মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চালককে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে জহির (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দুইজন।

শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার তন্তর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

শ্রীনগর থানার ওসি শাকিল আহমেদ জানান, আজ ভোরে তন্তর এলাকায়ে মহসিন মিয়ার (৪২) অটোরিকশায় যাত্রীবেসে ওঠেন চারজন। মাঝপথে মহাসিন মিয়ার গলায় ছুরি চালিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যান একজন। এ সময় অটোরিকশা চালকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন বাকি তিনজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়।

আরো পড়ুন:

ভিক্ষুককে ‌যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গণধোলাই

কিশোরগঞ্জে ট্রেনের ইঞ্জিনে উঠতে নিষেধ করায় চালককে মারধর

তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গুরুতর আহত অটোরিকশা চালকসহ তিন অভিযুক্তকে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে একজনের মৃত্যু হয়। নিহত জহির মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

ঢাকা/রতন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ন হত ছ নত ই আহত

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমি আওয়াজ দিয়ে মরতে চাই’

গাজায় বসবাসকারী একজন তরুণ আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে ফাতিমা হাসোনা জানতে, মৃত্যু সবসময় তার দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। যুদ্ধের গত ১৮ মাস ধরে তিনি বিমান হামলা, তার বাড়ি ধ্বংস, অবিরাম বাস্তুচ্যুতি এবং পরিবারের ১১ জন সদস্যের হত্যার কথাগুলো লিখেছেন। কিন্তু স্বজন, বাড়িঘর হারানোর পরেও তিনি চুপ হয়ে যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন ফিলিস্তিনি এই সাংবাদিক।

ফাতিমা তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, “যদি মরন আসেই তাহলে আমি উঁচু আওয়াজ দিয়ে মরতে চাই। আমি কেবল ব্রেকিং নিউজ বা কোনো দলের সংখ্যা হতে চাই না, আমি এমন একটি মৃত্যু চাই যা বিশ্ব শুনবে, এমন একটি প্রভাব যা সময়ের সাথে সাথে থাকবে এবং একটি চিরন্তন চিত্র যা সময় বা স্থান দিয়ে চাপা দেওয়া যাবে না।”

আর কয়েক দিন পরেই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল ২৫ বছর বয়সী ফাতিমার। বুধবার উত্তর গাজায় তার বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন ফাতিমা। তার পরিবারের দশজন সদস্য নিহত হয়েছেন এই হামলায়। নিহতদের মধ্যে মধ্যে তার গর্ভবতী বোনও ছিলেন।

ফাতিমাকে হত্যার চব্বিশ ঘন্টা আগে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ইসরায়েলি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় তারর জীবনকে কেন্দ্র করে একটি তথ্যচিত্র ফরাসি স্বাধীন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রকাশ করা হবে।

ইরানি পরিচালক সেপিদেহ ফারসি নির্মিত ‘পুট ইওর সোল অন ইওর হ্যান্ড অ্যান্ড ওয়াক’ ছবিটিতে ফাতিমা ও ফারসির মধ্যে ভিডিও কথোপকথনের মাধ্যমে গাজার অগ্নিপরীক্ষা এবং ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন জীবনের গল্প বলা হয়েছে। 

ফাতিমা সেই তথ্যচিত্রে বলেছিলেন, “গাজা আমার চোখ... জ্বলন্ত ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। আমি তার হাসি, তার কান্না, তার আশা এবং তার বিষণ্ণতার ছবি তুলেছিলাম।”

ফাতিমা সম্পর্কে ফারসি বলেন, “তিনি অনেক আলোকজ্জল, অনেক প্রতিভাবান ছিলেন। ছবিটি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন। কয়েক ঘন্টা আগে আমি তার সাথে কথা বলেছিলাম যে ছবিটি কানে আসছে এবং তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।”

ফ্রান্সে নির্বাসিত জীবনযাপনকারী ফারসি বলেন, ফাতিমাকে একজন ফটোসাংবাদিক হিসেবে তার বহুল প্রচারিত কাজের জন্য এবং সম্প্রতি তথ্যচিত্রে অংশগ্রহণের জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। 

সাম্প্রতিক ইতিহাসে গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাতময় স্থান। ২০২৩ সাল থেকে ১৭০ জনেরও বেশি সাংবাদিক ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাল–নালায় পড়ে মৃত্যুর দায় নেয় না, তদন্তও করে না
  • ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
  • নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি 
  • নাটোরের শিশুর লাশ উদ্ধারের মামলায় পাঁচ কিশোর আটক
  • কৃষি পরিবারের বউ হয়ে এসেছিলেন, হয়েছেন দেশসেরা কৃষক
  • বীথি: পর্ব ১৭
  • কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী গদিতে আগুন জ্বালালেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা
  • পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮
  • পাকিস্তানে কেএফসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮
  • ‘আমি আওয়াজ দিয়ে মরতে চাই’