রাজশাহীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়
Published: 29th, March 2025 GMT
রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত হবে হযরত শাহ মখদুম রূপোষ (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে, একই সময়ে জামাত স্থানান্তরিত হবে হযরত শাহ মখদুম রূপোষ (রহ.) দরগা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে।
শাহ মখদুম রূপোষ (রহ.) দরগা স্টেটের তত্ত্বাবধায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা জানান, ঈদ জামাত দরগা মসজিদে স্থানান্তরিত হলে এবং মুসল্লির সংখ্যা বেশি হলে ৩০ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন নগরের রাজারহাতা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো.
আরো পড়ুন:
কুয়াকাটায় ৬ লাখ পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা
উত্তরে গাড়ির চাপ বাড়লেও নেই যানজট, মহাসড়কে সেনাবাহিনী
রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় মহানগর ঈদগাহে (টিকাপাড়া) হবে। এখানে দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় হবে। বৃষ্টি হলে পাশের টিকাপাড়া মোহাম্মপুর জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল সোয়া ৮টায় রাজশাহীর তৃতীয় বড় ঈদ জামাত হবে নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে। যেখানে প্রধান সড়কের ওপর একটিই ঈদ জামাত হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জামাত হবে সকাল ৮টায়। প্রথমবারের মতো এখানে নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশপথ ও প্যান্ডেল নির্ধারণ করা হয়েছে। নারীরা বিএনসিসি গেট দিয়ে প্রবেশ ও বের হবেন।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল ৭টায়। রাজশাহীর বেশিরভাগ মসজিদে ঈদের জামাত সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসিরুদ্দিন শেখ বলেন, “ঈদের জামাত সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমন্বয় সভা হয়েছে। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা জেলা প্রশাসন নির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করেনি। মসজিদ কমিটিগুলো নিজেদের সুবিধামতো সময় নির্ধারণ করে আগের দিন মাইকিংয়ের মাধ্যমে ঈদ জামাতের সময়সূচি জানিয়ে দেবে।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উৎসব ঈদ ঈদ জ ম ত জ ম ত হব মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে মাজার কমপ্লেক্স ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হযরত খাজা কালু (র.) মাজার, মসজিদ ও এতিমখানার দানবাক্স ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে উপজেলার উত্তরসলিমপুর এলাকায় মাজার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করে পরিচালনা কমিটি। তাদের দাবি, দানবাক্স ভাঙচুর ও এতিমখানার দান করা মালামাল লুট করার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। মুতাওয়াল্লি দাবি করা একটি পক্ষ এই লুটপাট চালিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হযরত কালুশাহ (র.) মসজিদ-মাজার ওয়াকফ স্টেটের সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুদ্দৌলা সাওদাগর জানান, তাদের ওয়াকফ স্টেট সাতটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে। গত ৭ এপ্রিল দুপুরে মুতাওয়াল্লি দাবি করে খন্দকার শওকত আলী ও মোহাম্মদ আলী নামে দুই ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী নিয়ে মাজার কমপ্লেক্স এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে মাজার কমপ্লেক্স এলাকার কার্যালয় ও দানবাক্স ভাঙচুর চালায়। তারা দান করা অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। লুটপাটকারীরা ৭ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মসজিদ মাজার ও এতিমখানায় দানকৃত অর্থ, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি আত্মসাৎ করে। এমনকি এতিমখানায় ছাত্রদের জন্য রান্না করা খাবারও নিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও লুটপাটের সিসিটিভি ফুটছে তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। এ ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল সীতাকুণ্ড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। লুট হওয়া অর্থসহ যাবতীয় মালামাল দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানান তিনি।
মাজার কমপ্লেক্সের সভাপতি সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, হযরত কালুশাহ মাজার ওয়াকফ এস্টেট নিয়ে একটি পক্ষ নিজেদের মুতাওয়াল্লি দাবি করছেন। এ বিষয় নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বর্তমান কমিটি মাজার কমপ্লেক্স পরিচালনা করছেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, সীতাকুণ্ড থানা এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন।