হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঈদে চুরি, ছিনতাই ও বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অপরাধ ঠেকাতে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার। এর ফলে মাধবপুর বাস টার্মিনাল, হাট বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগে ঈদকে সামনে রেখে মাধবপুর বাজারে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতো। কিন্তু বাজারে ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে নজরদারির কারণে বাজার এখন অপরাধ মুক্ত। 

মাধবপুর বাজার কমিটির ব্যবসায়ী নেতা এমরান খান জানান, প্রতিবছর ঈদকে সামনে রেখে একটি অপরাধী চক্রকে খুব তৎপর দেখা যেত। বাজারে জিনিসপত্র কিনতে আসা লোকজনের টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার চুরি ছিনতাই হয়ে যেত। নারীরা এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু এবার পুলিশ এসব অপরাধ রোধে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে কোনো অপরাধ ঘটেনি। বাজারে ব্যবসায়ী নেতারাও পুলিশকে সহযোগীতা করছে। 

ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর ও মাধবপুর উপজেলা সদরে  দুটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার বসানোর কারণে পুলিশ পরিস্থিতি সহজে নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছে। 

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ইতোমধ্যে ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন বিপণিবিতান, হাট বাজার, সড়কের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে স্পর্শকাতর স্থান, সড়ক, স্থাপনা, বিপণিবিতান, বাসস্ট্যান্ড, পুলিশ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ভাল রাখতে ৪টি ফাঁড়িসহ থানা পুলিশের সব সদস্য তাদের দায়িত্ব পালন করছে। কোনো পুলিশ ঈদে বাড়িতে যাবে না।

হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান জানান, ঈদকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মাধবপুরে ওয়াচ টাওয়ার থেকে সবার গতিবিধি অনুসরণ করা সহজ। কেউ অপরাধ করার চিন্তা করলে তাকে অপরাধ করার আগেই ধরা যাবে। এছাড়া ঈদে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন হবিগঞ্জের চা বাগানসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে ভিড় করেন। এ সময় যাতে কোন ধরনের অঘটন না ঘটে পুলিশ সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ধবপ র অপর ধ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাণহানি বেড়ে ১৭০০, উদ্ধার তৎপরতায় ধীরগতি

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে অন্তত ১ হাজার ৭০০ জনে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপে জীবিত অথবা মৃত ব্যক্তিদের খোঁজে চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে বেশির ভাগ এলাকায় স্থানীয় লোকজনই দলবেঁধে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। উদ্ধারকাজেরও গতি কম। বিভিন্ন দেশ উদ্ধারকর্মী পাঠালেও তাঁরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে যেতে বাধার মুখে পড়ছেন। কারণ, ভূমিকম্পে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

শুক্রবার দুপুরে মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ আট দেশে একসঙ্গে ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয় মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে। এ কারণে মান্দালয়েই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডে অন্তত ১৭ জন মারা গেছেন। দুই দেশে হাজারো ভবন ধসে পড়েছে। সড়ক ও সেতু ভেঙেছে অনেক। বিদ্যুৎ সরবরাহেও অচলাবস্থা চলছে।

গতকাল রোববার মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং জানান, ভূমিকম্পে অন্তত ১ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু ও সাড়ে ৩ হাজার আহত হয়েছেন। নিখোঁজ ৩০০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।

ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মরদেহ বের করে আনছেন স্থানীয় লোকজন। গতকাল মিয়ানমারের মান্দালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্রেপ্তারের পর বের হয়ে যাচ্ছে ডাকাত-ছিনতাইকারীরা
  • প্রাণহানি বেড়ে ১৭০০, উদ্ধার তৎপরতায় ধীরগতি
  • রাজশাহীতে ঈদে কোনো নাশকতার শঙ্কা নেই: র‍্যাব
  • মিয়ানমারে ভূমিকম্পে দুই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে: জাতিসংঘ
  • ঈদ নিরাপত্তায় ডিএমপির ৬৬৭ টহল দল দায়িত্ব পালন করবে
  • ঈদ নিরাপত্তায় ডিএমপির ৬৬৭ টহলদল দায়িত্ব পালন করবে
  • ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু বেশি, তৎপরতা সীমিত 
  • ঈদে এনসিপির কোন নেতা ভোটকেন্দ্রিক কী জনসংযোগ করবেন
  • নির্দেশনার পাশাপাশি তৎপরতাও বাড়াতে হবে