আমাদের সৌন্দর্যের অনেকখানি অংশজুড়ে রয়েছে চুল। তাই চুলের প্রতি সবারই থাকে একটু বাড়তি যত্ন। যুগ যুগ ধরে চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে নারকেল তেল। তবে এর গুণ আরও বাড়িয়ে তুলতে অনেকেই নারকেল তেলের সঙ্গে মেথি, কালিজিরার মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করেন।
কালিজিরা চুলের গোড়া মজবুত করে, অতিরিক্ত চুল পড়া রোধ করে এবং খুশকি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এতে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান স্কাল্পের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। মেথি চুলের রুক্ষতা দূর করে, চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফলে চুল হয় আরও স্বাস্থ্যকর ও মজবুত।

একেই নতুন মাত্রা দিতে ন্যাচারাল ওয়েলনেস ব্র্যান্ড ‘মায়া’ নিয়ে এসেছে নতুন সংযোজন ‘মায়া রোজ কোকোনাট অয়েল’। এতে আছে ‘রোজ ফ্র্যাগরেন্স’ আর ‘ম্যাজিক্যাল সিড পাইপ’। এই সিড পাইপের সাতটি চেম্বার থেকে মেথি, কালিজিরাসহ সাতটি সিডের নির্যাস নারকেল তেলের সঙ্গে মিশে তেলের কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে তোলে। ফলে চুল হয় আরও মজবুত ও ঝলমলে।
একটি টিভিসি, যা সবার গল্প বলে
মায়া রোজ কোকোনাট অয়েলকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপন। যেটি দর্শকদের মধ্যে বেশ আলোড়ন তোলে। এর প্রধান কারণ, এটি আমাদের জীবনের চেনা গল্পকে তুলে ধরেছে।
গল্পে দেখা যায়, এক তরুণী রান্নাঘরে কিছু একটা প্রস্তুত করছেন। তাঁর স্বামী ঘরে ঢুকে জানতে চান, ‘কী রান্না করছ?’
উত্তরে মেয়েটি একটু বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘নারকেল তেল। তেলের সঙ্গে মেথি আর কালিজিরা মেশাচ্ছি, আমার এই রুক্ষ চুলের জন্য।’
বাস্তবে অনেকেই চুলের যত্নে নারকেল তেলের সঙ্গে বিভিন্ন ভেষজ উপাদান মিশিয়ে থাকেন, যা সত্যিই একটি ঝামেলার কাজ বটে। টিভিসির গল্পেও এটিই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। স্ত্রীর এই বাড়তি যত্ন ও কষ্ট দেখে স্বামী তাঁকে মায়া রোজ কোকোনাট অয়েল উপহার দেন, যাতে আগেই নারকেল তেলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর সংমিশ্রণ রয়েছে।

টিভিসি থেকে গান: ‘রোজ রোজ ভালোবাসা’

বিজ্ঞাপনটির অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হয় একটি ছোট চার লাইনের জিঙ্গেল, যা দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এরপর সেই জিঙ্গেল থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয় ‘রোজ রোজ ভালোবাসা’ শিরোনামের একটি পূর্ণাঙ্গ গান, যা মুক্তি পেয়েছে গতকাল (২৮ মার্চ)।গানের কথা লিখেছেন রিয়াজুল আলম শাওন, সুর ও সংগীতায়োজনের পাশাপাশি কণ্ঠ দিয়েছেন শুভেন্দু দাস শুভ। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন তানিম রহমান অংশু। আর এতে অভিনয় করেছেন আইশা খান ও পার্থ শেখ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল সান কমিউনিকেশনস লিমিটেড।গানটি প্রসঙ্গে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার (হারবাল ইউনিট) সাবরিনা আফরোজ বলেন, ‘আমরা সব সময় দেখেছি মেয়েরা চুলের যত্নে বিভিন্ন বীজ যেমন কালিজিরা, মেথি এগুলো মেশায়। ব্যাপারটি বেশ ঝামেলার। তাই আমরা চিন্তা করি, কীভাবে তাঁদের এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দেওয়া যায়। এ জন্যই আমরা নিয়ে আসি মায়া রোজ কোকোনাট অয়েল। আর তেলটির টিভিসিতে একটি ছোট চার লাইনের জিঙ্গেল প্রকাশ পায়। গানটিতে দর্শকদের এত বেশি ভালোবাসা পেয়েছি, সেখান থেকেই একটি সম্পূর্ণ মিউজিক ভিডিও নির্মাণের অনুপ্রেরণা পাই। আশা করছি, দর্শকেরা টিভিসির মতো গানটিকেও প্রচুর ভালোবাসা দেবেন।’

‘রোজ রোজ ভালোবাসা’: এক হৃদয়ছোঁয়া বার্তা‘

রোজ রোজ ভালোবাসা’ বাক্যটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক গভীর বার্তা। ভালোবাসা শুধু বিশেষ দিনে প্রকাশ করার বিষয় নয়, বরং প্রতিদিনের অনুভূতি। চুল সুন্দর রাখতে যেমন নিয়মিত যত্ন দরকার, তেমনি সম্পর্ককেও সুন্দর রাখতে প্রতিদিন ভালোবাসা প্রকাশ করা জরুরি।মায়া রোজ কোকোনাট অয়েল শুধু চুলের যত্নের জন্যই নয়, এটি প্রতিদিনের ভালোবাসার প্রতীকও বটে। চুলের যত্ন যেমন নিয়মিত হওয়া উচিত, তেমনি ভালোবাসাও প্রতিদিন প্রকাশ করা দরকার—আর এই বার্তাটিই ‘রোজ রোজ ভালোবাসা’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে ‘মায়া’।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ ল র যত ন উপ দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

স্রোতে ভেসে যাওয়া সেতুটি মেরামত হয়নি আজও

নির্মাণের ৯ মাসের মাথায় বন্যার স্রোতে ভেসে যায় সুন্দরগঞ্জের বেলকা বাজার খেয়াঘাটের ওপর সেতুটি। এরপর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও সেতুটি মেরামত বা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের ২০ হাজার চরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিবির অর্থায়নে কংক্রিটের খুঁটির ওপর কাঠের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ২৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা পরিষদ। ঠিকাদার শাহানুর ইসলামের পক্ষে সেতু নির্মাণে সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন বামনডাঙ্গার সাগীর খান। সেতুটির নকশা করেন উপজেলা প্রকৌশলী। গত বছরের ৩০ জুন কাজ শেষ দেখিয়ে ঠিকাদার টাকা ছাড় করিয়ে নেন। ৯ মাস পর গত বছর অক্টোবরে তিস্তায় ভেসে যায় সেতুটির কিছু অংশ। সে সময় জেলা-উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেতু মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত সেতুটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

বেলকা বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক জানান, বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের ২০ হাজার চরবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়ার এখন কী হবে? এ দায় কার? এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

বেলকা চরের শিক্ষার্থী ছানা মিয়া আক্ষেপ করে বলে, সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় চরের শিক্ষার্থীরা খুশি হয়েছিল। কিন্তু উদ্বোধন না হতেই ভেসে গেল তিস্তার স্রোতে। এখন আবার সেই নৌকায় চলতে হবে।

হরিপুর চরের স্কুলশিক্ষক আবদুল জলিল মিয়া বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সেই সময়ের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতির কারণে সেতুটির এই অবস্থা হয়েছে। এর জন্য এখন জনগণকে খেসারত দিতে হবে। তিনি দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বেলকা খেয়াঘাটের তিস্তার শাখা নদীর ওপর কাঠের সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা এলজিইডির নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস জানান, তিনি সবেমাত্র যোগদান করেছেন। এ ঘটনা তাঁর জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ