ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের ছুটিকে কেন্দ্র করে সমুদ্রকন্যা খ্যাত কুয়াকাটাকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে স্থানীয় প্রশাসন, ব্যবসায়ী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

বিগত বছরগুলোতে ঈদ পরবর্তী টানা ১৫ দিন লাখ লাখ পর্যটকে মুখরিত ছিল কুয়াকাটা। এবারো তেমনটাই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের ধারণা, ঈদের দিন থেকে পরবর্তী ছয়দিন ৬ লাখ পর্যটক সমাগম হতে পারে। 

ইতোমধ্যে আগাম বুকিং হয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল-মোটেল। আগত পর্যটকদের বরণে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে সবকিছু বলে জানিয়েছেন ট্যুর অপারেটরস এ্যাসোশিয়েশন অফ কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার।

আরো পড়ুন:

পর্যটক বরণে নতুন সাজে কক্সবাজার

ব্যস্ততা বেড়েছে রাঙামাটির তাঁত কারখানাগুলোতে

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতে বেঞ্চি থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান সাজানোয় ব্যস্ত। অনেকে আবার নিজেদের দোকানের চেয়ার-টেবিল মেরামত করছিলেন। কসমেটিক্স এবং গার্মেন্টেসের দোকানগুলোতে নতুন পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স প্রদর্শন করতে দেখা গেছে দোকানিদের। হোটেল-মোটেল রং তুলির আচড়ে আকর্ষণীয় করে তুলছেন মালিকরা। মোট কথা ঈদ উপলক্ষে পর্যটক বরণে কোনো কমতি রাখছেন না পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১৬টি পেশার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা।

হোটেল ফ্রেন্ডস পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ সুমন বলেন, “আমাদের হোটেলের সব কক্ষ ঈদের দিন থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এখনো বুকিং হচ্ছে। আশা করছি, ১৫ তারিখ পর্যন্ত বুকিং হবে, তেমনই সরা পাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের হোটেল রং করা এবং ধোয়া মুছার কাজ শেষ করেছি।” 

হোটেল রাজমহলের জেনারেল ম্যানেজার জুয়েল ফরাজী বলেন, “আমাদের হোটেলের ঈদের দিন থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত ৮০ ভাগ রুম বুকিং হয়েছে। ঈদের আরো দুইদিন বাকি, আশা করছি সব রুম বুকিং হবে। রোজায় পর্যটক শূন্য থাকার কারণে যে লোকসানে পড়েছি, আশা করছি তা কাটিয়ে উঠতে পারব।”

ট্যুর অপারেটর এ্যাশোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, “ঈদের ছয়দিনে আশা করছি, ৬ থেকে ৭ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে। পর্যটকদের বরণে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন ব্যবসায়ীরা।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক আহাদুজ্জামান বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। থানা পুলিশ এবং নৌ-পুলিশও মাঠে কাজ করবে। আশা করছি, ঈদের পরে আগত পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উৎসব ঈদ ব যবস য় র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দাবি

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ। এক সপ্তাহের মধ্যে সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ শনিবার দুপুরে নগরের চৌহাট্টা এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী মাসুদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৩৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাবেক উপাচার্য এনায়েত হোসেন তাঁদের চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৩ সালে দুই দফায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে এখনো নিয়োগপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সাবেক উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার গা ঢাকা দেন। পরে রেজিস্ট্রার ৩০ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন এবং ৭ নভেম্বর উপাচার্য ক্যাম্পাসে গেলে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রশাসনের অনুরোধে ১৫ দিনের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাসে উপাচার্যকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অস্থায়ী কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নিয়োগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন নাজমুল ইসলামকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়।

পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অনুমোদনক্রমে ৬ ডিসেম্বর অনিয়মিত নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দেন। পরবর্তী সময়ে ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

গত বছরের ২০ ডিসেম্বর সাবেক উপাচার্য এনায়েত হোসেন পদত্যাগ করেন। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি নতুন উপাচার্য হিসেবে ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী যোগ দেন। তিনি যোগ দেওয়ার পর ১৬ মার্চ অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ২৩ মার্চের সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির সভাপতি না থাকায় বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। সিন্ডিকেট সভার পর থেকে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ে আর অফিস করেননি। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের স্বৈরাচারের দোসরদের দিয়ে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরবর্তী বৈঠক মাসকটে
  • আগামী তিনদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস 
  • বাংলার অজানা স্বর্ণমুদ্রার খোঁজ
  • বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
  • মামলায় আটকে আছে ইকোপার্ক
  • খুলনায় আ.লীগের মিছিলকারীদের গ্রেপ্তার দাবি এনসিপির
  • বার্সেলোনার রোমাঞ্চকর জয়ের পর অস্বস্তির চোট সংবাদ
  • অস্ত্রোপচার সম্পন্ন না করেই রোগীর পেট সেলাইয়ের অভিযোগ
  • আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
  • সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দাবি