দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দান। সকাল ১০টায় এখানে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। এবারের ১৯৮তম ঈদুল ফিতরের জামাতে ইমামতি করবেন মুফতি আবুল খায়ের মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।

শনিবার (২৯ মার্চ) সরেজমিনে শোলাকিয়া ময়দানে গিয়ে দেখা যায়, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে মাঠের দাগ কাটা, মেহরাব ও দেয়ালে চুনকাম, ওজুখানা-টয়লেট সংস্কার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। চলছে শেষ মুহূর্তের গোছগাছ।

শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি সূত্র জানায়, এবারো নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, কয়েক লাখ মুসল্লি শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, ‘‘দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসুল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ঈদের দিন ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে বিশেষ এই ট্রেন কিশোরগঞ্জে আসবে। এছাড়া আগত মুসল্লিদের জন্য ওজু, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসসহ প্রয়োজনীয় সব সুবিধা থাকবে মাঠে। তবে, নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠে জায়নামাজ ও মোবাইল ছাড়া অন্যকিছু নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।’’

শোলাকিয়ায় ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার কথা মাথায় রেখে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘‘ঈদগাহ ময়দানকে ঘিরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি ড্রোন দিয়ে পুরো মাঠ পর্যবেক্ষণ করা হবে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শোলাকিয়া মাঠের আয়তন প্রায় ৭ একর। প্রায় দুইশ বছর ধরে এই মাঠে বিশাল ঈদের জামাত হয়ে আসছে। শোলাকিয়ার সাহেববাড়ির সুফি সৈয়দ আহম্মদ ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া মাঠে প্রথম ঈদ জামাতের আয়োজন করেন। সেই জামাতে প্রায় সোয়া লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। পরে উচ্চারণ বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া এবং সেখান থেকে শোলাকিয়া শব্দটি প্রচলিত হয়ে আসছে।

ঢাকা/রুমন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ত ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

দিল্লিতে জেডি ভ্যান্স এবং নরেন্দ্র মোদির বৈঠক আজ

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তার পরিবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আজ সোমবার তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। খবর বিবিসির। 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলে আমরা আশাবাদী।

বিশ্বব্যাপী ওয়াশিংটনের শুল্কনীতি ঘিরে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে দেশগুলো দ্রুত চুক্তি চূড়ান্তে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

ভ্যান্সের সফরের অংশ হিসেবে তিনি তার স্ত্রী উষা ভ্যান্স এবং সন্তানদের সঙ্গে আগ্রা ও জয়পুর ভ্রমণে যাবেন। তার স্ত্রী উষার পরিবার ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিল।

সোমবার সকালে দিল্লিতে পৌঁছে ভ্যান্স আকসারধাম মন্দির পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি তাকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বর্তমানে প্রায় ১৯০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ভারতের উচ্চ শুল্ক হার এবং ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

সম্প্রতি ভারত কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।

ভবিষ্যতে ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভারত সফর এবং কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের প্রেক্ষাপটে ভ্যান্সের সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ