হচ্ছে। কখনো যানবাহনের চাপ বেড়ে সারি দীর্ঘ হচ্ছে। আবার কখনো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে তিন গুণ। তবে যানজট নেই। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলছে। মহাসড়কে গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল বেশি চলাচল করছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ৯ হাজার ১৬৩টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১৫০ টাকা। শনিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে যমুনা সেতুর টোল প্লাজায় মোটারসাইকেলের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
যযুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন পার হচ্ছে। এ ছাড়া দুই পাশেই মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা দুটি করে চারটি বুথ রয়েছে। এতে ভোগান্তি ছাড়াই ঘরমুখী মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প র প র হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় চার নির্দেশনা
আগামী ৮ মে শুরু হচ্ছে ৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার্থীদের জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- লিখিত পরীক্ষায় বই, ঘড়ি, মুঠোফোন, অলংকারসহ কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরীক্ষাকেন্দ্রে এ ধরনের কোনো সামগ্রী পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং ভবিষ্যতে পিএসসির সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য দেয়া নির্দেশনাগুলো হলো:
১. পরীক্ষার হলে নিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে-বইপুস্তক, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো বস্তু, অলংকার, ব্রেসলেট ও ব্যাগ।
২. পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র যাচাই এবং মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে পরীক্ষার্থীদের হলে ঢুকতে দেওয়া হবে।
৩. পরীক্ষার দিন নিষিদ্ধ সামগ্রী না আনতে পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে, যা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৪. পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের কানের ওপর কোনো আবরণ রাখা যাবে না। কানে হিয়ারিং এইড প্রয়োজন হলে, চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই পিএসসি থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
৪৬তম বিসিএসে মোট ৩ হাজার ১৪০টি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে-সহকারী সার্জন পদে ১,৬৮২ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে, যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে ৫২০ জনকে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে নেওয়া হবে।
ঢাকা/হাসান/টিপু