দৌলতদিয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই ভোগান্তি
Published: 29th, March 2025 GMT
পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ফলে ঘুরমুখো যাত্রী ও বিভিন্ন ধরনের পরিবহনের চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে চলাচল করছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করছে। ফেরিগুলো দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও বিভিন্ন ধরনের পরিবহন নিয়ে পৌঁছাচ্ছে পাটুরিয়া থেকে। লঞ্চে করেও এই ঘাটে আসছেন অগণিত মানুষ।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। নির্বিঘ্নে নদী পার হতে পারায় তাদের মুখে ছিল আনন্দের ছাপ।
আরো পড়ুন:
৯ দিনের ছুটি, ফাঁকা হচ্ছে নরসিংদী
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার টোল আদায়
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরি ও লঞ্চে দৌলতদিয়ায় আসছেন ঘরমুখো মানুষরা। ঘাটে নেমে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে তাদের অনেককেই মাহেন্দ্র ও মোটরসাইকেলে চড়ে রওনা হতে দেখা গেছে।
ঘাটে যানজট না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাচঞ্চল থেকে আসা পরিবহনগুলোকে সরাসরি ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে।
ঢাকা থেকে আসা রুহুল আমিন বলেন, “গ্রামের বাড়িতে ফিরছি। ভোরে গাবতলি থেকে বাসে উঠে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে এসেছি। ফেরিতে উঠে দৌলতদিয়া ঘাটে নামলাম। পথে ও ফেরি ঘাটে কোন ভোগান্তি ছিল না।”
মারিয়া নামে অপর যাত্রী বলেন, “বাবা ঢাকাতে চাকরি করে। যে কারণে মা ও আমিও ঢাকায় থাকি। গ্রামে দাদা-দাদি ও অন্য স্বজনরা থাকেন। তাদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছি। অনেক দিন পর বাড়িতে খুবই আনন্দ হচ্ছে। ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি পারাপার হতে পেরে আনন্দ লাগছে।”
লঞ্চ যাত্রী রেজাউল ইসলাম বলেন, “সড়কে ভোগান্তি ছিল না। লঞ্চ ও ফেরি ঘাটেও ভোগান্তি নেই। ঘরে ফেরা মানুষগুলো অনেক আরামেই বাড়িতে ফিরতে পারছেন।”
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো.
ঢাকা/রবিউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন প ট র য় দ লতদ য় ফ র ঘ ট দ লতদ য়
এছাড়াও পড়ুন:
দিল্লিতে জেডি ভ্যান্স এবং নরেন্দ্র মোদির বৈঠক আজ
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তার পরিবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আজ সোমবার তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। খবর বিবিসির।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে বলে আমরা আশাবাদী।
বিশ্বব্যাপী ওয়াশিংটনের শুল্কনীতি ঘিরে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে দেশগুলো দ্রুত চুক্তি চূড়ান্তে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
ভ্যান্সের সফরের অংশ হিসেবে তিনি তার স্ত্রী উষা ভ্যান্স এবং সন্তানদের সঙ্গে আগ্রা ও জয়পুর ভ্রমণে যাবেন। তার স্ত্রী উষার পরিবার ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিল।
সোমবার সকালে দিল্লিতে পৌঁছে ভ্যান্স আকসারধাম মন্দির পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী মোদি তাকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বর্তমানে প্রায় ১৯০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ভারতের উচ্চ শুল্ক হার এবং ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
সম্প্রতি ভারত কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে।
ভবিষ্যতে ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভারত সফর এবং কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের প্রেক্ষাপটে ভ্যান্সের সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।