চলতি অর্থবছরে মদের উপর কর থেকে পাঁচ হাজার কোটি রুপিরও বেশি আয় করেছে দিল্লি। অপরদিকে, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য থেকে মাত্র ২১০ কোটি রুপি করা আদায় করা হয়েছে। শনিবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক অভয় ভার্মার প্রশ্নের জবাবে সরকার জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মদ বিক্রির উপর আবগারি শুল্ক এবং ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) থেকে তারা পাঁচ হাজার ৬৮ দশমিক ৯২ কোটি রুপি রাজস্ব আয় করেছে। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য থেকে জিএসটি বাবদ ২০৯ দশমিক ৯ কোটি রুপি আয় হয়েছে। দুটি পরিসংখ্যানই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এই প্রশ্নটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন বিজেপি কথিত মদ নীতি কেলেঙ্কারি নিয়ে আম আদমি পার্টিকে (এএপি) আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তার উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ছিলেন এএপি নেতাদের মধ্যে যারা কথিত কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে গিয়েছিলেন। গত মাসে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে দলটির পরাজয়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

রেখা গুপ্তার নেতৃত্বাধীন নতুন বিজেপি সরকার জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে মদের উপর কর বাবদ পাঁচ হাজার ১৬৪ কোটি রুপি, ২০২২-২৩ সালে পাঁচ হাজার ৫৪৭ কোটি রুপি এবং ২০২১-২২ সালে পাঁচ হাজার ৪৮৭ কোটি রুপি আদায় করা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত এএপি-এর অধীনে দিল্লিতে নতুন মদ নীতি বাস্তবায়নের কারণে, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত দোকানগুলোকে মদ বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুরাতন মদ নীতি পুনঃপ্রবর্তন করা হলে, সরকারি মদের দোকানগুলো পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের অর্থনীতিতে সাড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আরেকটি পূর্বাভাস

২০২৫–২৬ অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতিতে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ইওয়াই ইকোনমি ওয়াচ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই পূর্বাভাস দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ভারতের উন্নয়ন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতিপ্রকৃতি ও অর্থনৈতিক নীতিমালা পর্যালোচনা করে থাকে।

ইওয়াই ইকোনমি ওয়াচের প্রতিবেদনে অর্থনীতির পাশাপাশি শিক্ষা খাতের উন্নয়ন নিয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। তারা বলছে, এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে সরকারের শিক্ষাব্যয় ২০৪৮ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনের ৬ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রয়োজন রয়েছে। খবর ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের

প্রতিষ্ঠানটির নতুন পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ১ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া ২০২৫–২৬ অর্থবছরে ভারতীয় অর্থনীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হতে পারে। ইওয়াই ইকোনমি ওয়াচ বেশ জোর দিয়েই বলেছে, মানবপুঁজি উন্নয়নকে সমর্থন করে—এমন একটি সুপরিকল্পিত রাজস্ব কৌশল প্রয়োজন, যা আর্থিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বজায় রাখে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারে।

প্রতিষ্ঠানটির চলতি মার্চ সংস্করণে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ সমাপ্য অর্থবছরে ভারতের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৫–২৬ অর্থবছরে খানিক বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশে উন্নীত হবে। তবে ওই হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে ভারতের রাজস্ব নীতি পুনর্বিন্যাস করতে হবে, যাতে বিকশিত ভারত অভিযাত্রা সফল করে তোলা যায়।

গত মাসে জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের (এনএসও) সংশোধিত প্রাক্কলনে ২০২৩ থেকে ২০২৫ অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, ৯ দশমিক ২ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২৪–২৫ অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিক অক্টোবর–ডিসেম্বরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমক ২ শতাংশ হয়েছে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। এই হার চতুর্থ ত্রৈমাসিক তথা জানুয়ারি–মার্চে আরও বেড়ে ৭ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইওয়াই ইকোনমি ওয়াচ। তবে আগামীকাল সোমবার শেষ হতে যাওয়া চলতি অর্থবছরের জন্য ভারতের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (এনএসও) বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

ইওয়াই ইকোনমি ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের শেষ প্রান্তিকে জিডিপিতে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে বেসরকারি পর্যায়ের চূড়ান্ত ভোগব্যয়ে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অবশ্য ভারতের অর্থনীতিতে এত উচ্চ প্রবৃদ্ধি আর কখনো দেখা যায়নি।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা ফিচ রেটিংও ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আগামী দুই বছরের জন্য পূর্বাভাস দিয়েছে। তারা বলেছে, ২০২৫-২৬ আর্থবছরে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এর পরের অর্থাৎ ২০২৬-২৭ অর্থবছরে তা ৬ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে যেতে পারে। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইলন মাস্কের প্রতারণা মামলা খারিজের আবেদন খারিজ আদালতে
  • ভারতের অর্থনীতিতে সাড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আরেকটি পূর্বাভাস
  • দেশের বাজারে বাড়লেও এশিয়ার বাজারে কমছে চালের দাম
  • শুল্কমুক্ত সুবিধার সুফল কম, চীনে রপ্তানি হয় আমদানির ৩১ ভাগের ১ ভাগ