পদ্মা সেতুতে সোয়া ৪ কোটি টাকা টোল আদায়, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক
Published: 29th, March 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকার টোল আদায় হয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে পদ্মা সেতু সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়িদ এতথ্য জানান।
প্রকৌশলী আবু সায়িদ জানান, পদ্মা সেতুতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় শুক্রবার টোল আদায় বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত এই সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা।
আরো পড়ুন:
উত্তরে গাড়ির চাপ বাড়লেও নেই যানজট, মহাসড়কে সেনাবাহিনী
দৌলতদিয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই ভোগান্তি
এসময় মাওয়া প্রান্ত হয়ে পদ্মা সেতু পারি দিয়েছে ২৬ হাজার ৫৭টি যানবাহন। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পারি দিয়েছে ১৩ হাজার ৫৮০টি যানবাহন। উভয় প্রান্তে চলাচল করেছে ৩৯ হাজার ৬৩৭টি যানবাহন। যার মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৯ হাজার ৮৫২টি। গত কয়েকদিনের ঈদ যাত্রায় মোটরসাইকেল পারাপারের সংখ্যা শুক্রবারই ছিল সর্বোচ্চ।
তিনি আরো জানান, টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয় শুক্রবার থেকে। ঈদের ছুটিতে শুক্রবার ভোর থেকে দেশের দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দূর পাল্লার যানবাহনের চাপ বাড়ে। শনিবার ভোর থেকে মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমে এসেছে।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলে বাড়িতে যাচ্ছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। তবে আধুনিক এই মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজটের বিড়ম্বনা নেই।
মাওয়া ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জিয়া বলেন, “ছুটির দ্বিতীয় দিনে শনিবার (২৯ মার্চ) ভোর থেকেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের ঢল নামলেও তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে। নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছে সব যানবাহন।”
তিনি আরো বলেন, “ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ৭টি বুথে আদায় করা হচ্ছে যানবাহনের টোল। মোটরসাইকেলের জন্য রয়েছে আলাদাভাবে টোল নেওয়ার ব্যবস্থা। বর্তমানে তিনটি বুথ দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে।”
হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, “শনিবার ভোর থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলাচল বেড়েছে। পদ্মা সেতু টোল প্লাজা এলাকায় মোটরসাইকেলসহ অন্য যানবহনের কোনো জট নেই। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে দুর্ঘটনা রোধে যানবাহনের অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।”
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, “ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সড়কে নিরাপত্তার স্বার্থে দিনে ও রাতে হাইওয়েসহ চার শতাধিক পুলিশ কাজ করবে ঈদের আগে ও পরে।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন পদ ম স ত শ ক রব র র ত ১২ট
এছাড়াও পড়ুন:
গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১৮
ভারতের গুজরাটের একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। সূত্র- বিবিসি বাংলা
গুজরাটের পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়।
বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সে সময় ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকেরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকেরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান উপস্থিতদের অনেকেই।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নিহতরা মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করেছেন তিনি।
বনাসকাণ্ঠা জেলার কালেক্টর মিহির প্যাটেল বলেন, তীব্র বিস্ফোরণে কারখানার আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিনের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়।
প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় কারখানায় কাজ হচ্ছিল।
হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। চারিদিক থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন ভেতরে কাজ চলছিল। কমপক্ষে ৩৫ জন ছিলেন সেখানে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছি।
তবে ওই কারখানায় ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি কর্মকর্তারা।