অসহায়দের পাশে দাঁড়ালো বেরোবি সাংবাদিক সমিতি
Published: 29th, March 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বেরোবিসাস) পথশিশু, অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও শিক্ষকবৃন্দ ও সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের উপস্থিতিতে এসব সামগ্রী বিতরণ করে সংগঠনটি।
এ সময় সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, “ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। বেরোবিসাসের এ উদ্যোগের ফলে আমরা ধনী-গরিব সবাই মিলে ঈদ উদযাপন করতে পারব।”
রেজিস্ট্রার ড.
উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, “সাংবাদিক সমিতি ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী ও ছোট্ট বাচ্চাদের মাঝে পাঞ্জাবি বিতরণ করে সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছে। তারা যে আদর্শ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে তুলে ধরেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আগামীতেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি এ রকম দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে এবং দেশ ও জাতির কথা তুলে ধরবে। আমরা তাদের এ মহৎ কাজের জন্য সাধুবাদ জানাই।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি স্থাপনে যত চ্যালেঞ্জ
লাল রঙের মঙ্গল গ্রহ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। তাই দীর্ঘদিন ধরে মঙ্গল গ্রহকে প্রাণধারণের উপযোগী করতে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু বিজ্ঞানীরাই নন, মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি স্থাপনের জন্য কাজ করছেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্কও। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে বসতি গড়ার জন্য ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে যেতে চান তিনি। তবে মানুষ কি আদৌ মঙ্গল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ পাতলা এবং ৯৫ শতাংশই কার্বন ডাই–অক্সাইডে পরিপূর্ণ। অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম থাকায় শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই মঙ্গল গ্রহে মানুষের টিকে থাকার জন্য কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে। শুধু তা–ই নয়, মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল মানুষকে মহাজাগতিক ও সৌর বিকিরণ থেকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে পারবে না। এর ফলে মানুষের শরীরে ক্যানসারের পাশাপাশি স্নায়বিক ক্ষতি ও অন্যান্য মারাত্মক রোগ হতে পারে।
মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের আরেকটি ঝুঁকি হচ্ছে তাপমাত্রা। মঙ্গল গ্রহের গড় তাপমাত্রা মাইনাস ৬৫ থেকে মাইনাস ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মানুষের জীবনধারণের জন্য অত্যন্ত কঠিন। তাই সেখানে বসবাস করতে হলে উষ্ণ আবাসস্থল ও বিশেষ পোশাকের প্রয়োজন হবে। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মঙ্গল গ্রহের ধূলিঝড়। সেখানে ধূলিঝড় কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে চলতে পারে। ধূলিঝড়ের সময় পুরো গ্রহ ধুলায় ঢেকে যায়। এর ফলে সৌর প্যানেল বসানো হলে তা ধূলিঝড়ের সময় অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
মঙ্গল গ্রহে তরল পানির অস্তিত্ব সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই মানব বসতির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। শুধু তা–ই নয়, খাদ্য উৎপাদন করতে হবে মানুষকে, যা মঙ্গল গ্রহের প্রতিকূল পরিবেশে কঠিন হতে পারে। এ ছাড়া মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে মানুষের হাড় এবং পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
সূত্র: রয়েল মিউজিয়াম গ্রিনউইচ ও প্ল্যানেটারি সোসাইটি