হাসপাতালে পৌঁছানো হলো না মা-ছেলের
Published: 29th, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাসচাপায় জুথী আক্তার (২০) ও তার দেড় বছর বয়সী ছেলে সিয়াম নিহত হয়েছেন। এঘটনায় নিহতের স্বামী কুয়েত প্রবাসী শরিফ হোসেনসহ আরো তিনজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অরুপ পাল ও নিহত জুথীর বাবা রহমত উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে লক্ষ্মীপুর-মজু চৌধুরী হাট সড়কের কাচারিবাড়ি এলাকায় শাহী পরিবহনের একটি বাস ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
বরগুনায় বাসচাপায় ৩ ভাই নিহত
বনানীতে বাস উল্টে ৪২ পোশাক শ্রমিক আহত
নিহত জুথী সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের জব্বার মাষ্টারহাট এলাকার কুয়েত প্রবাসী শরীফের স্ত্রী ও নিহত সিয়াম তাদের ছেলে।
অন্য আহতরা হলেন- শরীফের ভাগ্নে রাজা মিয়া ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। চালকের নাম নাম জানা যায়নি। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জুথীর বাবা রহমত উল্যাহ জানান, জুথীর বুকে ব্যাথা উঠলে অটোরিকশাযোগে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। রিকশায় স্বামী শরীফ, ছেলে সিয়াম, ভাগ্নে রাজা ছিলেন। চেয়ারকোচ জোনাকি বাসকে ওভারটেক করার সময় শাহী পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার সবাই আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জুথীকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে শিশু সিয়াম মারা যায়। জুথী ও তার ছেলের মৃতদেহ সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামে বাবার বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।
রহমত উল্যাহ বলেন, “বাসচাপায় আমার মেয়ে ও নাতি মারা গেছে। তিনজনকে ঢাকা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি।”
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, “দুর্ঘটনার পর পাঁচ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতাল আনার আগেই মারা যান। অন্যদেরকে ঢাকা পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে কেউ মারা গেছে কি না জানা নেই।”
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানা নেই।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ফেরিওয়ালা খুন
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক ফেরিওয়ালা খুন হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পীরের বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নীপেশ তালুকদার (৪২)। তাঁর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গতকাল রাত ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নীপেশের গ্রামের বাড়ি দিরাইয়ে হলেও সিলেট নগরের জালালাবাদ থানার তেমুখী এলাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তিনি প্রতিদিন বাইসাইকেল দিয়ে হাটবাজারে পান, সুপারি ও সিগারেট ফেরি করে বিক্রি করতেন। গতকালও একইভাবে বিক্রি শেষে সন্ধ্যায় তিনি পীরের বাজার এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন। বাজারের পশ্চিম পাশে আসামাত্রই কিছু ছিনতাইকারী নীপেশের পথরোধ করে এবং একপর্যায়ে তাঁর বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী গতকাল রাত ১২টায় প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।