ফতুল্লায় শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বাসদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ
Published: 29th, March 2025 GMT
শ্রমজীবী মানুষদের মাঝে বাসদ ফতুল্লা শাখার পক্ষ থেকে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) বিকাল ৫টায় পঞ্চবটি ধর্মগঞ্জে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, বাসদ ফতুল্লা থানার সদস্যসচিব এস এম কাদির, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জামাল হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট ফতুল্লা আঞ্চলিক শাখার আহ্বায়ক আশেকে রাসুল শাওন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের চাপে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ পিষ্ট। মানুষ ইতিমধ্যে তার খাদ্য তালিকা থেকে খাবার কমিয়ে দিয়েছে। নিত্য পণ্যের দাম প্রতি নিয়তই বাড়ছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। ছাত্র শ্রমিক বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারী শাসন মুক্ত করেছে।
একটি অন্তবর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। তারপরও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ হয়নি। সিন্ডিকেট ভাঙ্গেনি। মানুষের আয়ও বাড়েনি। ফলে শ্রমজীবী মানুষ ঈদকে কেন্দ্র কওে চরম অনিশ্চয়তায় আছে।
এ পরিস্থিতিতে বাসদ ফতুল্লা থানার সীমিত সামর্থের মধ্যে আমরা দরিদ্র শ্রমজীবী-দিনমজুরদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। নেতৃবৃন্দ সমাজের সামর্থবান মানুষকেও দরিদ্র মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ শ রমজ ব ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজার থানার ওসির ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে দু’টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার পৃথক ভাবে কমিটি দু’টি গঠন করেন।
এরমধ্যে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির নির্দেশে এক সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের নির্দেশে ২ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। দু’টি কমিটিই শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আড়াইহাজার থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেনের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে উপজেলার পাশাপাশি জেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
গোটা উপজেলায় শুরু হয় সমালোনা। সাধারণ মানুষকে বলতে শোনা যায়, ৫ আগষ্টের মতো বড় ঘটনার পরেও পুলিশের চরিত্র পাল্টায়নি।
এদিকে এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে শনিবার সকাল ১১টায় সাংবাদিকদের থানায় ডেকে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন ওসি এনায়েত হোসেন। তিনি ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘২-৩ মাস আগে খাগকান্দা এলাকায় কিস্তির টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী এক নারী থানায় অভিযোগ করেন। তবে ঘটনাটি অনেকদিন আগের হওয়ায় ভুক্তভোগীদের নাম ভুলে গেছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন, মাসুম শিকারীসহ আরও কয়েকজনের সামনে পাওনাদারের আনুমানিক দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আমার হাতে দেওয়া হয়। সেই টাকা ভুক্তভোগীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে সেই টাকার পরিমান কম দেওয়ায় আমি বলেছি, এত অল্প টাকায় মানসম্মান থাকে না। সেই ঘটনাকে কে বা কারা ভিন্ন রূপ দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।’
এদিকে শনিবার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি আড়াইহাজার থানায় গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তাসমিন আক্তার বলেন, তদন্ত শুরু করেছি।
এখনও শেষ করতে পারিনি। তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেবো। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় তিনি এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, আড়াইহাজার থানায় ঘুষ ব্যতিত সাধারণ ডায়েরীও করা যায় না। সাধারণ ডায়েরী করতে হলেও ওসিকে নিদ্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হয়। মামলা করতে গেলে সেই টাকার পরিমান আরও বেড়ে যায়।