রোজার দুই দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করত সদ্য। চুল কাটত, জায়নামাজ ধুয়ে ঝকঝকে করে তুলত আর নতুন টুপি কিনত। পুরোনো টুপি দিয়ে সে কখনো রমজান শুরু করত না—কত আগ্রহ, কত উচ্ছ্বাস! আমাকে তাড়া দিয়ে বলত, ‘মা, বাজারে যাবে না? গরুর মাংস কিনবে না! আমি কিন্তু গরুর মাংস ছাড়া সাহ্‌রি খাব না।’

ছেলের এই আবদার শুনে ওর বাবাও হাসিমুখে গরুর সামনের একটা আস্ত রান নিয়ে আসত। সদ্য তখন খুশিতে ডগমগ হয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলত, ‘বাবা, তুমি অনেক ভালো বাবা।’

পরে আমার কাছে এসে উচ্ছ্বাসে বলত, ‘মা, গরুর মাংস তো অনেক আনছে বাবা, তুমি তাহলে ভুনা খিচুড়ি রান্না করো সাহ্‌রির জন্য।’

আমি হেসে বলতাম, ‘বাবা, ভুনা খিচুড়ি সাহ্‌রিতে খায় না, আমি এখনই রান্না করে দিচ্ছি।’ এই কথা শুনে আমার বাবাটা কতই না খুশি হতো।

মায়ের সঙ্গে সদ্য.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মৌলভীবাজারে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চা শ্রমিক নিহত

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বিনোদ বাউরী (৬৫) নামে এক চা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। 

ঈদের দিন সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার শমশেরনগর-ভানুগাছ সড়কের শমশেরনগর কার-লাইটেস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিহত বিনোদ বাউরী শমশেরনগর চা বাগানের নতুন টিলার রসরাজ বাউরীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, বস্তি থেকে কাজ করে ফেরার পথে রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন বিনোদ। এসময় দ্রুতগতিতে একটি মোটরসাইকেল এসে তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। 

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রতন হাওলাদার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে গেলেও মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ