রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনের কাছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি থেকে ৩৩ হাজার ৫০০ ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ইয়াবার দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা।

গতকাল শুক্রবার রাতে ট্রেনটি থেকে এসব ইয়াবা জব্দ করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি।

ঢাকা রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘ঝ’ নম্বর বগিতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় একটি স্কুলব্যাগে থাকা ৩৩ হাজার ৫০০ ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। পরে সেগুলো জব্দ করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, মাদক কারবারিরা ট্রেনে ইয়াবা বহনের সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য ইয়াবা এক জায়গায় রাখেন। নিজেরা অন্য জায়গায় বসেন। তাই ওই ব্যাগের মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জব্দ করা ইয়াবার দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সামান্য বৃষ্টিতে নোয়াখালী কলেজে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি চরমে

সামান্য বৃষ্টিতেই নোয়াখালী সরকারি কলেজ চত্বরে সৃষ্টি হয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। এতে শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সম্প্রতি হওয়া বৃষ্টিতে কলেজের মূল ফটক থেকে শুরু করে একাডেমিক ভবনের সামনের পথগুলো হাঁটু সমান পানিতে ডুবে আছে।

বিশেষ করে সকালে ক্লাসে প্রবেশ ও বিকেলে বের হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবার বৃষ্টি হলেই একই অবস্থা হয়। অনেক সময় ক্লাসে উপস্থিত হতে দেরি হয়। এমনকি কেউ কেউ বিড়ম্বনা এড়াতে বাড়িতেই থেকে যান।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার বলেন, “বৃষ্টি হলেই কলেজের সামনে এবং কলেজের ভিতরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অতিবৃষ্টির প্রয়োজন হয় না।”

তিনি আরো বলেন, “একটা কলেজ প্রতিবার বৃষ্টির সময়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছে। অথচ প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নোয়াখালীর সুনামধন্য কলেজের এমন বেহাল দশা মেনে নেওয়া কষ্টের। আমরা কলেজ প্রশাসনকে অনুরোধ করছি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় এই সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবেই প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে একই চিত্র দেখা যায়।

এ বিষয়ে নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা খুব শীঘ্রই কার্যকরী ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করব। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।”

তিনি বলেন, “কলেজ প্রশাসন এ সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। খুব দ্রুতই এ কার্যক্রমের বাস্তবায়ন শুরু হবে।”

ঢাকা/সুমাইয়া/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ