সোমবার ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত জানাল অস্ট্রেলিয়ার ফতওয়া কাউন্সিল
Published: 29th, March 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার ফতওয়া কাউন্সিল আগামী সোমবার (৩১ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কাউন্সিল চাঁদ দেখা সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানায়।
কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার রাত ৯টা ৫৭ মিনিটে শাওয়াল মাসের চাঁদের জন্ম হবে। তবে তা আকাশে দেখা যাবে রোববার (৩০ মার্চ)। এ কারণে ৩০ দিন রোজা পূর্ণ করে সোমবার ঈদ পালন করা হবে। এই পদ্ধতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বেশ কয়েকটি ফতওয়া পরিষদ অনুসরণ করে থাকে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার চাঁদ দেখা কমিটি 'মুনসাইটিং অস্ট্রেলিয়া' জানিয়েছে, তারা ঐতিহ্যগতভাবে আকাশে সরাসরি চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ঈদ সোমবার অথবা মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) হতে পারে।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অস্ট্রেলিয়া প্রায়ই চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রাখে। এ বছর রমজান শুরুর ঘোষণাও দেশটি আগে দিয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায় ঈদের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। সিডনি, মেলবোর্নসহ প্রধান শহরগুলোতে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঈদ জামাতের জন্য নিরাপত্তা ও যানজট ব্যবস্থাপনা জোরদার করেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১০ লাখ মুসলমান বসবাস করেন। দেশটিতে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা সরকারি ছুটির দিন নয়। তবে মুসলিম কর্মীরা বিশেষ ছুটির সুযোগ পান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৩৫০-৪০০ করে জিম্বাবুয়েকে ৩০০ রানের টার্গেট দিতে চায় বাংলাদেশ
ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দিন ডুবেছিল বাংলাদেশ। বোলিংটাও হয়নি মনোঃপুত। তবে দ্বিতীয় দিন বোলারাই উদ্ধার করেছে বাংলাদেশকে।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের লড়াই শেষে দুই দলের কাউকেই এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের করা ১৯১ রানের জবাবে ২৭৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। ৮২ রানের লিড পায় তারা। জবাব দিতে নেমে ১ উইকেটে ৫৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। হাতে ৯ উইকেট রেখে বাংলাদেশ কতদূর যাবে সেটাই দেখার। তবে ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিজেদের পক্ষে আনতে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিংয়ের বিকল্প নেই।
কত রান হলে জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া যাবে? প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৫ উইকেট পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজ জানালেন, অন্তত ৩০০ রানের টার্গেট জিম্বাবুয়েকে দিতে চান তারা। এজন্য স্কোরবোর্ডে ৩৫০-৪০০ রান লাগবেই। সেই লক্ষ্যেই ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করবেন বলে জানালেন।
তার ভাষ্য, ‘‘এখন যে উইকেট আছে, আমার কাছে মনে হয় যদি ভালো ব্যাটিং করতে পারি, যদি ৩৫০–৪০০ রান করতে পারি, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো হবে। টেস্ট ক্রিকেটে যদি ৩০০ রান লক্ষ্য দেওয়া হয়, প্রতিপক্ষের জন্য অনেক কঠিন। কারণ উইকেটে অনেক পরিবর্তন আসবে। আমাদের ওই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’’
সিলেটের উইকেটে এখন পর্যন্ত পেসাররা বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। স্পিনারদের সাফল্যের পাল্লা ভারী হলেও যতটুকু সুবিধা পেসাররাই পাচ্ছেন। নতুন বলে বল বেশ ভালো মুভমেন্ট পাচ্ছে। স্পিনাররা তেমন টার্ন পাচ্ছেন না। মিরাজও জানালেন, স্পিনাররা ছিলেন সাপোর্টিং রোলে। পেসাররাই তৈরি করেছেন আসল চাপ।
আজ দিনের শুরুতে নাহিদ রানা গতির ঝড় তুলে ৩ উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ পান ১ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে খালেদের পকেটে যায় ১ উইকেট। বাকি ৫ উইকেট পান মিরাজ। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জিম্বাবুয়েকে বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ।
বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি মিরাজ, ‘‘আমাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছি। গতকাল আমরা বোলাররা খুব ভালো করতে পারিনি। হয়তো আমাদের আরো ভালো করা উচিৎ ছিল। পেস বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। হাসান, নাহিদ রানা এবং… খালেদ, তিনজন… খুবই ভালো বল করেছে। আমাদের স্পিনারদের ভূমিকা ছিল আমরা যেন সাপোর্ট করতে পারি। টেস্ট ম্যাচে প্রথম ইনিংসে নতুন বলে পেসারদের ভূমিকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা সেই জিনিসটা মেইনটেইন করতে পেরেছে। এবং… আমার কাছে মনে হয়, তারা যেভাবে বল করেছে এটা আমাদের দলের জন্য অনেক সাহায্য করেছে ওদেরকে অলআউট করতে।’’
ম্যাচ এখন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করছেন মিরাজ, ‘‘এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে আমি মনে করি। আমাদের ১ উইকেট গিয়েছে। ব্যাটসম্যান আছে। আমরা যদি ভালো একটা স্কোর দিতে পারি তাদেরকে। চার নম্বর দিন ওদের জন্য অনেক কঠিন হবে এই উইকেটে।’’
তৃতীয় দিনের সকালের সেশনটাকেই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরছেন মিরাজ, ‘‘প্রথমে আমাদের লিড পার করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে লিডটা যেন ক্রস করতে পারি। তারপর আমাদের ব্যাটসম্যানরা যেন দায়িত্ব নিয়ে বড় একটা স্কোর করতে পারি।’’
সিলেট/ইয়াসিন