এখন আরেক দল শেখ হাসিনার মতো ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শনিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এখন আবার আরেক দল নেমেছে। এরা বলছে, আমাদের এতগুলো কাজ করতে হবে, সংস্কার করতে হবে। ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তারা তো বুঝতে পারছে না, তারা যে শেখ হাসিনার ভাষায় জনগণের কাছ থেকে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ভোটকে বিলম্বিত করে, দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।’

নগরের পাঁচলাইশ এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সংস্কার, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নতুন বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দেশের পরিবর্তন আসবে ভোটের মাধ্যমে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার সংসদে গিয়ে দেশের সব পরিবর্তন আনবে। আর কাউকে পরিবর্তনের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি এখানে। তাই অতিসত্বর নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। তারাই ঠিক করবে দেশ কোন পথে যাবে। আর কেউ নয়।’

কিছু কিছু শক্তি জনগণকে ভয় পাচ্ছে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, ‘আজকে কিছু কিছু শক্তি, যারা জনগণকে ভয় পায়, যাদের জনগণের ওপর আস্থা নেই, যারা নির্বাচনব্যবস্থাকে ভয় পায়, নির্বাচনে যেতেও ভয় পায়, তারা জানে নির্বাচনে গেলে তাদের হয়তো যে ফলাফল আসা দরকার, সেটা আসবে না। সে জন্য শেখ হাসিনা ১৫ বছর জনগণকে নির্বাচনে যেতে দেয়নি।’

আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি। গণতন্ত্র ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা গণতন্ত্র চাই, মানবাধিকার চাই, আইনের শাসন চাই। দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনগণের মাধ্যমে একটি সংসদ চাই, সরকার চাই, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে। সবাই মিলে এটা বাস্তবায়ন করব।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, উচ্ছৃঙ্খল হলে চলবে না। নতুন রাজনীতি হচ্ছে শৃঙ্খলার রাজনীতি। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তনের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে। মানুষের নতুন চিন্তা ধারণ করতে হবে, তাহলে বিএনপির রাজনীতি এগিয়ে যাবে।

শুলকবহর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী শামসুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাসান উসমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান।

মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখনো ৫ আগস্টের মতো আওয়ামী লীগ পালিয়েছিল। তখন বাঙালি যা পেয়েছে, তা-ই নিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র জনগণ র র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের দিন ঐক্যের ডাক দিলেন ইস্তাম্বুলের মেয়র

কারাগার থেকে ঐক্যের ডাক দিলেন ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু। রোববার তুরস্কে ঈদ উদ্‌যাপিত হয়। ঈদের দিনে তিনি জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ার আহ্বান জানান।

দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন ইমামোগলু। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। এক সপ্তাহ আগে ইমামোগলু গ্রেপ্তার হন। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন সড়কে বড় জমায়েত করছে বিরোধী দল। গত এক দশকে তুরস্কে এত বড় বিক্ষোভ হতে দেখা যায়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আইনজীবীর মাধ্যমে দেওয়া বার্তায় ইমামোগলু বলেছেন, ‘যাঁরা ভাবেন যে আমরা ছুটি উদ্‌যাপন করতে পারব না, তাঁরা খুব ভুল করছেন! কারণ, আমরা অবশ্যই একসঙ্গে থাকার উপায় খুঁজে পাব!’

ইমামোগগুলের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত শনিবার ইস্তাম্বুলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এ ঘটনায় তুরস্কে গণহারে গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটছে। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিক্ষোভ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাত তুর্কি সাংবাদিকও আছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এখনো বিপুলসংখ্যক মানুষের সমর্থন ধরে রেখেছেন। তিনি এ বিক্ষোভকে ‘পথসন্ত্রাস’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করছে এবং জনগণের সম্পদ নষ্ট করছে। এরদোয়ান মনে করেন, বিরোধী দলের এ ‘শো’ ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাবে।

ইমামোগলুর বিরুদ্ধে একটি অপরাধ সংগঠন প্রতিষ্ঠা, ঘুষ নেওয়া, চাঁদাবাজি ও সরকারি টেন্ডারে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে। ইমামোগলু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি তাঁর গ্রেপ্তারের ঘটনাটিকে অভ্যুত্থান বলে উল্লেখ করেছেন।

তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটির আদালতগুলো স্বাধীন। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো তা মনে করে না।

ওজেল মনে করেন, ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার করার কারণ একটাই। আর তা হলো তাঁকে তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট না হতে দেওয়া। জনমত জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছে, কারাগারে না থাকলে ইমামোগলু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি মোদির
  • আশা করি অন্তবর্তী সরকার জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবে: মির্জা ফখরুল
  • ঈদের দিন ঐক্যের ডাক দিলেন ইস্তাম্বুলের মেয়র
  • ইস্তাম্বুলে কখনো এমন দমন-পীড়ন দেখিনি
  • একটি গোষ্ঠী বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে
  • গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কোনো ধরনের সংস্কার নয়: রুহুল কবির রিজভী
  • জনগণের স্বার্থে আঘাত এলে আবারও মাঠে নামবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
  • নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন ইমরান খান
  • এরদোয়ান এই দফায় আন্দোলন মোকাবিলা করে টিকতে পারবেন তো?