অটোরিকশায় করে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন, বাসচাপায় নিহত মা-ছেলে
Published: 29th, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে একটি অটোরিকশায় করে হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাসের চাপায় যূথী আক্তার (২০) নামের এক নারী এবং তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে মো. সিয়াম নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ওই নারীর স্বামীসহ আরও তিনজন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের কাচারিবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
যূথী আক্তার সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের জব্বার মাস্টারহাট এলাকার কুয়েতপ্রবাসী শরীফ হোসেনের স্ত্রী। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গতকাল রাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে তাঁর ছেলে মো.
যূথীর বাবা রহমত উল্যা জানান, বুকে ব্যথা ওঠায় যূথীকে অটোরিকশায় করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। কাচারিবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে শাহী পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। বাসটি জোনাকি পরিবহনের একটি বাসকে অতিক্রম করতে গিয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। দুর্ঘটনায় যূথী ও তাঁর ছেলে নিহত হয়েছে। যূথীর স্বামী শরীফ, শরীফের ভাগনে রাজা মিয়া ও অটোরিকশাচালক দুর্ঘটনায় আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ প্রথম আলোকে বলেন, বাসের চালককে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহত নারীর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে নিহত বেড়ে ২০৫৬, এক সপ্তাহের শোক ঘোষণা
মিয়ানমারে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০। এখনো নিখোঁজ ২৭০ জন। এমন অবস্থায় দেশটিতে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দেশটির জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় শোকের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ শোকের ঘোষণা এল। মান্দালয়ের বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের আবেদন
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।
৬০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার ৪
মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।