Samakal:
2025-04-21@15:12:22 GMT

সৈকতে মার্কেট, ঝুঁকিতে পর্যটক

Published: 29th, March 2025 GMT

সৈকতে মার্কেট, ঝুঁকিতে পর্যটক

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত দখল করে গড়ে ওঠা একটি মার্কেটকে পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে সাইনবোর্ড দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। অথচ সেই মার্কেট বর্ধিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে।
সরদার মার্কেট নামের এই মার্কেট টাইলস মার্কেট নামেই বেশি পরিচিত। এটি নির্মাণ করা হয়েছে কাঠ, টিন ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে। 
এখন এটির দ্বিতীয় তলায় কাঠের মাচার ওপর ইট-সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। এতে 
মার্কেটটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মার্কেটের নিচতলায় ৪০-৫০টি দোকান রয়েছে। পর্যটকরা সারাবছর এসব দোকানে কেনাকাটা করেন। গত বছর নভেম্বরে মার্কেটটির পাশে সাইনবোর্ড দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে কুয়াকাটা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ‘এই স্থাপনাটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, যে কোনো সময়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সম্মানিত পর্যটকবৃন্দ ও ব্যবসায়ীগণকে সাবধানতা অবলম্বন করার অনুরোধ করা হলো।’
এর পরও মার্কেটটি বড় করছেন এর মালিক দাবি করা সাজেদুল ইসলাম হিরু। তবে সৈকতের মালিকানা সরকারের, এখানে মার্কেট করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
সম্প্রতি কুয়াকাটা সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের জিরো পয়েন্টে প্রায় ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের মার্কেটটির পশ্চিম পাশ পুরোপুরি সৈকতের ভেতরে। জোয়ারের পানি সবসময় এই মার্কেটে এসে আছড়ে পড়ে। স্থাপনাটিকে আরও প্রায় ৪০ ফুট উঁচু ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যে বাড়ানো হচ্ছে। এ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে সৈকতের বালু। স্থাপনাটি বর্ধিত করায় মার্কেটের অর্ধশত ব্যবসায়ী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কেটের এক দোকানি জানান, সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ায় মার্কেটটি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা ঝুঁকির মধ্যে আছেন। মার্কেটটি বাড়ানো হলে আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি হবে। ফলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যবসায়ীরা গরিব বলে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেন না। বললে তাদের উঠিয়ে দেওয়া হবে। ব্যবসা না করলে তারা খাবেন কি– দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন এই দোকানি।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু বলেন, কুয়াকাটাতে স্থায়ী কোনো মার্কেট না থাকায় এই মার্কেট কিছুটা হলেও পর্যটকদের প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্য কেনার গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত। তবে সমুদ্রসৈকতে মার্কেট নির্মাণ করায় এটি ধসে যেতে পারে। তাই পৌরসভা এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সাইনবোর্ড দিয়েছে। তবে পুরোপুরি সৈকতের মধ্যে গড়ে ওঠা মার্কেটটিকে কীভাবে বাড়ানো হচ্ছে, তা তাঁর জানা নেই। এখানে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে শত শত পর্যটকের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সৈকত দখল করার কারণে সৈকতের সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সাজেদুল ইসলাম হিরু বলেন, এই জমির মালিক তিনি। তাঁর জমির অনেকাংশ সমুদ্রের মধ্যে রয়েছে। এটা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বারবার বৈঠক হয়েছে, আবারও হবে। এই স্থাপনা ঝুঁকিপূর্ণ নয় দাবি করে তিনি বলেন, প্রকৌশলীর পরামর্শ নিয়ে এ স্থাপনার কাজ করা হয়েছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসীন সাদেক বলেন, এ বিষয়ে শিগগির আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমুদ্রসৈকতের মালিক একমাত্র সরকার, এখানে ব্যক্তি মালিকানার কোনো সুযোগ নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও দায়সারা সাইনবোর্ডের মানে কী? মার্কেটটি সিলগালা বা বন্ধ করা হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে ইয়াসীন সাদেক জানান, এ এলাকার অনেক জমি নিয়ে মামলা চলছে। তাই ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে (তহশিলদার) সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ইনব র ড ব যবস য় স কত র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে পাঁচটি রাজ্য সরকার চায় বিএমজেপি

কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি দেশকে পাঁচটি রাজ্যে বিভক্ত করে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা প্রচলনসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছে বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি (বিএমজেপি)। দলটি বলেছে, বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও ভূ-রাজনীতির কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। পৃথিবীর কোনো পরাশক্তি বাংলাদেশকে ছোট করে দেখতে পারবে না। সেজন্য প্রতিবেশী দেশসহ সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্কের বিকল্প নেই। অবশ্যই সেই সম্পর্ক হবে সমমর্যাদা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত বিএমজেপি এর সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়। 

দলটির পাঁচদফা দাবিতে আরও রয়েছে, ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ আদর্শ প্রতিষ্ঠা; সর্বস্তরে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্রের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা; জাতীয় শিক্ষাক্রমের সব পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিফলনশীল পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং পাঠদানের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়ার পর দলটির পক্ষে আয়োজিত প্রথম এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএমজেপি সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল। দলকে নিবন্ধন দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ভয়কে জয় করে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে বিএমজেপি।

তিনি বলেন, ছাত্রদের গণ-আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা নিয়ে এসেছে। এ কাজে সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উত্তরণে বড় রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকাও প্রশংসনীয়।
  
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমজেপি এর মহাসচিব দিলীপ রায়, যুগ্ম মহাসচিব ডা. ফাইজুর রহমান, অ্যাডভোকেট তারক চন্দ্র রায় ও অ্যাডভোকেট সুধীর কুমার সূত্রধর।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ