ইউএসএআইডির সহায়তা স্থগিতে উন্নয়নকর্মীরা কেমন আছেন
Published: 29th, March 2025 GMT
বিশ্বায়নের যুগে আমরা কাজ করি একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে। শুধু নিজের উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিতভাবেই একান্ত নয়, আমাদের এই আশপাশের সবাইকে নিয়ে এখন চলতে হয়। মনে করছেন, আপনি ভালো আছেন, তাই আর কোনো সমস্যা নেই? নিজেদের ভালো রাখার পাশাপাশি আপনাকে আপনার সঙ্গে যুক্ত সব পর্যায়ের উপকারভোগীদের নিয়ে এগোতে হবে।
এই ধারণা যে কতটা সত্যি, তার একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে অতি সাম্প্রতিক সময়ের বিশ্বব্যাপী নাড়া দেওয়া একটি ঘোষণা—যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০০টি অধ্যাদেশ বাতিলের ঘোষণা। তার মধ্যে অন্যতম ছিল যুক্তরাষ্ট্রের করের টাকায় ব্যয়িত ইউএসএআইডির পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম। এর ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও একটা বিরাট অংশ হঠাৎ একটা ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে পড়ে গেছে।
শুধু উপকারভোগীরা নন, এর সঙ্গে কর্মরত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের আনুমানিক লক্ষাধিক উন্নয়নকর্মী বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো হঠাৎ কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই চাকরি হারিয়েছেন। যাঁরা এত দিন অন্যের জন্য জীবন সহজ করতে নানা সাহায্য–সহযোগিতা নিয়ে পৌঁছে দিতে ব্যস্ত ছিলেন, তাঁদের কী অবস্থা? সবাই ভাবছেন, বড় অঙ্কের বেতনভুক্ত এসব কর্মকাণ্ড যুক্ত ব্যক্তিরা অনেক অর্থসম্পদ জমিয়ে বেশ একটা আরামদায়ক জীবন যাপন করছেন। আসলে ঘটনা কি তা–ই? তাঁরা কেমন আছেন, এর একটি খণ্ডচিত্র তুলে ধরতে চাই।
কেস স্টাডি–১মিথিলা (ছদ্মনাম) একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স করে প্রথম থেকেই উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। যেহেতু বেতনের অঙ্কটা ছিল আশানুরূপ, তাই জীবনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন নিরবচ্ছিন্নভাবে। ঢাকা শহরে ফ্ল্যাটের গর্বিত মালিক হয়েছেন। নতুন ব্র্যান্ডের গাড়ি ব্যবহারে অভ্যস্ততা এসেছে। সন্তানের ভাগ্য গড়ে দিতে ভর্তি করিয়েছেন নামকরা ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়ে। স্বামীর আয়ও মন্দ নয়। এই পর্যন্ত সব ঠিক চলছিল মাসের বেতন ঘরে ঢুকলে সহজেই জমা করতেন এই বিলাসবহুল জীবনের জন্য করা ব্যাংকের ঋণের মাসিক কিস্তি। বাচ্চাদের নিয়ে নানা পরিকল্পনা করতে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু বিধি বাম, ২৪ জানুয়ারি, ২৫ ইউএসএআইডির বিশ্বব্যাপী ফান্ড বন্ধের ঘোষণা এলে একপলকে পৃথিবীর সব আলো কেড়ে নিল এই পরিবার থেকে। যেটা কখনো এই সুখী পরিবার কল্পনাও করতে পারেনি ঘুণাক্ষরেও! পূর্বঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ স্থগিত ঘোষণা যখন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা এল, তখন এই নারীর চোখে অন্ধকার দেখা ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকল না। আজীবন কর্মসূত্রে যেসব মানুষের জন্য এই মানুষটি নিজেকে নিয়ে চিন্তা না করে কাজ করেছেন, তাঁরা আজ অন্য সহযোগিতার আশ্বাস নিয়ে এখন আর মিথিলা আপার খবর রাখেন না।
কেস স্টাডি–২রহমান সাহেব (ছদ্মনাম) দীর্ঘ মেয়াদে নতুন প্রকল্পে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইতিমধ্যেই কর্মস্থলে বাসা ভাড়া নিয়ে থিতু হতে চেয়েছিলেন। পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ কীভাবে সহজ করতে পারেন ভেবে জানুয়ারি মাসে বাচ্চাদের ভালো বিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ করে দিতে একটা যথাযথ পরিকল্পনা করেছিলেন। নিজের পরিবারের জন্য অনেক কিছু করতে চেয়েছিলেন। যাঁরা উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত, তাঁরা তাঁদের উপকারভোগীদের পরিকল্পনা করার পাশাপাশি নিজ পরিবারের জন্য নিশ্চিত ভালো থাকার নানা আয়োজন করে ফেলেন চিন্তাভাবনা করে। রহমান সাহেব তার থেকে ভিন্ন ছিলেন না। কিন্তু ইউএসএআইডির সহায়তা বন্ধের ঘোষণা সব এলোমেলো করে দিয়ে তাঁদের ঠেলে দিল এক অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে। সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে আশাবাদী মানুষ এখন দেশব্যাপী সংখ্যায় একদম কম নয়।
যাঁরা শুধু মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন, তাঁদের জীবন এখন কেমন চলছে, কেউ খোঁজ রাখে না। রোজার মাস কীভাবে অতিবাহিত করছেন, তার খবর কেউ জানেন না। পবিত্র ঈদের আয়োজন তাঁদের জন্য কেমন হবে, তা শুধু তাঁরা ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে দিনের অধিকাংশ সময় কাটাচ্ছেন চাকরির নানা বিজ্ঞাপন দেখে। অথচ হঠাৎ বিশ্বব্যাপী এই দুর্ঘটনায় বিপর্যস্ত মানুষের সংখ্যা এত বেড়ে গেছে যে চাকরি আর সহজলভ্য নয় এখন কারও জন্য। দায়িত্বশীলতার জন্য যাঁরা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের সফল কর্মকর্তা, তাঁরা এখন পরিবারের সব অসহায়ত্বের ঝুলি মাথায় নিয়ে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সামাজিকতার বেড়াজালে আটকে এই অসহনীয় জীবনযাপনের কথা বলতে পারছে না কারও কাছে। তাঁদের আশপাশে লোকজন ধরেই নিয়েছেন, তাঁদের আবার সমস্যা কী? এত টাকা আয় করেছেন, নিশ্চয় তাঁরা প্রচুর সম্পদের মালিক! তাঁদের কেন সমস্যা হবে? একবারের জন্য চিন্তা করলে দেখতে পাবেন, যাঁর যেমন আয়, ব্যয়ের পরিমাণ তাঁর সে রকমই থাকে!
কেস স্টাডি ৩আবদুর রহিম (ছদ্মনাম) দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন। স্বল্প আয়ের এই মানুষটি তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য নিশ্চিত করে চলেছিলেন দৈনন্দিন সব চাহিদা। যদিও মাস যেত বড় হিসাব–নিকাশ করে, তবু চলছিল তাঁদের জীবন। সংসারের প্রয়োজনে তিনি অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাকিতে কিনতেন দীর্ঘদিনের পরিচিত এক দোকানির কাছ থেকে। চাইলেই পেয়ে যেতেন আবদুর রহিম। কারণ, মাসের বেতন পেলেই তিনি পাওনা শোধ করে দিতেন। জানুয়ারি মাসে হঠাৎ তাঁর ফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর এখন সবাই জানে। লক্ষাধিক মানুষের আয়ের উৎস এখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবদুর রহিমসহ যাঁরা এই পর্যায়ে অবস্থান করছিলেন, তাঁদের এখন কেউ আর বাকিতে কোনো দ্রব্য নিতে নারাজ। কারণ, তাঁদের তো চলতে হবে।
একটা ছোট আশা ছিল, হয়তো রিভিউ হয়ে ফান্ড আবার সচল হবে। কিন্তু সর্বশেষ খবর, বাংলাদেশ এখন থেকে এসব ফান্ড বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মুসলিম সমাজে পবিত্র রমজান খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে যেমন নিজেকে পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে নিবেদন করার, তেমনি দিনশেষে পরিবারের সঙ্গে একটু উন্নত খাবার খেয়ে ইফতার করার।
আবদুর রহিমসহ মাঠপর্যায়ের এই কর্মচারীদের এখন পবিত্র রমজানের এ আয়োজন বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিন বেলা পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় চাকরি এখন সোনার হরিণ হয়ে গেছে!
এমন সময় একটি মানবিক উদ্যোগ আমাকে নাড়া দিয়েছে। ইহসান নামে একটি উদ্যোগ এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের স্বল্প পরিসরে আয়োজন নিয়ে। অনেকটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বলা যায় এ আয়োজন চলছে। তারা ইউএসএআইডির সব বিপর্যস্ত কর্মীর তালিকা আহ্বান করেছিল তাদের ফেসবুক পেজ থেকে। তাঁদের মধ্য থেকে কিছু মানুষের জন্য রমজান প্যাকেজ প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। ইহসানের এই কার্যক্রম সহযোগিতা করতে স্বপ্ন সুপারশপ এগিয়ে এসেছে। হয়তো শুরুটা খুব সামান্য, তবে মানুষ মানুষের জন্য, তা আবারও প্রমাণ করতে পেরেছেন এই ইহসান পেজের অ্যাডমিনরা।
বিশ্বায়নের এই যুগে কারও কোনো সমস্যা হলে তা ঘুরেফিরে আপনার ওপর চলে আসবে, এটি এখন না বুঝতে পারলে সময়মতো ঠিকই বুঝতে পারবেন। বাংলাদেশেও এর ভিন্নতা নেই। গত জানুয়ারির ফান্ড বন্ধের হঠাৎ একটার পর একটা ঘোষণা হাজারো মিথিলা, রহমান সাহেবের জীবন থমকে দিয়েছে।
হয়তো তাঁরা পরিবারের জন্য আয় করতেন, কিন্তু মানুষ হয়ে মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা তাঁদের আরও বেশি উদ্যোগ নিতে সাহায্য করেছিল। যাঁদের জন্য তাঁরা কাজ করে গেছেন, তাঁরা কি জানেন তাঁদের মিথিলা আপার অথবা রহমান ভাই কেমন আছেন? তাঁদের দিন কীভাবে যাচ্ছে? হয়তোবা মনেও করছেন না!
ভাবছেন, শুধু বেতনের বিনিময়ে পরিবারের সদস্যদের থেকে কাজের প্রয়োজনে বিচ্ছিন্ন থাকাটা ছিল তাঁদের দায়িত্ব পালনের অংশ। বুকের মধ্যে মানুষের জন্য মানবিকতা না থাকলে শুধু বেতনের বিনিময়ে কারও জন্য এত নিবেদিতভাবে কাজ করা যায়?
আমরা আমাদের নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকতে দিন দিন অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। আমাদের জীবনের প্রতিটি অংশ কারও না কারও সঙ্গে যুক্ত। বিশ্বায়নের তত্ত্বকথা তা–ই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন একটি উপস্থাপনা ব্লিডিং ব্লগ।
সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, যাঁরা সেবা প্রদানের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সব অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে তবেই একটি নির্ভরযোগ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করছেন, তাঁদের এই মহাবিপদে আমরা কি তাঁদের কোনো খবর রেখেছি? হয়তো ভাবছি, তাঁরা ভালো আছেন। এত বেতনের চাকরি করে তাঁদের আবার সমস্যা কী? কিন্তু ভেবেছেন, এত সামর্থ্যবান মানুষ হঠাৎ এই চাকরিহীন জীবন কীভাবে কাটাচ্ছেন? ভাববেন নিশ্চয়ই; কারণ; একটা সময় এই মানুষগুলো অন্যের জন্য ভেবেছেন। এটা শুধু তাঁদের কাজের অংশ ছিল না, ছিল সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। এই মানুষগুলোকে একটু ভালো রাখতে আমাদের করণীয় কিছুই কি নেই? প্রশ্নটি সবার জন্য।
ফারজানা রহমান এ্যানি, উন্নয়নকর্মী, ঢাকা
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউএসএআইড র ফ ন ড বন ধ ব র র জন য পর ব র র র জ বন আম দ র এই ম ন রহম ন সমস য করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইউএসএআইডি বন্ধ করতে ট্রাম্প প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা ঘোষণা
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির কার্যক্রম কার্যকরভাবে বন্ধ করে দিতে গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিক একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, আজ (শুক্রবার) পররাষ্ট্র দপ্তর এবং ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) কংগ্রেসকে তাদের পুনর্গঠনের ইচ্ছা সম্পর্কে অবহিত করেছে, যার মধ্যে চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের মধ্যে ইউএসএআইডির কিছু কর্মকাণ্ড পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
রুবিও আরও বলেছেন, ইউএসএআইডির অবশিষ্ট কার্যক্রম, যেগুলো প্রশাসনের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
মার্কো রুবিও আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইউএসএআইডি অনেক আগেই নিজের আসল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে। ফলে এ সংস্থার অর্জন খুবই সামান্য এবং ব্যয় অনেক বেশি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পরপর ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক ত্রাণ তহবিল ৯০ দিনের জন্য আটকে দেন।
ওই আদেশের পর ইউএসএআইডির নানা প্রকল্পে নাটকীয়ভাবে কাটছাঁট শুরু হয়, শুধু গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তার জন্য সামান্য কিছু ছাড় দেওয়া হয়।
১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি আইন পাসের মাধ্যমে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে ইউএসএআইডির যাত্রা শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুনইউএসএআইডির প্রায় সব কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২ হাজার পদ বাতিল হবে২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ট্রাম্প প্রশাসন স্বাধীন সংস্থাটি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর তাদের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির ডেমোক্র্যাট সিনেটররা।
এক বিবৃতিতে ডেমোক্র্যাট সিনেটররা বলেন, পুনর্গঠন করা হলে কেবল ইউএসএআইডির চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করাই অসম্ভব হয়ে পড়বে না; বরং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর যে বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তার কারণে এর মূল লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটবে।
সিনেটররা আরও বলেন, এই প্রস্তাব অবৈধ, বিপজ্জনক ও অপর্যাপ্ত।
ট্রাম্প প্রশাসন বরাদ্দ আটকে দেওয়ার আগে ইউএসএআইডি প্রায় ৪ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার বার্ষিক বাজেটের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছিল। বিশ্বে মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমের ৪০ শতাংশের বেশি পরিচালিত হয় ইউএসএআইডির মাধ্যমে।
আরও পড়ুনইউএসএআইডির কর্মীদের ছুটিতে পাঠানোর ট্রাম্পের পরিকল্পনা স্থগিত করলেন মার্কিন বিচারক০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার কয়েক দিন পরই ইউএসএআইডির অধিকাংশ কর্মীকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল এক স্মারকের মাধ্যমে ইউএসএআইডি কর্মীদের নীতিমালা অনুসারে বাধ্যতামূলক নয়, এমন সব পদ বিলুপ্ত করার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
ওই স্মারকে ইউএসএআইডির ভারপ্রাপ্ত প্রধান জেরেমি লুইন আরও বলেছেন, পররাষ্ট্র দপ্তর আগামী কয়েক মাসে ইউএসএআইডির বেশির ভাগ স্বাধীন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনাও করেছে।
আরও পড়ুনইউএসএআইডির তহবিল স্থগিতে যে সব ক্ষতি হচ্ছে২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫