প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ, ৩৫ হাজার মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা
Published: 29th, March 2025 GMT
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। এছাড়া, এই জামাতে নারীদের নামাজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টায় জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএসসিসি'র প্রশাসক।
তিনি বলেন, “ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রায় সব প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। প্রধান জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লির জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, কোনো ধরনের বৃষ্টিপাত হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমরা সে ধরনের তথ্য পেয়েছি। কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও এখানে যেন সুষ্ঠুভাবে জামাত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুরোটা অংশ আমরা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। যেন পানি পড়তে না পারে এবং কোনো দুর্ভোগ না হয়।”
তিনি আরো বলেন, “এখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে কোনো মুসল্লির কোনো সমস্যা না হয়। জামাতে প্রবেশের জন্য চারটি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ রয়েছে। এছাড়া, জামাত শেষে বেরোনোর জন্য আরো তিনটি ফটক আমরা রেখেছি। যাতে দ্রুত সবাই বের হতে পারে।”
ঢাকা/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিবাচক মানসিকতায় সর্বদা ফ্রন্ট ফুটে থাকতে চাই: সিমন্স
স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ফিল সিমন্সের। বোর্ডের মন জয় করে দুই বছরের জন্য চাকরি পাকাপাকি করেছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে নতুন পথচলা শুরু হয়েছে তার। কিন্তু নতুন অ্যাসাইনমেন্টের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। সিলেটে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গেছে প্রথম ইনিংসে। গা-ছাড়া ক্রিকেটে এলোমেলো পারফরম্যান্সে হয়েছে ভরাডুবির পারফরম্যান্স।
‘‘আমরা অনেক বেশি ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করছি। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা পিছিয়ে থাকি এবং দলগুলিকে আমাদের দিকে আসতে দেই (আক্রমণ)। এখন আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা ভালো হয়নি, কিন্তু তারা সেটা করার চেষ্টা করছিল। মাঝে মাঝে সময় লাগে। আমরা এখন এভাবেই ক্রিকেট খেলতে চাই। সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বদা ফ্রন্ট ফুটে খেলতে প্রস্তুত থাকতে চাই।’’
পরিকল্পনামাফিক কাজ হয়নি তা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান কোচ। কামব্যাকের সুযোগ থাকায় সেদিকেই তাকিয়ে তিনি, ‘‘গতকাল আমাদের যে কাজটা করার কথা ছিল তা করতে পারিনি। টেস্টের প্রথম দিনে এমন কিছু হয়েছে। আমাদের কামব্যাকের সুযোগ আছে। আমরা ভালো বোলিংও করিনি। আশা করছি আমরা আজ সকালে ভালো শুরু করতে পারব।’’
আরো পড়ুন:
জাতীয় দলের বাইরে রিসোর্স কম, মনে করিয়ে দিলেন সালাউদ্দিন
ব্যর্থতা স্বীকারের সঙ্গে বাস্তবতার আয়নায় সালাউদ্দিন
সিমন্সের কথা রেখেছেন পেসাররা। গতির ঝড় তুলে নাহিদ রানা পেয়েছেন ২ উইকেট। আরেক পেসার নিয়ন্ত্রিত লাইন ও লেন্থ ধরে রেখে বোলিংয়ে করায় পেয়েছেন ১ উইকেট। দুই পেসারের সঙ্গে খালেদ আহমেদও ছড়িয়েছেন দ্যুতি। ধারাবাহিকতা ও পেশাদারিত্ব ধরে রাখার কথা বললেন সিমন্স, ‘‘আমরা সকালে কিভাবে, কোন প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপ্রোচ করি তা দেখতে হবে। এটা নিশ্চিতভাবেই ধারাবাহিকতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে করতে হবে। আমরা যদি ভালো লাইন ও লেন্থ ধরে রাখতে পারি তাহলে নিশ্চিতভাবেই ভালো হবে।’’
প্রস্তুতি এবং সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট সিমন্স, ‘‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে এবং এখানে সুযোগ-সুবিধা ভালো ছিল। যেটা হয়ে গেছে সেটা ফেরানো সম্ভব নয়। আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’’
সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল