চট্টগ্রামের পটিয়ায় কথা কথাকাটির এক পর্যায়ে ছেলে মো. বাবুল (২৩) তার বাবা নুরুল হককে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাবুল তার বাবাকে হত্যার পর তার হাত-পা বেঁধে টানা হেচড়া করে বাড়ির পেছনে বাথরুমের ট্যাংকিতে গুম করে রাখার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

শনিবার দুপুরে পটিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কার্যালয়ে পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম ও আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুর নুর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিহত নুরুল হকের ছেলে মো.

বাবুল সে নিজেই তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

পটিয়া থানার ওসি বলেন, নিবিড় তদন্তকালে নিহতের ছেলে মো. বাবুল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিতে বলেন, গত ২৪ মার্চ রাত প্রায় ১০টার দিকে প্রতিবেশী আইয়ুব আলী ও বাচার সঙ্গে তার বাবা তার ঘরের ভিতরে নেশা করেন। তারা নেশা করে ঘর থেকে চলে যাওয়ার পর রাত প্রায় ১১টার দিকে নেশা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঘরের মধ্যে ছেলের সঙ্গে বাবার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির জেরে ছেলে বাবুল তার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে  মেঝেতে থাকা ইটের আঘাতে তার বাবার মাথায় গুরুতর জখমসহ রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এসময় বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মেঝেতে থাকা ইট দিয়ে পুনরায় আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়। পরে লাশ গুম করে সাক্ষ্য প্রমাণ গোপন করার জন্য মরদেহের হাত-পা বেঁধে টানা হেচড়া করে তাদের বাড়ির পেছনে আবুল কালামের পরিত্যাক্ত বাথরুমের ট্যাংকির ভেতরে ফেলে দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে শুক্রবার নিহতের প্রতিবেশী রাশেদা বেগম বাড়ির চারপাশ পরিস্কার করতে গিয়ে তার বাড়ির বাথরুমের ট্যাংকি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বলে প্রতিবেশী আরও ২-৩ জনের সহায়তায় বাথরুমের ট্যাংকির ঢাকনা ওঠান। এতে নুরুল হকের অর্ধগলিত মরদেহ হাত পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান।

এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে পিংকি আকতার বাদী হয়ে পটিয়া থানায় এজাহার দায়েরের পর সেটি তার ভাই মো. বাবুলে বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হিসেবে রুজু হয়।

ওসি বলেন, আসামী মো. বাবুলকে আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি প্রদান করেছেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চা শ্রমিক নিহত

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বিনোদ বাউরী (৬৫) নামে এক চা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। 

ঈদের দিন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার শমশেরনগর-ভানুগাছ সড়কের শমশেরনগর কার-লাইটেস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিহত বিনোদ বাউরী শমশেরনগর চা বাগানের নতুন টিলার রসরাজ বাউরীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, বস্তি থেকে কাজ করে ফেরার পথে রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন বিনোদ। এসময় দ্রুতগতিতে একটি মোটরসাইকেল এসে তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। 

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রতন হাওলাদার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে গেলেও মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ