ম্যাচের দশম মিনিটের খেলা চলছিল। হামজা চৌধুরী প্রতিপক্ষ এক ফুটবলারকে চ্যালেঞ্জ করতেই ধারাভাষ্যকার বলে উঠলেন, “হামজা মিডফিল্ডে খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। সে একটা লম্বা বিমানভ্রমণ করেছে; বাংলাদেশের জার্সিতে ভারতের বিপক্ষে খেলে এসেছে। আন্তর্জাতিক বিরতিতে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকে নায়কোচিত অভ্যর্থনা পেয়েছে সে।”

ঘটনাটি শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে। যেখানে হামজার অসাধারণ পারফরম্যান্সে কভেন্ট্রিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। এই জয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠল ক্রিস ওয়াইল্ডারের দল। ৩৯ ম্যাচে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে শেফিল্ড। যদিও ৮০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা লিডস ইউনাইটেড খেলেছে ১ ম্যাচ কম।

গতরাতের ম্যাচটা হামজার জন্য একদম ভিন্নরকম ছিল। এর আগে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ পর্যায় প্রিমিয়ার লিগে খেললেও, আন্তর্জাতিক কোন মূল দলে তার প্রতিনিধিত্ব করা হয়নি। কভেন্ট্রির বিপক্ষে তিনি যখন খেলেছেন, ততক্ষণে তার নামের পাশে বাংলাদেশে জাতীয় দলের তকমা লেগে গিয়েছে।

আরো পড়ুন:

ব্রাজিলের কোচ হওয়ার বিষয়ে যা বললেন আনচেলোত্তি

যৌন নিপীড়ন মামলায় খালাস পেলেন আলভেস

ম্যাচের শুরু থেকে ৮৮ মিনিটে পর্যন্ত মাঠে ছিলেন হামজা। এই ম্যাচে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলেছেন তিনি। যদিও আগের দুটো ম্যাচে এই ২৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডারকে কোচ খেলিয়েছিলেন রাইটব্যাক পজিশনে। তিনি তার সহজাত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ভূমিকায় কভেন্ট্রির বিপক্ষে দারুণ খেলেছেন। পুরো ম্যাচে হামজা পাস ইন্টারসেপ্ট করেছেন ৪টি, শটও ব্লক করেছেন একটি। দুটো ট্যাকলের একটা সফল ছিল। পাস দিয়েছেন ৩১টি, যার মাঝে ৮০ শতাংশ ছিল সফল।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

সততার আশ্চর্য প্রতিদান

মক্কায় বাস করতেন কাজী আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে আবদুল বাকি নামে এক সৎ লোক। একদিন তার খুব ক্ষুধা পেল। কিন্তু তার কাছে কোনো খাবার ছিল না। খাবার কেনার মতো পয়সাও ছিল না। খাবার খুঁজতে গিয়ে তিনি একটি থলে কুড়িয়ে পেলেন। থলেটি নিয়ে বাড়ি এনে দেখলেন, তাতে একটি মোতির হার। এমন হার জীবনে দেখেননি।

এরই মধ্যে এক বৃদ্ধের চিৎকার কানে এলো, ‘যে আমার থলেটি ফিরিয়ে দেবে, তাকে আমি পাঁচ শ স্বর্ণমুদ্রা দেব।’ তিনি বৃদ্ধকে বাড়ি নিয়ে এলেন তিনি। লোকটি তার কাছে নিজ থলে, থলের ফিতা ও মোতির হারের হুবহু বর্ণনা দিল। কাজী আবু বকর থলেটি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। বৃদ্ধ তাকে পাঁচশ স্বর্ণমুদ্রা দিতে চাইলেন। কিন্তু তিনি নিলেন না। বললেন, ‘আপনার থলে আপনার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া আমার দায়িত্ব ছিল। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। সুতরাং আমি এর কোনো বিনিময় নেব না।

তিনি অভুক্ত রয়ে গেলেন।

কিছুদিন পরের কথা। কাজী আবু বকর সমুদ্রপথে সফরে বেরোলেন। হঠাৎ মাঝ দরিয়ায় জাহাজ ভেঙে গেল। সকল আরোহী ডুবে মারা গেল। তিনি জাহাজের একটি কাঠের খণ্ডে ভেসে বেঁচে গেলেন। ভেসে ভেসে এক দ্বীপে পৌঁছলেন। দ্বীপের অধিবাসীরা ছিল মুসলমান। তিনি দ্বীপের একটি মসজিদে গিয়ে উঠলেন। লোকেরা তার কোরআন তিলাওয়াত শুনে মুগ্ধ হলো এবং তারা তার কাছে কোরআন শেখার আবেদন জানাল। তিনি তাদের কোরআন শেখাতে লাগলেন। এতে তার হাতে কিছু অর্থ জমা হলো।

আরও পড়ুনসহজ ওমরাহ ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

কেউ একজন তার জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এল। বলল, ‘আমাদের এখানে একটি এতিম মেয়ে আছে। সে ধনসম্পদেরও মালিক। আমরা চাই, আপনি তাকে বিয়ে করুন।’

তিনি রাজি হলেন। এতিম মেয়েটির সঙ্গে তার বিয়ে হলো। কাজী আবু বকর তার স্ত্রীকে প্রথম দেখতে গিয়েই তার চোখ আটকাল স্ত্রীর গলার হারে। এ দেখি হুবহু সেই হার, যা তিনি কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। জানা গেলো, যেই বৃদ্ধকে তিনি হারটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, তিনিই হলেন মেয়েটির বাবা। তিনি বলতেন, আমি পৃথিবীতে তার চেয়ে ভালো মানুষ দেখিনি, যে আমার মোতির হারটি কুড়িয়ে পেয়ে আবার ফিরিয়ে দিয়েছিল। তিনি দোয়া করতেন, হে আল্লাহ, আপনি এ মহৎ হৃদয়ের মানুষটিকে আমার সঙ্গে আবার সাক্ষাৎ করিয়ে দিন৷ যেন আমার কলিজার টুকরো কন্যাকে তার সঙ্গে বিয়ে দিতে পারি। তার সেই প্রার্থনা আজ বাস্তবে রূপ নিল।

 সূত্র: যাইলু তাবাকাতিল হানাবিলা: ১/৭৯)

আরও পড়ুনমক্কার জমজম কূপের উৎপত্তি০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ