মুন্সীগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১, আহত ২
Published: 29th, March 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে একজন নিহত ও দু’জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৬টায় তন্তর ইউনিয়নের পাড়াগাঁওয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাফর মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। গুরুতর জখম জহির হোসেন ও আরিফ শিকদারকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীনগর থানার ওসি শাকিল আহামেদ সমকালকে জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পাড়াগাঁওয়ের ফালু শেখের ছেলে মহসিন বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। নওপাড়ায় ছিনতাইকারীরা কলাগাছ ফেলে পথরোধ করে। মহসিনকে কিলঘুষি মেরে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয়। মহসিনের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তবে রিকশাটি নিয়ে চলে যায় অন্য এক ছিনতাইকারী। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর জাফর মিয়া মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে নিহতের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, নিহত জাফরের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনির ফুলছড়িতে। জহির শরিয়তপুরের জাজিরার গোপালপুর ও আরিফের বাড়ি বরিশালের মুলাদির মুন্তাজপুর গ্রামে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানের নারী শিক্ষার্থীরা পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক পুরস্কার
যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক ‘মেডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের নারী শিক্ষার্থী আন্দোলনকারীরা। আন্তর্জাতিক নারী সাহসিকা (ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ—আইডব্লিউওসি) পুরস্কারের পাশাপাশি এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে শুক্রবার এই পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল পররাষ্ট্র দপ্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের আয়োজনে বিজয়ীদের এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়, বাংলাদেশে দমন–নিপীড়নের বিরুদ্ধে গত বছর জুলাই–আগস্টে ছাত্রদের আন্দোলনে সাহসী একদল নারী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা অসাধারণ সাহসিকতার সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন; হুমকি ও সহিংসতার শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পুরুষ বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে গেছেন। সহযোদ্ধা পুরুষ বিক্ষোভকারীদের যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তখন এই নারীরা উদ্ভাবনী উপায়ে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন এবং আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এমনকি ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার পরও বিক্ষোভ চালিয়ে গেছেন তাঁরা। অনিশ্চয়তার মধ্যেও তাঁদের এই সাহসিকতা ও নিঃস্বার্থতা অসমসাহসের আরেক সংজ্ঞা।
ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়, মেডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে ‘উইমেন স্টুডেন্ট প্রোটেস্ট লিডারস অব বাংলাদেশ’।
পুরস্কারপ্রাপ্তির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই পুরস্কারকে আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীদের সম্মিলিত অর্জন হিসেবে দেখছি। নারীরা শুধু নারী হিসেবে এই অভ্যুত্থানে আসেননি, বরং রাস্তায় আমাদের ভাইবোনদের মৃত্যু দেখে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে ক্ষুব্ধ হয়েই আমরা রাজপথে নেমেছিলাম। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর নারীদের লিঙ্গীয় পরিচয়কে টেনে এনে তাঁদের সাইড করা (কোণঠাসা) বা পেছনে ঠেলে দেওয়ার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।’
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নারীরা অসমসাহসিকতায় নেমে এসেছিলেন রাস্তায়