টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রাস্তা পারাপারের সময় অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাদের ছেলে। শনিবার (২৯ মার্চ) রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার পৌলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ পৌলী গ্রামের মৃত নোয়া দাসের ছেলে রঞ্জিত দাস (৫০), তার স্ত্রী বন্দনা দাস (৪০)। আহত ছেলের নাম দিবস দাস (৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে রঞ্জিত ও বন্দনা ছেলে দিবস দাসকে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত গাড়ি তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই বন্দনা দাস মারা যান। গুরুতর আহতাবস্থায় রঞ্জিত ও দিবসকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রঞ্জিত।

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় ট্রাক্টর-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১

খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’

ঢাকা/কাওসার/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

জয়পুরহাটে অর্থ আত্মসাতের মামলায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবস্থাপক আবার গ্রেপ্তার

জয়পুরহাটে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের মামলায় ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখার ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানাকে (৩৫) আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে আক্কেলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানী আজ সোমবার সকালে বলেন, আজ গ্রেপ্তার রিজওয়ানা ফারজানাকে আদালতে পাঠানো হবে। মামলার আরও দুই আসামি পলাতক। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

রিজওয়ানা আক্কেলপুর পৌর শহরের হাজিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। এজেন্ট ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর পর থেকে তিনি আক্কেলপুর শাখায় কর্মরত। এজেন্ট ব্যাংকে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫টি মামলা হয়েছে। আরও অন্তত ১০ থেকে ১২ জন গ্রাহক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এসব ভুক্তভোগীর দাবি, এখন পর্যন্ত তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের হিসাব পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও অভিযোগকারীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখায় গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। ওই দিন ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, এসব টাকায় গ্রামে জমি কেনার পাশাপাশি বিভিন্ন সম্পদ অর্জন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর স্বীকারোক্তির ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই ব্যাংকটির কার্যালয় থেকে ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা, ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানা ও এজেন্ট জাহিদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে এক গ্রাহক ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এক দিন পরই তাঁরা তিনজন জামিনে মুক্তি পান।

ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা টাকা ফেরতসহ জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে ৯ এপ্রিল আক্কেলপুর পৌর শহর ও ১৩ এপ্রিল জয়পুরহাট শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেন। তাঁরা ব্যাংকটির জেলা শাখায় ধরনা দিয়েও টাকা ফেরতের কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না।

ভুক্তভোগী গ্রাহক ও আক্কেলপুর এফ ইউ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুস ছালাম মণ্ডল বলেন, ‘এ পর্যন্ত তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের হিসাব পেয়েছি। এখনো অনেকেই তাঁদের ব্যাংক হিসেবের খোঁজ নিতে পারেননি। এজেন্টের জামানতের টাকাও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেই। এই টাকা তাঁরা কীভাবে সরালেন, সেটা ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার কর্মকর্তাদের জানার কথা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ