Risingbd:
2025-04-22@17:23:35 GMT

চায়ের দেশে মিনি সাজেক

Published: 29th, March 2025 GMT

চায়ের দেশে মিনি সাজেক

চোখ জুড়ানো মন ভোলানো সবুজ চা বাগান। আছে টিলার পরে টিলা। আকাশের নীল দিগন্তে মিশে আছে সবুজের রেখা। মাঝখানে লাল টিলায় ছোট্ট ঘর। দেখে মনে হয় চায়ের দেশে এক মিনি সাজেক। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের অপেক্ষায় মৌলভীবাজারের এই মিনি সাজেক।

প্রকৃতির এমন দৃশ্য রয়েছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হিঙ্গাজিয়া চা বাগানের ভেতরের ১২নং সেকশনে। এখানে আরো রয়েছে টিলার ফাঁকে স্বচ্ছ জলের লেক।

মিনি সাজেক দেখার জন্য ভ্রমণ পিপাসুরা ছোটেন স্থানটিতে। দৃশ্য দেখে যাতায়াতের কষ্ট ভুলে যান তারা। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চায়ের রাজ্যে মৌলভীবাজারে লুকিয়ে থাকা মনোহরি কত দৃশ্য ধরা পড়ে ভ্রমণ পিপাসুদের চোখে। 

সরেজমিনে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ব্রহ্মণবাজারের কানু পট্টি হয়ে হিঙ্গাজিয়া চা বাগানের ভেতরে প্রায় ৩ কিলোমিটার সবুজ টিলার বুক পেরিয়ে ১২নং সেকশনে গিয়ে কথা হয় অনেকের সাথে। তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ায় পর্যটকরা মিনি সাজেক দেখার জন্য পড়ন্ত বিকেলে এখানে আসেন।

বেড়াতে আসা একই বাগানের বাসিন্দা স্বপন মিশ্র বলেন, “হিঙ্গাজিয়া বাগানের ভেতরের ১২নং সেকশনের এই সুন্দরতম দৃশ্য দেখে অনেকেই মিনি সাজেকের স্বাদ অনুভব করেন। তাই এলাকায় এটি মিনি সাজেক হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে।”

পড়ন্ত বিকেলে দেখা হয় পর্যটক শুভ যাদবের সাথে। তিনি বলেন, “এখানে এলে মনে সাজেকের ভাব আসে। আকাশের সাথে মেঘের ভেলা বা কুয়াশার মিতালী। প্রকৃতির এমন দৃশ্য দর্শনার্থীদের মন চুরি করে।”

এসময় কথা হয় ভ্রমণ পিপাসু কামরানের সাথে। তিনি বলেন, “মিনি সাজেক মনে করে এসে খুব ভালো লেগেছে। দেখার মত সুন্দর একটা স্পট। যারা ঈদের ছুটিতে মৌলভীবাজার চায়ের দেশে বেড়াতে আসবেন, তারা মিনি সাজেক দেখে যেতে পারেন।”

হিঙ্গাজিয়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক মাসুম চৌধুরী বলেন, “চা বাগান হচ্ছে সংরক্ষিত এলাকা। এখানে জনসাধারণের যাতায়াতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। স্থানটিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য লেক খনন করা হয়েছিল। এরপর লোকজনের আসা যাওয়াতে এটি হয়ে গেছে মিনি সাজেক। পর্যটক এলে আমরা নিষেধ করতে পারি না।”

ঢাকা/আজিজ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সংস্কার হচ্ছে, ভাঙচুর নয়

রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সংস্কারের কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এদিকে চলমান সংস্কারকাজের মধ্যে এ স্মৃতিসৌধ ভেঙে ফেলা হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে স্মৃতিসৌধের ভিডিও শেয়ার করে বলছেন, সেটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ‘ঢাকাস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের আধুনিকায়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। সংস্কারের কাজটি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুশলী নির্মাতা লিমিটেড। আগামী জুনের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের মিরপুর অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ আহসান বলেন, স্মৃতিসৌধের কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। শুধু পুরোনো ইট সরিয়ে নতুন ইট বসানো হচ্ছে। মূল বেদির নকশা আগে যা ছিল, তাই আছে। কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।

মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সরেজমিন দেখা যায়, কবরস্থানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধটি টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা। ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের বেদির দিকে ঢালু হয়ে নেমে আসা চারটি দেয়ালের মতো যে কাঠামো রয়েছে, সেগুলোর ইটের আস্তর যান্ত্রিক হাতুড়ি (হ্যামার ড্রিল) দিয়ে খোলা হচ্ছে। স্মৃতিসৌধের বেদির চারদিকে থাকা এমন চারটি দেয়ালের মধ্যে তিনটির আস্তর খোলার কাজ চলমান দেখা গেছে। স্মৃতিসৌধের সামনে এনে রাখা হয়েছে কংক্রিটের নতুন ব্লক।

তবে প্রকল্প এলাকায় সংস্কারকাজের কথা উল্লেখ করে কোনো সাইনবোর্ড টাঙানো হয়নি। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নিয়ম হচ্ছে, প্রকল্প চলাকালে সেখানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জানাতে হয়, সেখানে কী হচ্ছে। এ কারণে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বলেছে, স্মৃতিসৌধকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। স্মৃতিসৌধে থাকা পুরোনো ইটের আস্তরণ যান্ত্রিক হাতুড়ি দিয়ে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এর জায়গায় নতুন ইট বসানো হবে। নির্মাণ করা হবে দোতলা মাল্টিপারপাস ভবন। এ ছাড়া বর্ষার সময় পানি যাতে জমে না থাকে, সে জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য রেস্টহাউস (বিশ্রামাগার) নির্মাণ করা হচ্ছে। টাইলস পরিবর্তন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, স্মৃতিসৌধে দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার করা হয়নি। প্রকল্পটি অনেক আগেই অনুমোদন হয়েছিল। এখন কাজ চলছে। সেখানে নকশার কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সবকিছু আগের মতোই থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ