১ মার্চ যশোর শহরের বড় বাজারে গিয়ে মনে হলো ভুল করলাম। পরদিন থেকে রোজা। জনস্রোত টেনে নিয়ে যাওয়ায় কষ্ট করে হাঁটার প্রয়োজন নেই। যেসব মা–বাবা সাহস করে শিশুদের নিয়ে এসেছেন, তাদের কমবেশি সবাই চিৎকার করছে। বেশির ভাগ জনপ্রিয় দরজির দোকানে কাপড় দেওয়া যাবে ১০ রোজা পর্যন্ত। কাপুড়িয়াপট্টিতে সোনার দোকানেও যথেষ্ট ভিড়। ব্যাগের দোকানেও দরদাম চলছে। এ ভিড় থেকে গা বাঁচাতে কেউ কেউ ঢুকে পড়েছেন কাছের জুতার দোকানে। কেননা সে সময় তুলনামূলকভাবে শোরগোল কম সেখানে।

কেন? ঐতিহ্যগতভাবে ঈদের সব কেনাকাটার পর সবশেষে কেনা হয় এক জোড়া জুতা। কেননা জুতা কেনা হয় ঈদের ‘আসল’ যে পোশাক, সেটির সঙ্গে মিলিয়ে। হ্যাঁ, অনেকেরই, বিশেষ করে কম বয়সী বা তরুণীদের ঈদের পোশাক হয় একাধিক। এর ভেতর সবচেয়ে জমকালো, তুলনামূলকভাবে বেশি দামের পোশাকটি হয় ঈদের আসল পোশাক। বাকি পোশাকগুলো ‘নায়কের বন্ধু’। তাই আসল পোশাকটি হাতে না আসা পর্যন্ত কেউ জুতার দোকানে খুব একটা পা মাড়ান না।

কিন্তু সত্যিকার মার্জিত, রুচিশীল ফ্যাশনিস্তারা ঈদে কখনো এই একটা শর্ত মাথায় রেখে জুতা কেনে না। ঈদ উপলক্ষে কেনা একমাত্র যে অনুষঙ্গটি প্রয়োজন বুঝে সারা বছরই পরা হয়, সেটি হলো জুতা।  ঘর থেকে এক পা বের হলেই প্রয়োজন এক জোড়া জুতা। আর পোশাক যতই স্টাইলিশ হোক না কেন, বেমানান জুতাই আপনার লুক নষ্ট করে দিতে যথেষ্ট। ঈদের ফ্যাশনেও কথাটি শতভাগ খাঁটি। বছরজুড়ে নানা উৎসব লেগেই থাকে। বিয়ে, জন্মদিন, পার্টি, দাওয়াত, গেট টুগেদার, বাইরে খাওয়াদাওয়া—অনুষ্ঠানের যেন শেষ নেই। অনেকেই এসব স্থানে পরা যায়, এমন এক জোড়া জুতা ঈদ সামনে রেখে কিনে রাখেন। তাই তাঁরা ঈদে জুতা কেনেন মূলত তিনটি শর্ত পূরণ করে—

১.

ঈদের আসল পোশাকের সঙ্গে মানানসই।

২. আরামদায়ক অথচ স্টাইলিশ।

৩. বছরজুড়ে বিভিন্ন আয়োজনে পরার উপযোগী।

গরমকালের উপযোগী ফ্যাশনেবল জুতা নিতে পারেন ঈদে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ল্যাম্পসের ৯ মাসে লোকসান কমেছে ৫৪.৭৩ শতাংশ

পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ল্যাম্পস লিমিটেডের চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৫) ও নয় মাসে (জুলাই-মার্চ, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির নয় মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) কমেছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।

তথ্য মতে, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.১১ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (১.৩৬) টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে।

এদিকে, তিন প্রান্তিক মিলে বা ৯ মাসে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে (৫.৪৬) টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (১২.০৬)। সেই হিসাবে আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ৬.৬০ টাকা বা ৫৪.৭৩ শতাংশ।

২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪.২৪ টাকা।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ