বিজিবিরচেষ্টায় মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ৬ জেলে
Published: 29th, March 2025 GMT
মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির হাতে আটক ৬ বাংলাদেশি জেলে দেশে ফিরেছেন। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চেষ্টায় তারা মুক্তি পান।
এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খান।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১ মার্চ সন্ধ্যায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মি প্রথমে পাঁচজনকে আটক করে। পরে ২৫ মার্চ আরও একজনকে আটক করে। এ সময় দুইটি মাছ ধরার নৌকাও জব্দ করে তারা। জেলেদের ফেরাতে বিজিবি চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ আলোচনার পর শনিবার দুপুরে তাদের মুক্ত করা সম্ভব হয়। বর্তমানে ফিরে আসা জেলেদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, প্রিয়জনদের ফিরে পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে তাদের পরিবার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর ক ন আর ম
এছাড়াও পড়ুন:
পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ পাঁচ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাদের একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়াসের বান্ধবী। তখন পারভেজ সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। তিনি কেন হাসলেন–এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিয়াসের বান্ধবী। এরপর পিয়াস, মেহেরাজ ও মাহাথিরের সঙ্গে পারভেজদের বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর ক্যাম্পাস থেকে বের হলে পারভেজকে একদল তরুণ ঘিরে ধরে। এ সময় তার বুকে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন পারভেজ। পরে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।