নড়াইলে স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দিনমজুর ও শ্রমজীবীদের মাঝে নতুন পাঞ্জাবি উপহার দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির আয়োজনে এবং মুস্তারী কমপ্লেক্সের সহযোগিতায় শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ এলাকায় পছন্দের পাঞ্জাবি উপহার দেওয়া হয়। দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ।
স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গালিব সতেজ বলেন, ‘‘২০১৭ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঈদ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে এ ধরণের ব্যতিক্রমী আয়োজন করার চেষ্টা করছি। আমরা মূলত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও বেদে সম্প্রদায়ের শিশুদের নিয়ে কাজ করছি। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমরা ১০০ জনের মাঝে ঈদ উপহার দিয়েছি। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের বিত্তশালীরা অনুপ্রাণিত হবেন এবং সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়াবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।’’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সোহেল মুস্তারী, ফয়সাল মুস্তারী, নড়াইল প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব মাহবুবুর রশিদ লাবলু, স্বপ্নের খোঁজে সংগঠনের সদস্য মহিউদ্দিন, সোহেল রানা, সৌরভ মোল্যা, চৈতী রানী, পিয়াস, শাকিব মোল্যা, পরাগ প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
খুলনার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
পালাতে গিয়ে আ.
ঢাকা/শরিফুল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রমজান জুড়ে ৫ জেলায় এস্পায়ার বাংলাদেশের সহায়তা
রমজানে মাস জুড়ে উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় ইফতার বিতরণ এবং নিম্নআয়ের পরিবারের জন্য ঈদ বাজার বিতরণ করেছে ইয়ুথ সংগঠন এস্পায়ার বাংলাদেশ। এসব জেলাগুলো হলো- রংপুর, টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও দিনাজপুর।
সংগঠনটির নিজস্ব অর্থায়নে ও পরিকল্পনায় এ উদ্যোগ গত ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়। এ সংগঠনের সদস্যরা হাজী মোহম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
রমাদেনের কার্যক্রম সম্পর্কে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মো. শাদমান খান বলেন, “২০২০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সামাজিক কাজ করার চেষ্টা করছি। আমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় নির্দিষ্ট কোনো ফান্ড নেই। তারপরও এ বছর পাঁচটি জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরেছি। সারা বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের উদ্যোগ চালিয়ে যেতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”
এস্পেয়ার বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যার টেকসই সমাধান প্রচারে নিবেদিত। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাটির লক্ষ্য উদ্ভাবনী, পরিবেশ বান্ধব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন করা।
এস্পেয়ার বাংলাদেশের মতে, টেকসই অনুশীলন দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশগত এবং সামাজিক সুস্থতার গ্যারান্টি দেবে, স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করবে এবং সমাজে জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। কমিউনিটি বেস প্রকল্প এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, বাংলাদেশের নাগরিক এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দীর্ঘস্থায়ী উপকারী পরিবর্তন আনতে কাজ করছে।
ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী