পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এক দিনে পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৯ হাজার ৬৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত এসব যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় করা হয়েছে ৪ কোটি ২৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা।

এর আগে গত বছরের ৯ এপ্রিল এক দিনে টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। সে বছর ১৪ জুন আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকা। ১৫ জুন আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার ৩০০ টাকা। ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। সে হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় আদায় করা টোল পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এযাবৎকালের পঞ্চম সর্বোচ্চ বলছে সেতু বিভাগ।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ২৬ হাজার ৫৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ২৮ হাজার ৩০০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছে ১৩ হাজার ৫৮০টি গাড়ি। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা।

পদ্মা সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল। এতে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় পঞ্চম সর্বোচ্চ হয়েছে। টোল আদায়ের পরিমাণ থেকে বোঝা যাচ্ছে, মানুষ পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়িতে যেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। এ পথের যাত্রীরা নির্বিঘ্নে বাড়িও ফিরছেন। দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ আরও একবার হতে পারে। না হলে এ পথ ব্যবহারকারীরা সামান্যতম ভোগান্তি ছাড়াই ঈদে বাড়ি যেতে পারবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ জ র ৩০০ ট ক হয় ছ ল ৪ ক ট প র হয়

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিবাচক মানসিকতায় সর্বদা ফ্রন্ট ফুটে থাকতে চাই: সিমন্স

স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ফিল সিমন্সের। বোর্ডের মন জয় করে দুই বছরের জন্য চাকরি পাকাপাকি করেছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে নতুন পথচলা শুরু হয়েছে তার। কিন্তু নতুন অ্যাসাইনমেন্টের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। সিলেটে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গেছে প্রথম ইনিংসে। গা-ছাড়া ক্রিকেটে এলোমেলো পারফরম্যান্সে হয়েছে ভরাডুবির পারফরম্যান্স।

‘‘আমরা অনেক বেশি ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করছি। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা পিছিয়ে থাকি এবং দলগুলিকে আমাদের দিকে আসতে দেই (আক্রমণ)। এখন আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা ভালো হয়নি, কিন্তু তারা সেটা করার চেষ্টা করছিল। মাঝে মাঝে সময় লাগে। আমরা এখন এভাবেই ক্রিকেট খেলতে চাই। সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বদা ফ্রন্ট ফুটে খেলতে প্রস্তুত থাকতে চাই।’’

পরিকল্পনামাফিক কাজ হয়নি তা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান কোচ। কামব্যাকের সুযোগ থাকায় সেদিকেই তাকিয়ে তিনি, ‘‘গতকাল আমাদের যে কাজটা করার কথা ছিল তা করতে পারিনি। টেস্টের প্রথম দিনে এমন কিছু হয়েছে। আমাদের কামব্যাকের সুযোগ আছে। আমরা ভালো বোলিংও করিনি। আশা করছি আমরা আজ সকালে ভালো শুরু করতে পারব।’’

আরো পড়ুন:

জাতীয় দলের বাইরে রিসোর্স কম, মনে করিয়ে দিলেন সালাউদ্দিন

ব‌্যর্থতা স্বীকারের সঙ্গে বাস্তবতার আয়নায় সালাউদ্দিন

সিমন্সের কথা রেখেছেন পেসাররা। গতির ঝড় তুলে নাহিদ রানা পেয়েছেন ২ উইকেট। আরেক পেসার নিয়ন্ত্রিত লাইন ও লেন্থ ধরে রেখে বোলিংয়ে করায় পেয়েছেন ১ উইকেট। দুই পেসারের সঙ্গে খালেদ আহমেদও ছড়িয়েছেন দ্যুতি। ধারাবাহিকতা ও পেশাদারিত্ব ধরে রাখার কথা বললেন সিমন্স, ‘‘আমরা সকালে কিভাবে, কোন প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপ্রোচ করি তা দেখতে হবে। এটা নিশ্চিতভাবেই ধারাবাহিকতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে করতে হবে। আমরা যদি ভালো লাইন ও লেন্থ ধরে রাখতে পারি তাহলে নিশ্চিতভাবেই ভালো হবে।’’

প্রস্তুতি এবং সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট সিমন্স, ‘‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে এবং এখানে সুযোগ-সুবিধা ভালো ছিল। যেটা হয়ে গেছে সেটা ফেরানো সম্ভব নয়। আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’’

সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ