দুই বছর প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর পথ আলাদা হয়েছে তামান্না ভাটিয়া এবং বিজয় ভার্মার। তবে তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরলেও, তারা জানিয়েছেন যে তারা একে অপরের ভালো বন্ধু হয়ে থাকবেন। তবে এত কিছুর পরও এড়ানো যায়নি চর্চা।

দু’জনের বিচ্ছেদের খবর তাদের অনুরাগীদেরও বেশ হতাশ করেছে। কারণ অনুরাগীরা তাদের জুটি হিসেবে খুব পছন্দ করতেন। এ প্রসঙ্গে তামান্না কিছুদিন আগে পরোক্ষভাবে কিছু কথা বললেও বিজয় কাউকেই কিছু বলেননি।

বিজয় বর্মা সম্প্রতি আইএএনএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্পর্কে নিয়ে নানা কথা ও তার মতামত প্রকাশ করেছেন।

তার কথায়, ‘আপনি সম্পর্কের কথা বলছেন, তাই না? আমার মনে হয়, আইসক্রিমের মতো সম্পর্ককে উপভোগ করুন, তাহলে আপনি খুব সুখী থাকবেন। এর অর্থ হল, যে ফ্লেভারই আসুক না কেন, তা গ্রহণ করুন এবং তা সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যান।’

প্রায় দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন বিজয় ভার্মা ও তামান্না ভাটিয়া। এই মাসের শুরুতে তাদের ব্রেকআপের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তবে, তারা কেন আলাদা হলেন সে বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়।

সম্প্রতি রাবিনা ট্যান্ডনের হোলি পার্টিতে তাদের দেখা গেলেও তারা আলাদা আলাদা ভাবে তা উপভোগ করেছেন। বর্তমানে তামান্না এবং বিজয় উভয়েই তাদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মারধরে কলেজশিক্ষকের মৃত্যু, হামলাকারী আটক

কক্সবাজারের উখিয়ায় মারধরে এক কলেজশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। দোকান ভাড়া–সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তির মারধরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত দেড়টার দিকে উখিয়া সদরের ঘিলাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে।

নিহত শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ইকবাল (৫০)। তিনি উখিয়া ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চার শিক্ষক ছিলেন। আটক ব্যক্তির নাম মো. শরিফ প্রকাশ বট্টল (৪৫)। তিনি উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারবিল গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে, এলাকায় কলেজশিক্ষক ইকবালের একটি দোকানে ভাড়াটে হিসেবে রয়েছেন শরিফ। রাতে দোকান ভাড়া–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে ইকবালের কথা-কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে মোহাম্মদ ইকবালের ওপর হামলা করেন শরিফ। ইকবালের চোখ-মুখ, মাথা, পেটে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন তিনি। হইচই শুনে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ইকবালকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোহাম্মদ ইকবালের বড় ছেলে ইফতিয়াজ নুর বলেন, ‘চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় শরিফকে দোকান ছেড়ে দিতে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাতে গড়িমসি শুরু করেন শরিফ। গতকাল রাতে দোকান ছাড়ার কথা নিয়ে বাবার সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। হাতাহাতির এক পর্যায়ে বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর মাথা-মুখ ও পেটে লাথি মারতে থাকেন শরিফ। এতে বাবার মৃত্যু হয়।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসাইন বলেন, হত্যায় অভিযুক্ত মো. শরিফকে আটক করা হয়েছে। কলেজশিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ