১ টাকায় ঈদের জামা পেলো শতাধিক শিশু
Published: 29th, March 2025 GMT
নীলফামারীর সৈয়দপুরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা এক টাকায় ঈদের নতুন জামা কিনতে পেরেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট এলাকায় এক টাকায় ঈদের নতুন জামা বিক্রির দোকানটি বসায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর’।
মাত্র এক টাকায় নিজের পছন্দমতো নতুন জামা পেয়ে ঈদের হাসি ফুটেছে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে।
নতুন সব ডিজাইনের ফ্রক, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট ছিল। আগত সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা এক টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দমতো পোশাক কিনে নেন। আর এভাবে মাত্র এক টাকায় ঈদ নতুন জামা পেযে খুশি সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা।
শহরের গোলাহাটের শিশু সুমাইয়া আক্তার জানায়, যে কোনো উৎসব-পার্বণে তাদের মা-বাবার পক্ষে নতুন কাপড় কেনা সম্ভব হয় না। এখানে এক টাকায় নতুন জামা দিচ্ছে শুনেই ছুটে আসি এবং এই এক টাকায় পছন্দ মত ফ্রক নিয়েছে। খুব খুশি সে।
সংগঠনের সদস্য সামিউল হোসেন জানান, সমাজে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বেশিভাগ সময়ই বঞ্চিত। ঈদেও তারা নতুন কাপড় কিনতে পারে না। তাই ওইসব শিশুদের ঈদ আনন্দ বর্ণিল করতেই আমরা এক টাকায় ঈদের নতুন জামা দিয়েছি। ঈদের আগ পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে আমাদের।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নওশাদ আনসারী বলেন, “মূলত সুবিধাবঞ্চিত, এতিম শিশুদের জন্য আমাদের এই আয়োজন। যেসব শিশুদের ঈদের নতুন জামা হয়নি তারা স্বচ্ছন্দে আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর এর দোকান থেকে মাত্র এক টাকার বিনিময়ে নিজের পছন্দ মত পোশাক নিতে পারবে। আমাদের সদস্যরা নিজস্ব অর্থায়নে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নতুন জামা দিয়ে এই আয়োজন করেছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে আমরা শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস ও সেমাই চিনি দুধও দেওয়া হচ্ছে অসহায়দের জন্য। এ কার্যক্রম চাঁদ রাত পর্যন্ত চলবে।”
ঢাকা/সিথুন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র নত ন জ ম ট ক য় ঈদ র স য়দপ র আম দ র পছন দ
এছাড়াও পড়ুন:
আমি যুদ্ধাপরাধী না, অথচ আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছে
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জন্মস্থানের একটা মায়া-ভালোবাসা আছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আপনাদের সামনে ২৪ বছর পর কথা বলার সুযোগ হয়েছে। কুলাউড়ার মানুষ আমাকে যেভাবে চেনে অন্য কেউ সেভাবে চেনে না।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) কুলাউড়া উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি কি যুদ্ধাপরাধী? না; অথচ আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল সাড়ে ১২ বছর। সাড়ে ১২ বছরের ছেলে যুদ্ধের সময়ে মানুষ খুন করতে পারে—এটা বিশ্বাসযোগ্য কথা? তা-ও চেষ্টা করা হয়েছে। কেউ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগও দেয়নি, সাক্ষ্যও দেয়নি। হিন্দু ভাইয়েরাও তাতে রাজি হয়নি। আমি সেই সময় জামায়াতে ইসলামীও করতাম না। আমি অন্য একটা সংগঠন করতাম। যেটা বলতে এখন লজ্জা হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত জালিম সরকারের আমলে আমরা ১১ জন শীর্ষ নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। ৫ শতাধিক মানুষ পঙ্গু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ হামলা-মামলার শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল। আগস্টের ১ তারিখ আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় আল্লাহকে বলেছিলাম, ৪ দিন পর আল্লাহর বিচার হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের সঙ্গে আমরাও ছিলাম। জালিমের মাথা আল্লাহ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।
জামায়াত আমির বলেন, আমি প্রত্যেক শহীদের বাড়িতে যদি যেতে পারতাম। তাদের সন্তান কোলে নিতে পারতাম। যাদের বাড়ি গিয়েছিলাম তাদের জিজ্ঞেস করেছি কেমন আছেন, তারা শুধু টপটপ করে চোখের পানি ফেলেছেন। জানতে চেয়েছিলাম—কী চান? তারা বলেছিলেন, জালিমের হাতে দেশটা যেন আর না যায়। দেশটা আপনাদের হাতে দেখতে চাই। এমন একটা দেশ দেখতে চাই যেখানে চাঁদাবাজ, ঘুষখোর ও সুদখোরদের ঠাঁই হবে না। আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে হিন্দু-মুসলিম কিংবা মেজরিটি-মাইনরিটি বলে কিছু থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, দুঃশাসন এবং জুলুমের কারণে আপনাদের মুখ দেখতে পারিনি। আজ প্রাণখুলে দেখতে চাই।
পুনর্মিলনীতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলালের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম।