বগুড়ায় মদ পানে দুজনের মৃত্যু, আরেকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন
Published: 29th, March 2025 GMT
বগুড়ায় মদ পানের পর অসুস্থ হয়ে মো. রাসেল (৩৫) ও মো. আওরঙ্গজেব ওরফে চিংটু (৪০) নামের দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ছয়-সাত ঘণ্টার ব্যবধানে তাঁরা মারা যান। তাঁদের দুজনের বাসা বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া এলাকায় বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
আওরঙ্গজেব গতকাল সন্ধ্যায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে এবং রাসেল দিবাগত রাত তিনটার দিকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় সনি (৪৫) নামের আরও এক ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মারা যাওয়া আওরঙ্গজেব ঠনঠনিয়ার হাড়িপাড়া এলাকার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে এবং রাসেল হাড়িপাড়ার বটতলা এলাকার মৃত আবু তালেবের ছেলে। চিকিৎসাধীন সনি ঠনঠনিয়ার হাড়িপাড়ার জয়দেব চন্দ্রের ছেলে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, অতিরিক্ত মদ পানে অসুস্থ হয়ে গতকাল রাতে ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া এলাকায় দুজনের মৃত্যু হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গোপন রাখা হয়। আজ শনিবার দফায় দফায় মারা যাওয়া দুজনের বাসায় পুলিশ পাঠানো হলেও মদ পানে মৃত্যুর বিষয়টি চেপে যায় পরিবার। পরে হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যুসনদ) দেখে মদ পানে রাসেল ও আওরঙ্গজেব নামের দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওসি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় কয়েকজন বন্ধু মিলে মদ পানের পর তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা যায়। তবে অতিরিক্ত মদ পানে নাকি বিষাক্ত মদ পানে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, মদ পানে অসুস্থ মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মদ প ন দ জন র গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় দুজনের মৃত্যু, মদ পানের কারণেই কিনা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসক
বগুড়ায় অতিরিক্ত মদপানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার রাতে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন।
নিহতরা হলেন, বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাজী পাড়ার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের পালক ছেলে আওরঙ্গজেব চিনতু (৩৫) ও ঠনঠনিয়া বটতলা এলাকার আবু তালেবের ছেলে রাসেল (৩০)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হচ্ছেন, ঠনঠনিয়া বটতলার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে পিলু (৫৬) এবং একই এলাকার জয়দেব দাসের ছেলে সনি দাস (৩০)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিলু জানান, গত ২৭ মার্চ বিকেলে শহর থেকে প্লাস্টিকের বোতলে মদ কিনে আনেন রাসেল। ওই দিন বিকেলেই চারজন একসঙ্গে মদ পান করেন। রাতেই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশের ভয়ে হাসপাতালে ভর্তির সময় তারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বলে ভর্তি হন।
বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সাইফুর শাহীন বলেন, পিলু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ডায়রিয়া এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা থাকায় তাকে মেডিসিন বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত না। মদ পান করে অসুস্থ কি না তা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে।
চিনতুর পরিবারের একজন জানান, চিনতু ও রাসেল অনেক আগে থেকেই মদ পান করতেন। মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তাদের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চিনতু কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বিকেল ৫টার পর অসুস্থবোধ করলে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিনতু মারা যান। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার পর রাসেল মারা যান।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, চিনতু ও রাসেল মারা যাওয়ার তথ্য আমাদের কাছে নেই। সম্ভবত তারা রাস্তাতেই মারা গিয়েছিলেন। আর সনি নামে একজন ভর্তি আছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তবে তার কি ধরনের সমস্যা রয়েছে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, ‘অতিরিক্ত মদপানে’ দুজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মারা যাওয়া দুজনের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে কোনও তথ্য দেননি। বিকেল ৩টার মধ্যে দুজনের মরদেহ পরিবারের পক্ষ থেকে দাফন করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, হাসপাতাল থেকে এই দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশকে অবহিত না করায় আপাতত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।