‘বিশ্ব শান্তির জন্য’ গ্রিনল্যান্ড ‘দখল’ প্রয়োজন: ট্রাম্প
Published: 29th, March 2025 GMT
‘বিশ্ব শান্তির জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড দখল করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শান্তির কথা বলছি না। আমরা বিশ্ব শান্তির কথা বলছি। আমরা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার কথা বলছি।”
আরো পড়ুন:
গাড়ি আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
সংখ্যালঘু নির্যাতনে ভারতকেই কালো তালিকায় ফেলার সুপারিশ যুক্তরাষ্ট্রে
এদিকে, শুক্রবার গ্রিনল্যান্ডের একটি আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, তার স্ত্রী উষা ভ্যান্স এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা।
এসময় জেডি ভ্যান্স বলেন, “আমাদের বিতর্ক গ্রিনল্যান্ডের জনগণের সঙ্গে নয়, আমার মনে হয় তারা অসাধারণ এবং এখানে অসাধারণ সুযোগ রয়েছে। আমাদের বিতর্ক আসলে ডেনমার্কের নেতৃত্বের সঙ্গে, যারা গ্রিনল্যান্ডে কম বিনিয়োগ করেছে এবং এর নিরাপত্তা স্থাপত্যে কম বিনিয়োগ করেছে।”
তবে, গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের প্রতিক্রিয়ার কারণে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট তার তিন দিনের সফরের পরিকল্পনা পরবর্তন করে একদিনে নিয়ে আসেন। গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক ক্ষুব্ধ হয় কারণ তাদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই ভান্সের ভ্রমণ পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব করেছিলেন এবং তখন থেকেই তিনি এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য ‘একটি আবশ্যকতা’ বলে মনে করেন।
তবে গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক কর্তৃপক্ষ বসে আসছে যে, দ্বীপটি বিক্রয়ের জন্য নয়।
গ্রিনল্যান্ড উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত রুটের মাঝে অবস্থিত, যা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এছাড়া এখানে একটি বড় মার্কিন মহাকাশ কেন্দ্র রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিরল খনিজ, ইউরেনিয়াম এবং লোহা। দ্বীপটি যদিও স্বায়ত্বশাসিত, কিন্তু এটি ডেনমার্কের অংশ।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড দখলে সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করার ইঙ্গিত দেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে নিহত বেড়ে ২০৫৬, এক সপ্তাহের শোক ঘোষণা
মিয়ানমারে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০। এখনো নিখোঁজ ২৭০ জন। এমন অবস্থায় দেশটিতে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দেশটির জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় শোকের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ শোকের ঘোষণা এল। মান্দালয়ের বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের আবেদন
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।
৬০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার ৪
মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।