চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের বিলে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় বাসটির নিচে চাপা পড়ে চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ছয় যাত্রী। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে মহাসড়কের সাতকানিয়ার মৌলভির দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ করিম (৪৫)। তিনি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ হাসিমপুর বড়পাড়া এলাকার মোহাম্মদ হাসানের ছেলে। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসচালকের সহকারী মোহাম্মদ করিমের লাশ উদ্ধার করেন। এর আগে স্থানীয় লোকজন আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কেরানীহাটের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পর মিনিবাসটির চালক পালিয়ে গেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে হাইওয়ে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিহত সহকারীর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ