কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), যেখানে সর্বোচ্চ শ্রেণি ‘এ’ প্লাসে থাকা একমাত্র ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ। চুক্তি অনুযায়ী বিসিবির কাছ থেকে মাসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা করে বেতন পাচ্ছেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার। এর বাইরে বিসিবি প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য আলাদা করে ম্যাচ ফি দেয়। যেটা পান চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটাররাও। যে যত ম্যাচ খেলেন, তিনি সেই হিসাবে ম্যাচ ফি পান।

আরও পড়ুন‘কেউ এই প্রশ্ন করলে আমি সঙ্গে সঙ্গে বলি, দিল চাহতা হ্যায়’২৭ মার্চ ২০২৫

ম্যাচ ফি কত টাকা, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে বিসিবি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই বছর থেকে প্রতিটি টেস্ট ম্যাচের জন্য ৮ লাখ, ওয়ানডের জন্য ৪ লাখ ও টি-টোয়েন্টির জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার করে টাকা পাবেন ক্রিকেটাররা।
স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল জাগতে পারে, সব মিলিয়ে কেমন আয় করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

তাসকিনকেই উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক। ‘এ’ প্লাস শ্রেণির ক্রিকেটার হিসেবে মাসে ১০ লাখ করে এক বছরে তাসকিন বেতন পাবেন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এফটিপি (ভবিষ্যৎ সফরসূচি) অনুযায়ী, এই বছর বাংলাদেশ ৬টি টেস্ট খেলবে, সঙ্গে ১২টি ওয়ানডে এবং ১৫টি টি-টোয়েন্টি। এই এফটিপির বাইরেও এই বছর আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ আয়োজন করার চেষ্টা করছে বিসিবি। পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের সঙ্গেও টি-টোয়েন্টি সিরিজই হওয়ার কথা। এ ছাড়া এ বছর এশিয়া কাপ আছে, যেটি হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। যেখানে আরও অন্তত তিনটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।

আরও পড়ুনআমি তোমার সন্তানের মা হতে চলেছি: নীনার এ কথা শুনে কী বলেছিলেন ভিভ রিচার্ডস ২৩ মার্চ ২০২৫

এই সিরিজগুলোকে হিসাবের বাইরে রেখে যদি শুধু এফটিপিতে থাকা ম্যাচ ও এশিয়া কাপের হিসাব করা হয়, তাহলে এ বছর তাসকিন ৬টি টেস্ট, ১২টি ওয়ানডে ও ১৮টি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পাবেন। যদি তিনি সব কটি ম্যাচ খেলেন, তাহলে এ বছর টেস্ট থেকে ম্যাচ ফি পাবেন ৪৮ লাখ, ওয়ানডে থেকে ৪৮ লাখ ও টি-টোয়েন্টি থেকে ৪৫ লাখ টাকা। তার মানে ম্যাচ ফি বাবদ তাসকিনের আয় হবে মোট ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। তার মানে শুধু জাতীয় দলে খেলেই এ বছর তাসকিনের সম্ভাব্য আয় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা (বেতন ১ কোটি ২০ লাখ+ম্যাচ ফি ১ কোটি ৪১ লাখ)। এর বাইরে সিরিজ চলাকালীন পাবেন দৈনিক ভাতাও।

জাতীয় দল ছাড়াও বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএল, ঘরোয়া ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) থেকে আয়ের সুযোগ আছে ক্রিকেটারদের। এ বছরের শুরুতে বিপিএলে দুর্দান্ত রাজশাহীর হয়ে খেলেন তাসকিন। প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘এ’ শ্রেণিতে থাকা তাসকিনের দাম ছিল ৬০ লাখ টাকা।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবার মোহামেডানের হয়ে খেলছেন তাসকিন, তাঁকে দলে নিতে ক্লাবটিকে ৫০ লাখের আশপাশে খরচ করতে হয়েছে বলে জানা গেছে। এনসিএলে অবশ্য ব্যস্ততার কারণে খেলার সুযোগ হয় না তাসকিনের। তারপরও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও তাঁর আয় ১ কোটি ১০ লাখের মতো। তার মানে ক্রিকেট খেলে চলতি বছর তাসকিনের সম্ভাব্য আয় ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশের শীর্ষ ক্রিকেটারদের অনেকেই প্রতিবছর একটি-দুটি বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেন। তাসকিন অবশ্য ২০২৩ সালে জিম আফ্রো টি-টেনের পর আর বিদেশি লিগে খেলেননি। তবে অন্যরা খেলেছেন। আসছে পিএসএলে যেমন ডাক পেয়েছেন লিটন দাস, নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। সেসব টুর্নামেন্টে খেলে ৫০ লাখ থেকে কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করেন অনেক ক্রিকেটার।

আরও পড়ুনইনসাইড এজ: ক্রিকেটের অন্ধকার অন্দরমহলে যা ঘটে২৪ মার্চ ২০২৫

তাসকিনের কথা তো গেল, নাজমুল হোসেনসহ আরও কয়েকজনের সম্ভাব্য আয়টাও একটু বের করা যাক। বিসিবির চুক্তির ‘এ’ শ্রেণিতে নাজমুল ছাড়াও আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন কুমার দাস। বছরে যাঁদের বেতন ৯৬ লাখ করে। এর বাইরে জাতীয় দলে অপরিহার্য হয়ে ওঠা এই কয়েকজন খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফি বাবদ সম্ভাব্য আয় ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা করে। বিপিএল খেলে নাজমুল, মিরাজ, লিটন তিনজনই পেয়েছেন অন্তত ৬০ লাখ করে। ঢাকা প্রিমিয়ার থেকেও এই তিনজনের গড় আয় ৩০ থেকে ৪০ লাখের মতো। তার মানে ক্রিকেট খেলে এই বছর নাজমুল, মিরাজ ও লিটনের সম্ভাব্য আয় প্রায় ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা করে।

শুধু যে খেলেই ক্রিকেটারদের আয়, তা–ও কিন্তু নয়। তাঁদের আয়ের অন্য একটি বড় খাত বিজ্ঞাপন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণার জন্য ক্রিকেটারদের বেশ কদর আছে। তবে ওখান থেকে কত টাকা আয় হয়, তা জানায় না কোনো পক্ষই। সেই হিসাবটা তাই বাদই থাকল।

আরও পড়ুনহামজার চোট ও চেইন রিঅ্যাকশন২৮ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই বছর র জন য এ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

বিধ্বস্ত স্কুলে সন্তানদের নাম ধরে ডাকছেন অসহায় বাবা-মায়েরা

গোলাপী-নীল-কমলা রঙের স্কুলব্যাগগুলো পড়ে আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। চূর্ণ-বিচূর্ণ ইটের সঙ্গে মিশে গেছে ভাঙা চেয়ার, টেবিল। স্পাইডারম্যান খেলনা আর অক্ষর সাজানোর বর্ণমালাগুলোও পড়ে আছে। প্রায় ১৫টি শিশুর স্কুলব্যাগ ধ্বংসস্তূপের নিচে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছোট সন্তানদের খুঁজছেন, নাম ধরে ডাকছেন অসহায় বাবা-মায়েরা। কাঁদতে কাঁদতে রাত পর্যন্ত সন্তানদের নাম ধরে ডাকতে দেখা যাচ্ছে। তিন দিন পর সোমবার ঘটনাস্থলটি নীরব। স্থানীয় লোকদের মুখে শোকের ছাপ। 

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে বিধ্স্ত একটি প্রাক প্রাথমিক স্কুলের চিত্র এটি। মান্দালয় থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে কিয়ুকসে শহরটি ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি। 

স্থানীয়রা বলছেন- পুরো শহরের লোকজন উদ্ধার কাজে সাহায্য করতে এসেছিল এই স্কুলে। শুক্রবার বেশ কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে। তারা বলছেন, শুক্রবার স্কুলে দুই থেকে সাত বছর বয়সী প্রায় ৭০ জন শিশু আনন্দের সঙ্গে পড়াশোনা করছিল। কিন্তু এখন ইট, সিমেন্ট ও লোহার রডের স্তূপ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে ১২ জন শিশু ও একজন শিক্ষক মারা গেছেন। তবে স্থানীয়দের বিশ্বাস- সংখ্যাটি কমপক্ষে ৪০ জন হবে। সেখানকার বাসিন্দা ও অভিভাবকরা হতাশ।   

৭১ বছর বয়সী কিউয়ে নাইইন স্কুলটির ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন। পাঁচ বছর বয়সী নাতনি থেট হটার সানের শেষকৃত্যের প্রস্তুতি নিচ্ছে তার পরিবার। তিনি বলেন, ভয়াবহ ভূমিকম্প শুরু হওয়ার সময় সানের মা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। তিনি স্কুলে দৌড়ে যান, কিন্তু ভবনটি সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা পরে ছোট্ট শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঘটনার ভয়াবহতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত, আমরা আমাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ অক্ষত অবস্থায় পেয়েছি, এক টুকরো অবস্থায়।’

এমন অবস্থা মিয়ানমারের আরও অনেক জায়গায়। উদ্ধার ও চিকিৎসা তৎপরতা যথেষ্ট  নয। উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতে ধ্বংসস্তুূপ ঘেঁটে দেখছেন। সাহায্যকারী সংস্থাগুলো মিয়ানমারে মানবিক সংকটের আরও অবনতির বিষয়ে সতর্ক করছে। হাসপাতালগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

মান্দালয় থেকে বিবিসি বার্মিজের রিপোর্টার হতেত নাইং জাও-এর বক্তব্য তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এটি এলাকা দেখেছি যেখানে একটি ভবন ছিল যা সরকারি কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা। পুরো নিচতলাটি ধসে পড়েছে, যার উপরে আরও তিনটি তলা এখনও দাঁড়িয়ে। ধ্বংসস্তূপে রক্তের দাগ। তীব্র দুর্গন্ধ থেকে বোঝা যাচ্ছিল, সেখানে অনেক লোক মারা গেছে, কিন্তু উদ্ধার কাজের কোনো চিহ্ন নেই। একদল পুলিশ আসবাবপত্র ও গৃহস্থালীর জিনিসপত্র ট্রাকে ভরছিল। মনে হচ্ছিল, তারা এখনও ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসার আমাদের সাক্ষাৎকার দেননি, যদিও কিছুক্ষণের জন্য ভিডিও করার অনুমতি দিয়েছিল। আমরা স্থানীয় লোকদের শোকাহত ও নিশ্চুপ অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলাম। সামরিক সরকারের ভয়ে তারা মিডিয়ার সঙ্গে হয়তো কথা বলতে চাইছিল না।

হতেত নাইং জাও বলেন, আমাদের অনেক প্রশ্ন ছিল। ধ্বংসস্তূপের নিচে কতজন লোক থাকতে পারে? তাদের মধ্যে কেউ কি এখনও বেঁচে থাকতে পারে? কেন কোনো উদ্ধারকাজ করা হয়নি, এমনকি মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়নি?

মিয়ানমারের রাজধানীর একটি হাসপাতালের অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা রাজধানীর সবচেয়ে বড় হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি, যা এক হাজার শয্যার হাসপাতাল। 
ওই হাসপাতালের জরুরি কক্ষের ছাদ ভেঙে পড়েছে। প্রবেশপথে, ইংরেজিতে ‘জরুরি বিভাগ"’ লেখা একটি সাইনবোর্ড মাটিতে পড়েছিল। বাইরে ছয়টি সামরিক চিকিৎসা ট্রাক এবং বেশ কয়েকটি তাঁবু ছিল, যেখানে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া রোগীদের চিকিৎসা করা হচ্ছিল। তীব্র গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য তাঁবুগুলোতে পানি ছিটানো হয়। দেখে মনে হচ্ছিল, সেখানে প্রায় ২০০ জন আহত ব্যক্তি ছিলেন, যাদের কারও কারও মাথা রক্তাক্ত, কারও কারও হাত-পা ভাঙা ছিল।

হতেত নাইং জাওয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমরা একজন কর্মকর্তাকে জরুরি অবস্থার সময় কাজে না আসা কর্মীদের তিরস্কার করতে দেখলাম। আমি বুঝতে পারলাম লোকটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. থেট খাইং উইন। এক সাক্ষাৎকারের জন্য তার কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু তিনি সাক্ষাৎকারের অনুরোধে তিনি সাড়া দেননি। শহরে ঢোকার পথে, মহাসড়কের কেন্দ্রীয় রিজার্ভেশনে গাছের নিচে মানুষ দলবেঁধে বসেছিল প্রচণ্ড রোদ থেকে কিছুটা স্বস্তি পাওয়ার জন্য। এটা বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম সময়। তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু আফটারশকের (ভূকম্প পরবর্তী কম্পন) কারণে তারা ভবনের ভেতরে থাকতে ভয় পাচ্ছিল।

প্রতিবেদক বলেন, আমরা রোববার ভোর ৪টায় ইয়াঙ্গুন থেকে ভূমিকম্প অঞ্চলে যাত্রা শুরু করেছিলাম যা মান্দালয় থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে। রাস্তায় আলো ছিল না। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় গাড়ি চালানোর পর আমরা কমলা রঙের পোশাক পরা প্রায় ২০ জন উদ্ধারকর্মীর একটি দলকে দেখতে পেলাম, যাদের জ্যাকেটের ওপর লোগো ছিল যাতে লেখা- তারা হংকং থেকে এসেছেন। আমরা উত্তর দিকে গাড়ি চালানোর সময় রাস্তায় ফাটল দেখতে শুরু করি।

সাধারণত এই রুটে বেশ কয়েকটি চেকপয়েন্ট থাকে, কিন্তু আমরা ১৮৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে একটি চেকপয়েন্ট দেখতে পাই। একজন পুলিশ অফিসার আমাদের জানান, ভাঙা সেতুর কারণে সামনের রাস্তা বন্ধ। তিনি আমাদের একটি বিকল্প পথ দেখিয়ে দিলেন। আমরা আশা করেছিলাম, রোববার রাতের মধ্যে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে পৌঁছাব। কিন্তু সেই পথ ও গরমে আমাদের গাড়ির সমস্যা হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। একদিন পর, আমরা অবশেষে শহরে পৌঁছে যাই। শহরটি সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে আছে, রাস্তার বাতি জ্বলছে না। ঘরবাড়িতে বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা নেই। সকাল হলে এখানে কী পাব তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ