মিয়ানমার-থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প : বাংলাদেশে সতর্কতা ও প্রস্তুতির নির্দেশনা
Published: 29th, March 2025 GMT
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দু’টি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দু’টির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
শনিবার (২৯ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে এক সচেতন বার্তায় জানানো হয় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এমতাবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য সকল পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির নিমিত্ত নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান করছে ফায়ার সার্ভিস।
১.
২. ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
৩. সকল বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা;
৪. ইউটিলিটি সার্ভিসসমূহ যথা- গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা;
৫. ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা;
৬. জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসাপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নাম্বারসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সকল ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা;
৭. ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা;
৮. জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায়;
৯. সকল পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।
ঢাকা/রায়হান/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প পর য য় গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
দিল্লিতে ভ্যান্স এবং মোদির বৈঠক আজ
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তার পরিবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আজ তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। খবর বিবিসির।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধির জৈসওয়াল বলেন, এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলে আমরা আশাবাদী।
বিশ্বব্যাপী ওয়াশিংটনের শুল্কনীতি ঘিরে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে দেশগুলো দ্রুত চুক্তি চূড়ান্তে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
ভ্যান্সের সফরের অংশ হিসেবে তিনি তার স্ত্রী উষা ভ্যান্স এবং সন্তানদের সঙ্গে আগ্রা ও জয়পুর ভ্রমণে যাবেন। তার স্ত্রী উষার পরিবার ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিল।
সোমবার সকালে দিল্লিতে পৌঁছে ভ্যান্স আকসারধাম মন্দির পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদী তাকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বর্তমানে প্রায় ১৯০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ভারতের উচ্চ শুল্ক হার এবং ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
সম্প্রতি ভারত কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
ভবিষ্যতে ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভারত সফর এবং কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের প্রেক্ষাপটে ভ্যান্সের সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।