Samakal:
2025-04-01@02:22:13 GMT

বিভেদের প্রাচীর ভেঙে যাক

Published: 29th, March 2025 GMT

বিভেদের প্রাচীর ভেঙে যাক

ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জীবনে একটি অনন্য দিন। টানা এক মাস রোজা পালনের পর আসে এই ঈদ। পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেদের পাপ ও পাশবিক প্রবৃত্তি দমন করে উৎসব হিসেবে পালিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর।

ইসলামী সংস্কৃতির অনন্য উৎসব ঈদ। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত হিসেবে পালিত হয় এই উৎসব। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে  ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু, সাদা-কালো সব ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনার মাধ্যমে মুসলিম ভ্রাতৃত্বকে সুদৃঢ় করা।  

ইসলামে দুটি ঈদের কথা বলা হয়েছে। একটি ঈদুল ফিতর; যা রমজানের রোজা পূর্ণ করে পালন করা হয়। অন্যটি ঈদুল আজহা, যা হজ বা কোরবানি উপলক্ষে পালন করা হয়। ঈদ মানে আনন্দ, খুশি। তবে ঈদের সঠিক অর্থ বারবার আসা। ঈদ যেহেতু সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীতে বারবার আসে সেহেতু ঈদকে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। ঈদ পর্বটি নিয়ে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। 
মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি রহমত ও বরকতময় দিন হিসেবে ঈদ উৎসব মুসলমানদের প্রতি নির্দেশিত হয়েছে। মানুষে মানুষে যে বিভেদের প্রাচীর তৈরি হয়, এ উৎসব তাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। ধনী-গরিব, আশরাফ-আতরাফ, রাজা-প্রজা, মালিক-শ্রমিকের ভেদাভেদ ভুলে মানুষ সেদিন একাকার হয়ে যায়। ঈদের দিনটি একজন মুমিনের জন্য বড় আনন্দের দিন। পরম প্রাপ্তির দিন।

হজরত সাদ বিন আওস আনসারী (রা.

) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন ফেরেশতারা রাস্তার প্রতিটি গেটে দাঁড়িয়ে যায় এবং মুসলমানদের ডেকে বলে, ‘হে মুসলমানগণ! তোমরা তোমাদের সেই পরম দাতা প্রভুর দিকে চলো, যিনি নিজ কৃপায় তোমাদের শান্তি ও মঙ্গলের শিক্ষা দেন, তার ওপর আমল করার শক্তি দেন, অতঃপর এর ওপরই তোমাদের পুরস্কৃত করেন। ঈদ উৎসব শুরু হয় মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার মধ্য দিয়ে। তা সালাতুল ঈদ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ঘোষিত হতে থাকে। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈদের চাঁদ দেখবে তার উচিত পরের দিন ইমাম ঈদগাহে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত তাকবির পড়া।’ মুসলিম সমাজের প্রত্যেক মানুষ–গরিব দুঃখী অসহায়–সবাই সমানভাবে এতে অংশ নিতে পারে। সুতরাং ঈদের এ উৎসব শুধু আনন্দ উৎসব নয়, বরং এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ উৎসব; যা ইবাদতের শামিল।

সাধারণত আমাদের দেশে ঈদ উৎসবে ঈদের জামাত ছাড়া ভিন্ন কোনো কর্মসূচি খুব একটা চোখে পড়ে না। তাই এবারের ঈদকে নগরবাসীর জন্য আরও সুন্দর ও উপভোগ্য করতে সরকার নতুন কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঈদ মিছিলের বিষয়ে আমরা কমবেশি সবাই অবগত আছি। সুলতানি আমল-পরবর্তী ব্রিটিশ আমলেও ঈদ মিছিলের আয়োজন করা হতো। এই সংস্কৃতিকে এবার রিভাইভ করার উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। গ্রামের ঈদগাহের পাশে যেমন ছোট করে মেলা বসে, ঠিক তেমনি মেলা থাকবে দিনব্যাপী। ঈদের জামাতের পরই হবে ঈদ আনন্দ মিছিল। মিছিলটি জামাতের স্থান থেকে শুরু হয়ে সংসদ ভবনের সামনে এসে শেষ হবে।
আমরা সারাদেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও উপজেলা সদর থেকেও এ ধরনের ঈদ আনন্দ শোভাযাত্রা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে উপভোগ্য করতে পারি। সমাজের মানুষের মধ্যে ঈদ একটি পবিত্র সম্পর্ক গড়ে তোলে। পারস্পরিক ঐক্য ও সংহতির শিক্ষা দেয়। তাই আসুন, নতুন বাংলাদেশে নতুনভাবে আমাদের ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন। আমিন।

ড. মো. শাহজাহান কবীর: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ উৎসব ম সলম আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও চাঁদরাতে বাংলাভিশনের ‘উৎসবে আনন্দে’

এক যুগের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে বাংলাভিশন চাঁদরাত ঘিরে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে। প্রতিবারের মতো এবারও প্রচার করতে যাচ্ছে বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান ‘উৎসবে আনন্দে’। অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচার হবে ঈদের আগের দিন রাত ৮টা ১ মিনিটে।
ঈদ আয়োজনের পাশাপাশি জনপ্রিয় স্যাটেলাইট চ্যানেল বাংলাভিশন ২০ বছরে পদার্পণ করছে। এবারের আয়োজনে অংশ নেবেন জনপ্রিয় তিন ফোকশিল্পী বিউটি, আশিক ও দীপা।

তাঁরা গান শুনিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করবেন। লোকসংগীতের ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে অনুষ্ঠানটিতে শিল্পীরা চিরায়ত বাংলা গানের কালজয়ী এবং জনপ্রিয় গানগুলোই এ অনুষ্ঠানে পরিবেশন করবেন বলে জানানো হয়েছে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

বাংলাভিশনের অনুষ্ঠানপ্রধান তারেক আখন্দ চাঁদরাত উপলক্ষে বলেন, ‘এবারের চাঁদরাত আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, কারণ, এটি ভিন্ন এক পটভূমিতে উদ্‌যাপিত হচ্ছে। একই সঙ্গে দর্শকপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন বাংলাভিশনের ১৯ বছর পূর্তি; ২০ বছরে পদার্পণ—যা আমাদের জন্য এক আনন্দঘন মুহূর্ত। আমরা চাই, এই উৎসবমুখর সময়কে চাঁদরাতের আয়োজনে আরও রঙিন করে তুলতে। সে লক্ষ্যে, প্রতিবছরের মতো এবারও লোকগীতি নিয়ে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি দর্শকেরা এক ভিন্ন আমেজে চাঁদরাত উপভোগ করবেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী বছর থেকে আরও বড় পরিসরে ঈদ আয়োজন করা হবে: আসিফ মাহমুদ
  • একটা জিনিস বুঝেছি, বাবা-মা ছাড়া ঈদ করা কঠিন: ন্যান্সি
  • সেই সুযোগ এখন আর হয় নেই: ন্যান্সি
  • ঈদে সেই সুযোগ এখন আর হয় নেই: ন্যান্সি
  • ঈদের দিনটা কেটে যায় কাজে, নিজের জন্য আর কিছুই থাকে না
  • আগামীতে আরও বড় পরিসরে ঈদ আনন্দ উৎসবের ঘোষণা আসিফ মাহমুদের
  • বছর ঘুরে আবারও এল খুশির ঈদ
  • তারেক রহমানের ঈদ শুভেচ্ছা, চাইলেন স্বৈরাচারের বিচারও
  • চাঁদ দেখা গেছে, কাল ঈদ
  • প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও চাঁদরাতে বাংলাভিশনের ‘উৎসবে আনন্দে’