১০০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় এই অভিনেতার নাম
Published: 29th, March 2025 GMT
আইনি বিপাকে অভিনেতা শ্রেয়াস তলপাড়ে। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়া অর্থলগ্নি সংস্থা খুলে ১০০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের এই প্রতারণা মামলায় নাম জুড়েছে আরও ১৩ জনের। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
জানা গেছে, ‘লোনি আরবান মাল্টিস্টেট ক্রেডিট’ ও ‘থ্রিফট কো–অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামের দুটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এই অভিনেতা। ওই সংস্থা দুটি মূলত গ্রামের বাসিন্দাদেরই টার্গেট করত। বিনিয়োগ করলে কম সময়ে বিপুল সুদের লোভ দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হতো। পরে যদিও ওই টাকা ফেরত পেতেন না গ্রাহকেরা। এ সংস্থার বেশির ভাগ এজেন্টই গা ঢাকা দিয়েছেন।
শ্রীনগরের মাহোবা থানায় এফআইআর করেন এক প্রতারিত ব্যক্তি। ওই সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তাতেই উঠে আসে অভিনেতা শ্রেয়াস তলপাড়ে ও অলোক নাথের নাম। দুজনে কমপক্ষে ৯ কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন বলেই অভিযোগ। গোমতী নগর ও সোনিপথ থানাতেও তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন৬৭৭তম থেকে জনপ্রিয়তার তালিকায় ১ নম্বরে, কে এই অভিনেতা২৯ ডিসেম্বর ২০২৪গতকাল সারা দিন এই আর্থিক প্রতারণা মামলায় শ্রেয়াসের নাম জড়িয়ে নানা ধরনের খবর হয়েছে। এরপর রাতে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনেতা। ম্যানেজারের মাধ্যমে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।
‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ ছবিতে কাজ করেছেন শ্রেয়াস। ওই ছবিতে অক্ষয় কুমার, সঞ্জয় দত্ত, রাবিনা ট্যান্ডন, আরশাদ ওয়ার্সি, পরেশ রাওয়াল রয়েছেন। এ ছাড়া ‘হাউসফুল ৫’ ছবিতেও কাজ করছেন শ্রেয়াস। সেখানেও রয়েছেন অক্ষয় কুমার। সঙ্গে থাকছেন রীতেশ দেশমুখ, অভিষেক বচ্চনের মতো তারকারা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে গেল, ৬০ ঘণ্টা পর চারজনকে জীবিত উদ্ধার
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০০০ পেরিয়ে গেছে। সোমবার দেশটির সামরিক সরকার জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পে আহত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৯০০। এখনও নিখোঁজ ২৭০ জন। দেশটিতে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস। এই বিপর্যয়ের পর দেশটিতে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। খবর- বিবিসি
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুনজানান, মান্দালয় অঞ্চলে ২৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সেখানে ভূমিকম্পে মসজিদ, সেতু এবং বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হওয়ায় অনেক অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যাচ্ছে না।
গত শুক্রবার মিয়ানমারে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। উদ্ধার তৎপরতা চালাতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দেশটির সরকারকে। এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যে উদ্ধারকারীরা যখন জীবিতদের সন্ধান করছেন তখন জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে, যা ত্রাণ প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে।
সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের ঘটনায় মিয়ানমারের রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ভূমিকম্পে রাস্তাঘাট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর সঙ্গে সামরিক সরকার, বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং সশস্ত্র যোদ্ধাদের মধ্যে চলা গৃহযুদ্ধের ফলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারে কাজ করা সাহায্য সংস্থাগুলোর পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট জোর দিয়ে বলছে, যেকোনো সহায়তা যেন স্বাধীনভাবে ও স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। মিয়ানমারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মান্দালয়ের ঐতিহাসিক অনেক ভবন এই ভূমিকম্পে মাটিতে মিশে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতে ধ্বংসস্তুূপ ঘেঁটে দেখছেন।
২০২১ সাল থেকে মিয়ানমার শাসন করা সামরিক জান্তা দেশটির সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির দুই বড় শহর, মান্দালয় ও ইয়াংগুনের বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।